আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

চোখ জুড়ায় সোনার চর, রুপার চর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নাম তার সোনার চর। তার পাশে রুপার চর। আরও আছে মৌডুবি, তুফানিয়ার মতো বাহারি নামের অনেক চর। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় রয়েছে নয়নাভিরাম এসব চর ও দ্বীপ। প্রকৃতি তার সব রূপ-যৌবন যেন উজাড় করে দিয়ে সাজিয়েছে সোনার চরকে। সাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা তটরেখায় ঝুরঝুরে বালি। সোনারঙের বালি। শেষ বিকেলে রোদের আলো যখন সোনার চরে বেলাভূমিতে পড়ে তখন দূর থেকে সোনালি থালার মতো মনে হয়। যেন কাঁচা সোনার প্রলেপ দেওয়া। হয়ত এ কারণেই দ্বীপটির নাম হয়েছে সোনার চর।

দ্বীপের কাছাকাছি গেলে সহজেই চোখে পড়ে বুনো মহিষ। ভাগ্য ভাল থাকলে দেখা হতে পারে হরিণপালের সঙ্গেও। রয়েছে শূকর, বানর, মেছোবাঘসহ আরও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। এখান থেকে দেখা যায় সমুদ্রগামী হাজারো জেলের জীবনসংগ্রাম। সমুদ্রের নীল জলরাশি আর সবুজ প্রকৃতির এমন মিলন পটুয়াখালীর মধ্যে শুধু এখানেই সুলভ। কিন্তু এখানে যাওয়া বেশ ঝকমারি। তাই বেশির ভাগ পর্যটক কুয়াকাটা ঘুরেই ফিরে যান। সোনার চর, রুপার চরের সবুজ বনাঞ্চলের সন্ধানই হয়ত জানেন না অনেকে। চরজুড়ে রয়েছে লাল কাঁকড়ার মেলা। জোয়ারের পানি উথলে উঠলে অনন্য এক সৌন্দর্য বিকশিত হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার সৈকতের যেকোনো জায়গা থেকে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

পঞ্চগড় থেকে আসা পর্যটক রাইসুল বলেন, সোনার চর বাংলাদেশের মানচিত্রে আরেকটি বাংলাদেশের হাতছানি। সুন্দরবনের বাইরে সাগরবুকে এমন বালুচর আর ফরেস্ট দেখে আমরা মুগ্ধ। সি-ট্রাকের মাধ্যমে প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হত। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটন মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে।

যে পথে যেতে হয়: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শহর থেকে সড়কপথে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে পানপট্টি লঞ্চঘাট। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার বা স্পিডবোটে আগুনমুখা মোহনা পেরিয়ে দক্ষিণে যাত্রা। ডিগ্রি নদীর বুক চিরে একটু বাঁয়ে যেতেই আরেকটি নদী, বুড়াগৌরাঙ্গ। সামনে গিয়ে বাঁক ঘুরতেই দাঁড়ছিড়া নদী। দুই পাশে সার দেওয়া ম্যানগ্রোভ। নদীর বুকজুড়ে গাঙশালিকের অবাধ বিচরণ। সামুদ্রিক বাতাসের মৃদুমন্দ ছোঁয়া। পথে পড়বে মায়াবী দ্বীপ চরতাপসী। তাপসীর বাঁকে পৌঁছাতেই সোনার চরের হাতছানি।

যাতায়াত সহজ করার উপায়: কুয়াকাটা থেকে সোনার চর পর্যন্ত এবং একইভাবে গলাচিপা থেকে সোনার চর পর্যন্ত সি-ট্রাকের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকদের যাতায়াতে সুবিধা হয়। এসব চর আর সৌন্দর্যের লীলাভূমি দ্বীপগুলোকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার।

চর ঘিরে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বলে পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের মধ্যে আছে জাতীয় উদ্যান সৃষ্টি, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, মাটির কিল্লা নির্মাণ, বনের সাথে সাগরপারের ট্রেইল নির্মাণ প্রভৃতি।

নিউজ ট্যাগ: সোনার চর

আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনে আগামী ৫ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আপাতত এই আসনে নির্বাচন হচ্ছে না।

এর আগে, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। পরে উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. নায়েব আলী জোয়ারদার‌। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। যদিও সাগরিকার আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আছে বাতাসও। ক্রিকইনফোর আবহাওয়া আপডেট বলছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে বৃষ্টি হতে পারে।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। ওয়ানডেতে এর আগে ১৫টি ম্যাচ খেললেও বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হচ্ছে তার। টসের আগে তার মাথায় টি-টোয়েন্টি অভিষেকের ক্যাপ পরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

দুই দলের একাদশ

বাংলাদেশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদজননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।

শনিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজ শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদজননী জাহানারা ইমাম।

এই জাদুঘরে সরকারি উদ্যোগ ব্যাপকভাবে লোকসমাগম হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আনার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামস ঘাতক-দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেটা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা কিছুটা হলেও হয়, কিন্তু রাজাকারদের আলোচনা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদজননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের মা হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদজননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা একাত্তরের দিনগুলি বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর