আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চলতি মাসে চালু হতে পারে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রতিনিধিদল জানান, বেশকিছুদিন ধরে তারা তাদের কারখানায় জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সাপ্লাই পাচ্ছেন না, ফলে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ অপ্রতুল বিধায় তা ব্যাহত হচ্ছে। সামিটের এফএসআরইউ গত তিন মাস যাবত বন্ধ। আগামী ১৫ তারিখ হতে এটি চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য খাতেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে, বিশেষ করে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এমনকি রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাসের জন্য চালু করা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আরো কমানো যায় কি না প্রতিনিধিদলের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে কিন্তু চলমান চুক্তিগুলোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সেভাবে কমানো যাচ্ছে না। ল্যান্ডবেইজড এলএনজি টার্মিনাল করা যায় কি না সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, এছাড়া খুলনায় একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা যায় কি না সেটাও যাচাই করা হবে।

সভায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



‘দোহাই লাগে হেল্প করুন’, সামাজিক মাধ্যমে হাজারো আকুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আল্লাহ হেফাজত করুন আমার স্ত্রী-কন্যাকে। কেউ ফেনী সদরের লালপুল বা আশপাশে থাকলে দোহাই লাগে, হেল্প করুন। এভাবেই স্ত্রী-সন্তানের সাহায্যের আকুতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এক অসহায় বাবা।

হুসাইন আজাদ নামে এই বাবা চাকরিসূত্রে থাকেন রাজধানী ঢাকায়। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের বসবাস ফেনীতে। হঠাৎ দিনের ব্যবধানে বন্যা পরিস্থিতির এতটা অবনতি হবে তা ভাবতে পারেননি তিনি। এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে পরিবার বা এলাকার কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারছেন না। কাজ করছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক, চলছে না ইন্টারনেটও।

ভাই আমরা ৩ ছাদে ৩৭ জন আছি, পানি অনেক জোরে উঠতেছে, হয়ত ৩০ মিনিটের মধ্যে ছাদ ডুবে যাবে, আমাদের উদ্ধার করেন। স্থান- ফেনী, ফাজিলপুর, একতা ক্লাব।

শুধু হুসাইন আজাদ নয়, এমন অসংখ্য স্বজনের পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। সেখানে ফুটে উঠছে আতঙ্ক-ভয় আর প্রিয়জন হারানোর শঙ্কা।

হুসাইন আজাদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজের বার্তা সম্পাদক। তিনি আকুতি জানিয়ে ফেসবুকে লেখেন, বাড়িতে পানি ওঠার কারণে ফেনী শহরে বোনের বাসার উদ্দেশে রওনা দেয় আমার স্ত্রী সাবিনা সুলতানা প্রিয়া (২৬), মেয়ে আফরা সাইয়ারা হৃদি (৪) ও শ্যালিকা লিমা (২২)। আজ সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফেনী সদরের হাফেজিয়া এলাকা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে হেঁটে লালপুলের দিকে যাচ্ছিল তারা। এখন ওদের ফোন নম্বর বন্ধ। লালপুলে প্রচুর পানির তোড়। শহরেও অনেক পানি। যারা আছেন, উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ।

হুসাইন আজাদের মতো অবস্থা ডিবিসি নিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আদিত্য আরাফাতের। না পারছেন কিছু করতে, না পারছেন সইতে। এ অবস্থায় বাবা-মায়ের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন বাবা-মায়ের জীবন, তার ফেসবুক পোস্টে ফুটে উঠেছে সেই অসহায়ত্ব।

ভাই তাড়াতাড়ি করেন। অন্ধকার হইয়া যাইতেছে, ওরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। বাচ্চাসহ বিশজন ছাদের উপর বন্দি অবস্থায় আছে, তাড়াতাড়ি স্পিড বোট নিয়ে যান। স্থান- বক্সওয়ালি মিজি বাড়ি, পশ্চিম ছনুয়া, কাজির দীঘি, ছাগলনাইয়্যা, ফেনী।

তিনি লেখেন, আমি ভেঙে পড়েছি। হতাশ হয়ে পড়েছি। এখন শুধু পরম করুণাময় পারেন আমার মা-বাবাকে বাঁচাতে। আমার বাবা -মা কখনো বন্যা দেখেনি। ফেনী শহরের কাছে আমাদের গ্রামে কখনো বন্যা আসেনি। আমার বয়োজ্যেষ্ঠ বাবা-মা জানে না কীভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হয়। ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় আমি বাবা-মায়ের কণ্ঠস্বর শুনছি না।

তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে অনেকগুলো সাহায্যের নম্বর দেখেছি। অনেক নম্বরে যোগাযোগ করতে গিয়ে নম্বর বন্ধ দেখেছি। অনেক বড়-বড় জায়গা থেকেও আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছে। সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে। সবাই চেষ্টার কথা বলছেন। কিন্তু আমিতো আমার মা-বাবার কোনো খবরই জানতে পারলাম না। আমার আত্মীয়-স্বজন, ফেনীর সাংবাদিক, বন্ধু-বান্ধব সবার নম্বর বন্ধ পাচ্ছি। আমার বাবা পারকিনসনের রোগী। মা শ্বাসকষ্টের রোগী। কেউ যদি আমার মা-বাবাকে উদ্ধার করতে পারেন আপাতত ফেনীর মূল শহরে আমার বড় ভাইয়ের বাসায় রেখে আসুন। আমার বাবা অন্তত সাহায্যকারীদের বড় ভাইয়ের বাসার ঠিকানা দিতে পারবে। বলতে পারবে। ফেনীতে আমার বাবা-মা এখন রয়েছে আমাদের গ্রামের বাড়িতে।

ঠিকানা উল্লেখ করে এ সাংবাদিক লেখেন, যারা উদ্ধার কার্যক্রমে যাবেন তাদের জন্য ঠিকানা- ফেনী সদরের নতুন রানীর হাটে। মালীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি। মূল শহর থেকে আমাদের বাড়ি খুব দূরে নয়। ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে নতুন রানীর হাট যেতে হবে প্রথমে। নতুন রানীর হাটে বাংলা রোড দিয়ে ঢুকে চারশো গজ সামনে আমাদের মজুমদার বাড়ি। বাড়িতে গেলে আমার মা-বাবাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসা যাবে। আমার বাবার নাম আবদুস সোবহান মজুমদার। (আমার নাম্বার ০১৭১৭-২৬১২১৮, শুধু উদ্ধার কার্যক্রমে জড়িতরা ফোন দেবেন প্লিজ। সান্ত্বনার জন্য কল না দিয়ে প্রার্থনা করুন।)

গতকাল থেকে নানুর বাড়ির মানুষগুলো ছাদের উপর ১৫ ফুট পানির সঙ্গে লড়াই করতেছে। সর্বশেষ মামার সঙ্গে কথা হওয়ার সময় বলেছিল- সাজ্জাদ আমাদেরকে বাঁচাও...। ফোনে শুধু ছোট ছোট মামাতো বোনগুলোর চিৎকার আর কান্না শুনছিলাম। রাত হলেই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে সেখানে।

টানা ভারী বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যে চার জেলায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও অনেক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন এসব এলাকার বাসিন্দা ও তাদের স্বজনেরা। ফেনীর বাসিন্দা জসিম উদ্দিন লেখেন, ভাই তাড়াতাড়ি করেন। অন্ধকার হইয়া যাইতেছে, ওরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। বাচ্চাসহ বিশজন ছাদের উপর বন্দি অবস্থায় আছে, তাড়াতাড়ি স্পিড বোট নিয়ে যান। স্থান- বক্সওয়ালি মিজি বাড়ি, পশ্চিম ছনুয়া, কাজির দীঘি, ছাগলনাইয়্যা, ফেনী।

আমি ভেঙে পড়েছি। হতাশ হয়ে পড়েছি। এখন শুধু পরম করুণাময় পারেন আমার মা-বাবাকে বাঁচাতে। আমার বাবা -মা কখনো বন্যা দেখেনি। ফেনী শহরের কাছে আমাদের গ্রামে কখনো বন্যা আসেনি। আমার বয়োজ্যেষ্ঠ বাবা-মা জানে না কীভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হয়। ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় আমি বাবা-মায়ের কণ্ঠস্বর শুনছি না।

শামিম রহমান নামে আরেকজন লেখেন, আমার পরিবার ও বাড়ির মানুষগুলো সবাই ছাদের উপর আটকা পড়ে আছে। এখন সবার সাহায্যের প্রয়োজন, কারো কাছে স্পিডবোট থাকলে আমার পরিবারকে বাঁচান! স্থান- ফাজিলপুর, বটতলী বাজার, ইজ্জত আলী ভূঞা বাড়ি, ফেনী সদর।

পরিবার ও স্বজনদের বাঁচার আকুতি জানানো এমন অসংখ্য পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেশকিছু গ্রুপের মাধ্যমে এসব পোস্টও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে। বিপরীতে বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয়রা উদ্ধারে সাড়া দিচ্ছেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব অপ্রতুল। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়।

ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্পিড বোটের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে ফেসবুকে একজন লেখেন, আশপাশের মানুষ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ আছে, তার মধ্যে নারী ও শিশু বেশি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। প্লিজ হেল্প।

এক বড় ভাই লেখেন, আমার আপন ছোট বোনের শ্বশুরবাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ৮নং রাধানগর ইউনিয়নের পশ্চিম কাশীপুর গ্রামে। বাড়িটির অবস্থান হচ্ছে আজিম ভুঁইয়া খালের ব্রিজের সঙ্গে। এনা পরিবহনের মালিক এনায়েত উল্লাহর বাড়ির কাছাকাছি তাদের বাড়ি। আমার বোনের শ্বশুরের নাম হচ্ছে মো. ইউসুফ এবং উনার বড় ছেলে (আমার বেয়াই হচ্ছেন জয়নাল মুহুরি)। তারা বর্তমানে বন্যা আক্রান্ত অবস্থায় আছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিদুৎ ও চার্জ সংকটের কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

ঢাকায় অবস্থান ও সাঁতার না জানার বিষয়টি উল্লেখ করে সাজ্জাদ নামে একজন লেখেন, আপনারা কেউ আমার নানুর বাড়ির পরিবারটিকে বাঁচান। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে নিজের বাড়িতে কোনো খোঁজ নেই। এটাও জানি না যে বাড়ির মানুষগুলো কেমন আছে। গতকাল থেকে নানুর বাড়ির মানুষগুলো ছাদের উপর ১৫ ফুট পানির সঙ্গে লড়াই করতেছে। সর্বশেষ মামার সঙ্গে কথা হওয়ার সময় বলেছিল- সাজ্জাদ আমাদেরকে বাঁচাও...। ফোনে শুধু ছোট ছোট মামাতো বোনগুলোর চিৎকার আর কান্না শুনছিলাম। রাত হলেই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে সেখানে।

তিনি আরও লেখেন, আপনাদের কাছে হাত জোড় করে শুধুমাত্র একটা অনুরোধ করতেছি- কেউ দ্রুত বোট নিয়ে ওনাদের রেসকিউ করুন প্লিজ। বাড়ি- বশির উল্লাহ ব্যান্ডের বাড়ি, গ্রাম- দক্ষিণ মন্দিয়া (উত্তরপাড়া) ছাগলনাইয়া, ফেনী।

আলামিন নামে আরেকজন লেখেন, ভাই আমরা ৩ ছাদে ৩৭ জন আছি, পানি অনেক জোরে উঠতেছে, হয়ত ৩০ মিনিটের মধ্যে ছাদ ডুবে যাবে, আমাদের উদ্ধার করেন। স্থান- ফেনী, ফাজিলপুর, একতা ক্লাব।

বন্যায় অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে উদ্ধারকাজেও ব্যাপক বেগ পোহাতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীদের। তাদের অনেকের পোস্টে ফুটে উঠেছে সেই অসহায়ত্ব । ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্পিড বোটের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন তারা। সৌরভ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী লেখেন, ফেনী সদরের ছনুয়া ইউনিয়ন দমদমা পাড় ১নং এর অবস্থা অনেক ভয়ানক। এখন কয়েকটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা স্পিডবোট দরকার।

শোভন নামে আরেকজন লেখেন, স্পিড বোট বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা পাঠান। হাজার হাজার লোক আটকা পড়ে আছে। এখনও উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব, পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে।

রবিন নামে আরেকজন লেখেন, ফেনী ফুলগাজী উপজেলার ধলিয়াতে অনেকেই আটকা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করা প্রয়োজন। যারা উদ্ধার কাজে আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি স্পিড বোট নিয়ে ঐদিকটায় যাওয়ার জন্য। হেলিকপ্টারের সাহায্যেও উদ্ধার করা সম্ভব। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে।

মেহেদি হাসান নামে একজন লেখেন, ভাই, আমাদের ত্রাণ লাগবে না। আমাদের স্পিড বোট আর ইঞ্জিনচালিত নৌকা লাগবে। না খেয়ে দুইদিন থাকা যাবে, কিন্তু পানির নিচে দুই মিনিটও না ভাই। প্লিজ স্বেচ্ছাসেবীদের বলুন। ফেনী থেকে বলছি।

এদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যায় কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজারের ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭  লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন।

অপরদিকে বন্যার প্রভাব পড়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে। ১২টি জেলায় বন্যার পানিতে অচল হয়ে গেছে ৫টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রায় ২ হাজার ২৫টি টাওয়ার। ফলে এসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লা এলাকার মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ার। এখানে প্রায় ৬০৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। এছাড়া নোয়াখালী জেলায় ৩৪৪টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮৪টি, ফেনী জেলায় ৪৬৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৩২টি, চাঁদপুরে ১২১টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১৯৪টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৯৪টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৬টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৪২টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪টি এবং রাঙ্গামাটি জেলায় ৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



জমির বিরোধে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে জমি জমা বিরোধ নিয়ে মো. সিরাজ উদ্দিন(৫৫) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের এ হত্যাকাণ্ডের এঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহত সিরাজের পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দুলারহাট থানা পুলিশ চরফ্যাশন হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত সিরাজ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত জেবল হকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত আবদুল বারেক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, নিহত সিরাজ উদ্দিন ও আবদুল বারেক তারা একই বাড়িতে বসবাস করেন। উভয় পরিবারের মধ্যে পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। এনিয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় উভয় পরিবারের মধ্যে মারামারির শুরু হয়।

এসয়ম আবদুল বারেকের পরিবারের সদস্যরা দলবল নিয়ে সিরাজ উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে কাপড় কাটা কেঁচি ও দা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করেন সিরাজ উদ্দিন, তার ভাই আবদুল মালেক, মো. বেল্লাল ও মো. রুহুল আমিনকে। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় সিরাজ উদ্দিনসহ অপর আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে হাসনাইন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্ষততার প্রভাব খাটিয়ে আবদুল বারেকসহ তার পরিবারের সদস্যর আমাদের খরিদা ৮০ শতাংশ জমি জবর দখল করে ছিলেন। সকালে তারা তাদের ওই খরিদা জমি ছেড়ে দিতে বলেন। এনিয়ে রাতে তাদের সাথে তর্কবাধে।ওই তর্কের জের ধরে রাতে আবদুল রারেক, তার ছেলে বাবুলসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেন।

দুলারহাট থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আবদুল বারেক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর



এবার গোলাপশাহ মাজার ভাঙার হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটছে। মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ঘিরে মানুষজন আহতও হয়েছে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট খুলেও মাজার ভাঙার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এর মাঝে নতুন করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত গোলাপশাহ মাজার ভাঙ্গতে গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজার ভাঙা কর্মসূচি শীর্ষক একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছে, যাতে প্রায় ২২ হাজার মানুষ সাড়া দিয়েছে।

সাধারণত সুফি বা ধর্মীয় প্রচারকদের কবর কেন্দ্রিক মাজার গড়ে ওঠে। যেখানে অনেকে মনোকামনা পূরণের উদ্দেশ্যে মানত করে থাকেন। যদিও ইসলামিক রীতিতে মাজার ব্যবস্থা কতটা ধর্মসম্মত, তা নিয়ে স্কলারদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোয় অনেক সময় মাজার কেন্দ্রিক ব্যবসা, প্রতারণা, মাদক ব্যবহার বা অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগ, সিরাজগঞ্জের একাধিক, ঠাকুরগাঁওয়ের বিবি সখিনার মাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছুসংখ্যক মাজার তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


আরও খবর



জেনিন থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজার জেনিন এবং ওই অঞ্চলে থাকা শরণার্থী শিবির থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। জেনিনে ১০দিন ব্যাপি তাণ্ডব চালানোর পর এমন সিদ্ধান্ত নিলো তেল আবিব। ফিলিস্তিনের নিউজ এজেন্সি ওয়াফা শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছে। রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, জেনিনে ইসরায়েল বাহিনী অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

এদিকে ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বাহিনী নিষ্ঠুরভাবে হামলা চালিয়ে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো জেনিন, তুলকার্ম ও শরণার্থী শিবিরে হামলা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। মূলত ওইদিন ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ।


আরও খবর



রামগঞ্জে খাল বিলের অর্ধ শতাধীক বাঁধ অপসারণ করলো প্রশাসন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় রামগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ খাল থেকে দ্রুত পানি সরানো ও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিভিন্ন খাল ও উন্মুক্ত জলাশয় থেকে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী বাঁধ, জাল, ও আন্টা, খড়াজালসহ বিভিন্ন সরাঞ্জম জব্দ ও বিনষ্ট করা হয়।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেব্রবত দাশ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

দুইদিন ধরে চলা এই অভিযানে পদ্মা বাজারে শাখা খাল, পানপাড়া ওয়াপদা খাল, পানপাড়া বাজার খালের অংশ, লামচর ইউনিয়নের বেড়ি বাজার সংলগ্ন খাল, রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খাল, রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর সড়কের মঠের পোলের উপর সংযোগ খাল, বেড়িবাজার হতে ডাজ্ঞাতলী ওয়াপদা খাল থেকে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও বাঁধগুলো কেটে দেয়া হয়।

এছাড়া আইয়েনগর ও দরবেশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পানির প্রবাহ সচল করতে বেশ কিছু বাঁধ কাটা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম, রামগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যসহ রেডক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, উপজেলার কোন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ বা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: রামগঞ্জ

আরও খবর