আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘চলমান সমস্যায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ধস’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চলমান ডলার সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও এলসি খোলায় ব্যাংকের অনীহা, বৈশ্বিক মন্দার কারণে ধস নেমেছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। ফলে কমতে শুরু করেছে বন্দরের আয়। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিপিং কোম্পানি ও পণ্য পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা পড়েছে বিপাকে।

গত ৪ মাসে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং এর পরিমান কমেছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসে রাজস্ব আয় কমেছে হাজার কোটি টাকা। জাহাজ ভাড়া কমলেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সাথে জড়িত শিপিং এজেন্টগুলোর আয় কমে গেছে। আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় পণ্য পরিবহনে জড়িত ট্রাক, লরি ও প্রাইম মুভারের চাহিদা কমেছে। ফলে পণ্য পরিবহন খাতের আয়েও পড়েছে ভাটা। ।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, ফলমূল, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন বিলাসবহুল পণ্য আমদানি হয়। তবে ডলার সংকট, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে সরকারের নিরুৎসাহের কারণে কমেছে বাণিজ্যিক পণ্যের আমদানি। পোশাক পণ্য রপ্তানিতে লেগেছে বড় ধাক্কা। ফলে অন্য বছর বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারে ঠাসা থাকলেও বর্তমানে অনেকটাই ফাঁকা।

এমনটা চলতে থাকলে বিশ্বের ব্যস্ততম ১০০ বন্দরের বৈশ্বিক তালিকা থেকেও চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর মোট ৩২ লাখ ১৪ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে এর পরিমান ছিলো ২৯ লাখ ৪৪ হাজার টিইইউএস কনটেইনার। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর একই সময়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে মাত্র ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউএস। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ার প্রভাবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ৪১ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর উল্লেখযোগ্য হারে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে। গতবছরের তুলনায় চলতি বছর আগস্টে ৫ হাজার টিইইউএস, সেপ্টম্বরে ২১ হাজার টিইইউএস, অক্টোবরে ৫৬ হাজার টিইইউএস, নভেম্বরে ২২ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে ৪০ হাজারের বেশি কনটেইনার থাকে। বর্তমানে বন্দর ইয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২৯ হাজার ৪৭৮ টিইইউএস কনটেইনার। কনটেইনার রাখার পুরো জায়গাটাই ফাঁকা পড়ে আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক বলেন, গতবছর চট্টগ্রাম বন্দরে যে পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল চলতি বছর তার চেয়ে কম পরিমাণে হ্যান্ডলিং হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কনটেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে। পণ্যবাহী কনটেইনার না থাকায় অর্ধেক খালি রেখেই বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে জাহাজ। ফলে এ সমস্যার সম্মুখীন হবে চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে পরিবহন খাত। চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও কনটেইনারবাহী প্রাইম মুভার চলাচল করে। চাহিদা না থাকায় গাড়ির ব্যবহার কমেছে প্রচুর।

পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত এসব গাড়ির বড় ধরনের সারি এখন দেখা যায় না। বন্দরের ভেতরে অনেক ইয়ার্ড ফাঁকা। অলস পড়ে থাকতে দেখা গেছে কাভার্ডভ্যান, লরি।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ বলেন, চলমান অবস্থা চলতে থাকলে শিপিং কোম্পানিগুলো ব্যবসা করতে পারবে না। কাঁচামাল যদি না আসে তাহলে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমদানি যদি কমে কমে যায় তাহলে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান ট্রাক, প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে আমাদের প্রতিটা গাড়িতে ৩-৪ হাজার টাকার মত ভাড়া বেড়েছে। কিন্তু পণ্য পরিবহন কমে যাওয়ায় আমাদের এ টাকাটা পুষিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে।


আরও খবর



আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ রবিবার (৫ মে)। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনি বলেছেন, রবিবার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর



ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

এ ঘটনার পর ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠান দুইটিতে তাদের মশলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে এ দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রফতানি করা হয়।

এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা ও এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলা, মোট এই চারটি প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘ সময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।


আরও খবর



তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর