আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ ছিল প্রমাণ করেন: নানক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে কী কারণে মাতম করেন? কাঠের বাক্সের মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল সেটা প্রমাণ করেন? চট্টগ্রাম থেকে যে কাঠের বাক্সটি এসেছিল সেই বাক্স খুলে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকেও খুলে দেখানো হয়নি।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৫ আগস্টকে খুঁজতে গেলে আমাদের একাত্তরকে খুঁজতে হবে। সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল কারা? সেদিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে মুখ থুবড়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল কারা? কারা সেদিন পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দাদের প্রতিযোগী হিসেবে ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধকে বিপদগ্রস্ত করতে চেয়েছিল, সেই সামরিক অফিসার কারা? সেদিন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ফেডারেশন করতে চেয়েছিল জিয়া-মোশতাকরা।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলে মির্জা ফখরুলদের বুকে থরথরে কাঁপন আসে। থরথর করে কাঁপেন তারা। এ আগস্ট মাস শোকাবহ মাস। এ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করে আপনাদের জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিল। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের নিরাপদে বিশেষ বিমানযোগে গার্লফ্রেন্ডসহ কারা বিদেশে পাঠিয়ে ছিল? সেই জিয়াউর রহমান। মির্জা ফখরুল সাহেব, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে ফাস্ট সেক্রেটারি, সেকেন্ড সেক্রেটারি হিসাবে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরও বলেন, ২১ আগস্ট খালেদা জিয়াকে যেতে দেওয়া হয় নাই বলে মন্তব্য করেন। সবকিছু উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। গতকাল একটি আলোচনা সভায় কী বলেছেন? একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল? বাংলাদেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল এই খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান আর মতিউর রহমান-নিজামীরা। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। পাকিস্তানের ফ্যাক্টরিতে এটা তৈরি হয়। সেই গ্রেনেড কীভাবে বাংলাদেশে আসল?  হত্যাকাণ্ড ঘটালেন, সারাদিন কোনো পুলিশ ছিল না। তারপর আমরা যখন উদ্ধার করতে গেলাম তখন আমাদের ওপর পুলিশ অতর্কিত টিয়ারগ্যাস-লাঠিচার্জ করে হামলা করলো কেন? কেন সেদিন লাশ গুম করতে চেয়েছিলেন? কিন্তু জনতার বাধায় আপনারা সেদিন লাশ গুম করতে পারেননি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে মাতম করেন, কী কারণে করেন? এ লাশ কার ছিল? ওই কাঠের বাক্সের মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল প্রমাণ করেন? চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কোনো লাশ আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অতীতের বিভিন্ন ভূমিকার প্রশংসা করে নানক বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেছে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ। এ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে আনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এক/এগারোর সময় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতারের পর প্রথম প্রতিবাদ করেছিল ছাত্রলীগ। স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন। 


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট সুবিয়ানতো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন প্রাবোয়ো সুবিয়ানতো। বুধবার (২০ মার্চ) দেশটির নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে আনুষ্ঠানিক ফল। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় পান সুবিয়ানতো। তার প্রতিপক্ষ অ্যানিস বাসেদান ও গাঞ্জার প্রানো পান ২৫ ও ১৬ শতাংশ ভোট।

বিজয়ী ভাষণে ইন্দোনেশিয়ায় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন সুবিয়ানতো। ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব ইন্দোনেশীয়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। কারণ সামনে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

জয় পেয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকে ধন্যবাদ জানান সুবিয়ানতো। তিনি বলেন, তার তৈরি করা শক্ত ভিত্তির ওপর আমরা কাজ করে যাবো। বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতে আমাদের আরও কঠোর ও দ্রুত কাজ করতে হবে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ইন্দোনেশিয়ায় গত মাসে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বুথফেরত প্রাথমিক ফলাফলেই নিশ্চিত হয় সুবিয়ান্তোর বিজয়। বুধবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার সময় বিক্ষোভ করে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকরা। সহিংসতার আশঙ্কায় রাজধানী জাকার্তায় মোতায়েন করা হয় ৫ হাজার পুলিশ।


আরও খবর



৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে। সোমবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও এখনো শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোর্তিবিজ্ঞানিদের সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ফতোয়া কাউন্সিল এটি নিশ্চিত হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার টাইমজোন অনুযায়ী সিডনি ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ৯ এপ্রিল ভোর ৪টা ২০ মিনিটে নতুন চাঁদ উদয় হবে। ওই দিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১২ মিনিট পর, ৫ টা ৫১ মিনিটে দেখা মিলবে নতুন চাঁদের। আর পার্থসহ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নতুন চাঁদের জন্ম হবে স্থানীয় সময় ৯ এপ্রিল দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে। এদিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১৬ মিনিট পর, সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিটে উদয় হবে শাওয়াল মাসের চাঁদ।

এর ফলে, আগামী ৯ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় বিদায় নিচ্ছে ১৪৪৫ হিজরি বর্ষের রমজান। এতে আগামী ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


আরও খবর



ঈদে ১৭২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি ৮২, মৃত্যু ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। গত বুধবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় এসব মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গতকাল (বুধবার) রাত ১২টা থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনজনের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪