আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চোখ ওঠার লক্ষণ কী কী?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিসে অনেকেই এখন আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি ভাইরাসজনিত এক সংক্রমণের কারণে ঘটে। একে পিংক আইজ বা গোলাপি চোখও বলা হয়। শুধু বড়দের মধ্যেই নয় নবজাতকসহ সব বয়সীদের মধ্যে কমবেশি এই সমস্যায় ভোগেন। কখনো ভাইরাল ফ্লুর কারণে, তোর আবার কখনো অ্যালার্জি কিংবা চোখে ক্ষতিকর কোনো পদার্থ ঢোকার কারণেও এটি হতে পারে। এক্ষেত্রে চোখে চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ব্যথা, লালচে ভাব ও ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

চোখ ওঠা কী: গোলাপি চোখ বা কনজাংটিভাইটিস হলো চোখের স্বচ্ছ ঝিল্লির (কনজাংটিভা) একটি প্রদাহ বা সংক্রমণ। এই ঝিল্লিই চোখের পাতার মাধ্যমে সাদা অংশকে ঢেকে রাখে। যখন কনজাংটিভায় ছোট রক্তনালিগুলো ফুলে যায়, তখন সেগুলো আরও দৃশ্যমান হয়। এ কারণেই চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপি দেখায়। গোলাপি চোখ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণ, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে দেখা দেয়। চোখ ওঠার সমস্যা যন্ত্রণাদায়ক হয় ও এটি দৃষ্টিকেও প্রভাবিত করে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই গোলাপি চোখের কারণে কর্নিয়ায় প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা দৃষ্টিকে প্রভাবিত করতে পারে।

চোখ ওঠার লক্ষণ কী: এক বা উভয় চোখে লালভাব, চুলকানি, আক্রান্ত চোখে তীক্ষ্ণ অনুভূতি, চোখে সাদা/হলুদ/সবুজ স্রাব জমা, চোখ ফুলে যাওয়া, দেখতে সমস্যা হওয়া, চোখে ব্যথা বা যন্ত্রণা, আলোর প্রতি সংবেদনশীল, চোখ দিয়ে বারবার পানি পড়া, চোখে জ্বালাপোড়া।

চোখ ওঠার কারণ কী: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জি, চোখে রাসায়নিকের প্রবেশ, চোখে কোনো বস্তু ঢুকলে।

ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়া কনজাংটিভাইটিস: পিংক আইজ বা কনজাংটিভাইটিসের অন্যতম কারণ হলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এটি অ্যাডেনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, তবে হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস ও করোনাভাইরাসের কারণেও হতে পারে। ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস উভয়ই সর্দি বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণগুলোর সাথে প্রকাশ পায়। পরবর্তী সময়ে সংক্রমিত ব্যক্তির চোখ থেকে নিঃসৃত তরলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। এক বা উভয় চোখই এতে প্রভাবিত হতে পারে। তবে চোখ ওঠার সমস্যা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চোখের অস্বস্তি কমাতে পারবেন। কারণ চোখ ওঠার সমস্যাটি সংক্রামক হতে পারে, প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত এর থেকে মিলবে সুস্থতা।

কখন ডাক্তার দেখাবেন:  চোখে যদি প্রচুর হলুদ বা সবুজ স্রাব বের হলে, চোখের পাতা খুলতে কষ্ট হলে বা একসসঙ্গে আটকে থাকলে, আলোর দিকে তাকালে চোখে তীব্র ব্যথা হলে, ঝাপসা দৃষ্টি, জ্বর, কাপুঁনি, মুখের ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।

এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া নবজাতকের চোখ উঠলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান, না হলে শিশুর দৃষ্টিকে স্থায়ীভাবে ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনার লক্ষণগুলো হালকা থাকে কিন্তু লালভাব ২ সপ্তাহের মধ্যে উন্নতি না হয়, সেক্ষেত্রেও চোখের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: চোখ ওঠা

আরও খবর



‘মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া’র মুকুট জিতলেন শ্বেতা সারদা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৩ এর খেতাব জিতলেন শ্বেতা সারদা। রবিবার রাতে মুম্বাইয়ে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। শ্বেতাকে বিজয়ের মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিজয়ী দিভিতা রায়। আগামী ৭২ তম মিস ইউনিভার্সে ভারতের হয়ে অংশ নেবেন শ্বেতা।

এছাড়া দিল্লির মেয়ে সোনাল কুকরেজা মিস ডিভা সুপারন্যাশনাল ২০২৩-এর খেতাব লাভ করেন। রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন কর্ণাটকের তৃষা শেঠি।

ভারতের চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা শ্বেতা সারদা। বয়স ২২ বছর। ১৬ বছর বয়সে স্বপ্ন-পূরণের জন্য মায়ের সঙ্গে মুম্বাই পাড়ি জমান। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে শ্বেতাকে বড় করেছেন তার মা।

এই বিউটি পেজেন্টে অংশ নেওয়ার আগে শ্বেতা একাধিক রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ড্যান্স ইন্ডিয়া ড্যান্স, ড্যান্স দিওয়ানে, ড্যান্স প্লাস, ইত্যাদি।


আরও খবর



বাড়িতে খরগোশ পালন করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

খরগোশ তৃণভোজী শান্ত ও নিরীহ স্বভাবের প্রাণি। এখনো বাংলাদেশে খরগোশ পালন ব্যাপক আকারে হয়ে ওঠেনি। তবে বাণিজ্যিকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খরগোশ পালন অনেক লাভজনক। তার আগে জেনে নিতে হবে খরগোশ পালনের নিয়ম-কানুন।

যেখানে পাবেন: ঢাকার কাঁটাবন, মিরপুর, কাপ্তান বাজারসহ বিভিন্ন পশু-পাখি ও অ্যাকুরিয়ামের দোকানে পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে গাজীপুরের টঙ্গী মার্কেট, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়ও পাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, নেত্রকোণাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে কিনতে পাওয়া যায়।

পালনের সুবিধা:

১. দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণি।

২. একসাথে ২-৮টি বাচ্চা প্রসব করে।

৩. একমাস পরপর বাচ্চা প্রসব করে।

৪. খাদ্য দক্ষতা অপেক্ষাকৃত ভালো।

৫. মাংস উৎপাদনে পোল্ট্রির পরেই খরগোশের অবস্থান।

৬. কম জায়গায় কম খাবারে পালন করা যায়।

৭. কম খরচে বেশি উৎপাদন সম্ভব।

৮. খরগোশের মাংস বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।

৯. রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট, ঘাস ও লতা-পাতা এর খাবার।

১০. পারিবারিক শ্রমের সফল ব্যবহার করা সম্ভব।

১২. হোটেল, রেস্তোরাঁ বা ভোজসভায় এর মাংসের অনেক কদর।

যেভাবে পালন করবেন: বাড়ির ছাদ, আঙিনা বা বারান্দায় ছোট আকারের শেড তৈরি করে খরগোশ পালন করা যায়-

লিটার পদ্ধতি: কমসংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য এ পদ্ধতি উপযোগী। এর জন্য মেঝে কংক্রিটের হওয়া উচিত। খরগোশ মাটি খুঁড়ে গর্ত বানায়। লিটার পদ্ধতিতে মেঝের ওপর ৪-৫ ইঞ্চি পুরু করে তুষ, কাঠের ছিলকা অথবা ধানের খড় ছড়িয়ে দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে খরগোশ পালন করতে হলে একসাথে ৩০টির বেশি খরগোশ পালন করা ঠিক নয়। পুরুষ খরগোশ আলাদা ঘরে রাখতে হবে। কারণ খরগোশ সামলানো খুব কঠিন। শুধু প্রজননের জন্য পুরুষ খরগোশকে স্ত্রী খরগোশের কাছে ১০-১৫ মিনিট ছেড়ে দেওয়া হয়।

খাঁচা পদ্ধতি: বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালনের জন্য খাঁচা পদ্ধতি বিশেষ জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে খাঁচার জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩-৪ তাকবিশিষ্ট খাঁচা বেশি উপযোগী। খরগোশের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রেখে প্রতিটি তাকে খোপ তৈরি করতে হবে।

প্রয়োজনীয় জায়গা:

ক. একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট জায়গা দরকার।

খ. পূর্ণবয়স্ক মা খরগোশের জন্য দরকার ৬ বর্গফুট (প্রসূতি ঘরসহ)।

গ. বাচ্চা খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট দরকার।

খরগোশের খাবার: কচি ঘাস, লতা-পাতা, গাজর, মুলা, শস্যদানা, মিষ্টি আলু, শসা, খড়কুটো, তরকারির ফেলনা অংশ, গম, ভুসি, কুড়া, খৈল, সয়াবিন, দুধ, পাউরুটি, ছোলা নিত্যদিনের খাবার। ঘাস ও শাক সবসময় শুকনা বা ঝকঝকে অবস্থায় দিতে হবে। ভেজানো গম বা ছোলা অল্প সেদ্ধ করে এর সাথে ভুসি মিশিয়ে দিলে ভালো হয়।

নিউজ ট্যাগ: খরগোশ পালন

আরও খবর
কমল সোনার দাম

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পিরোজপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ শ্লোগান ধারণ করে পিরোজপুরে বিভিন্ন সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের সরাসরি অভিযোগের গণশুনানির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সেবা পেতে হয়রানি বা ঘুষ, দুর্নীতির শিকার সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ এবং সেবা প্রদানকারী সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এ গণশুনানি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণশুনানি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক অভিযোগের বিষয়ে নিয়ে দুদকের তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়েছে। ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি সম্পদ ও অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের বিষয়ে সেবা গ্রহণকারীরা বিভিন্ন ব্যক্তি, সরকারি, আধা সরকারি অফিসের অনিয়ম, ভোগান্তি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযুক্ত অফিসের কর্মকর্তাগণের আনিত অভিযোগের জবাব দেন। দুদকের সচিব দুপক্ষের বক্তব্য শুনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আনিত অভিযোগ সমাধান করার নির্দেশ দেন।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, বরিশাল  বিভাগীয় পরিচালক  আব্দুল গাফফার, অনুষ্ঠিত গণশুনানির মডারেটর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর  রহমান, পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ শফিউর রহমান, দুদক জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পিরোজপুরের সভাপতি মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান নাসিম প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দুদক এর খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ। গণশুনানিতে ৪৪টি অভিযোগের শুনানি হয়। এরমধ্যে কিছু অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা ও কিছু অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


আরও খবর



সাভারে পারিবারিক মন্দির থেকে মূর্তি চুরি: আটক তিন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে একটি পারিবারিক মন্দির থেকে ১৩টি মূর্তি চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটলে, চুরির সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সাভার থানা পুলিশ। এ সময় উদ্ধারকৃত মূর্তিগুলো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মন্দিরের মালিকের হাতে তুলে দেয়া হয়।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস ও ট্রাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফি। এরআগে, রোববার রাতে সাভারের মজিদপুর থেকে মূর্তিগুলো উদ্ধার করাসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত আসামিরা হলেন-সাভারের কাতলাপুরের নিতাইয়ের ছেলে নির্মল (২৫), একই এলাকার মজিদুপুরের জাবেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে মো. আমির হোসেন ব্যাপারী (৫৫) ও ভোলা জেলা থানার বেলু মিয়ার চর গ্রামের মৃত ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে শহিদ হাওলাদার (৩৫)। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ আগস্ট দুপুরে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বরুণ ভৌমিক নয়নের বসতবাড়ির চতুর্থ তলার মন্দিরের ভেতর থেকে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি আসামিরা সুকৌশলে জানালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায়।

পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মাহমুদুল হাসান একটি চৌকস টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে সিসি টিভি ফুটেজের সহায়তায় ১৩টি মূর্তি ও উপসনালয়ের বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে এবং আসামিদের আটক করা হয়।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস ও ট্রাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, বরুণ ভৌমিক নয়নের মন্দিরের তার প্রয়াত মায়ের রেখে যাওয়া স্মৃতি স্বরূপ দুইটি পিতলের মূর্তি চুরি হয়। পরে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাভার মডেল থানা পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে চার ঘণ্টার মধ্যে সব মূর্তি ও মালামাল উদ্ধার করেন। আসামিদের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে যেতে চাই বহুদূর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী

Image

বর্তমানে দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্র এক কঠিন সময় পার করছে। কারণ ছাপার কাগজ ও ছাপার সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে পত্রিকা চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেক বড় বড় পত্রিকারও সার্কুলেশন কমিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও কমাতে হচ্ছে। কারণ কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, বেড়েছে প্লেটসহ অন্যান্য সামগ্রীরও দাম। এমন পেক্ষাপটে পত্রিকারও মূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক কমে গেছে বিপুলভাবে। অথচ পাঠকই সংবাদপত্রের প্রাণ ও মূল চালিকাশক্তি।

অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে মুছে ফেলা যায়। কিন্তু ছাপা সংবাদ মুছে ফেলার সুযোগ নেই। কারণ প্রিন্ট ইজ প্রুফ (ছাপাই প্রমাণ)। এ জন্যই আমি আশাবাদী, যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন প্রিন্ট পত্রিকা টিকে থাকবে। ভবিষ্যতে অতীত হবে না ছাপা কাগজ।

সংবাদপত্র সাধারণ মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে, দেশের কথা বলে। দেশ পরিচালনায় সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরে, সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র সমাজকে সজাগ করে, সম্ভাবনার কথা বলে। সমাজ প্রগতির কথা বলে, সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এ কারণে সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সেই দর্পণে সমাজের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংবাদপত্র পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালনা করা সমাজের সঠিক প্রতিবিম্ব ও প্রতিফলনের চিত্র তুলে ধরার পূর্বশর্ত। তাই সংবাদপত্রকে সমাজের অন্যকোনো বিষয়ের সাথে তুলনা করা চলে না। এ কারণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিককে চলতে হয় বন্ধুর পথে, অতিক্রম করতে হয় অনেক দুর্গম পথ। এভাবেই সংবাদপত্র হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।

আর সেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) আজকের দর্পণের জন্মদিন। ৯ বছর আগে ‘সত্যের খোঁজে প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে আমার বড়ভাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আজকের দর্পণ-এর যাত্রা শুরু করেছিলেন। অদম্য মনোবল আর প্রচণ্ড সাহস নিয়ে শুরু হয়েছিল আজকের দর্পণের পথচলা। নানা বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে নয়টি বছর পেরিয়ে দশ বছরে পর্দার্পণ করলো আজকের দর্পণ।

এরই মধ্যে পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে পত্রিকাটি। ব্যাপক জনপ্রিয় না হলেও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আজকের দর্পণ’ এ আমার আত্মবিশ্বাস। পত্রিকাটির জন্ম আমার হাতে না হলেও আজ এটি আমার সন্তানের মতো। এ কাগজটি প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভূমিকাই বেশি।

একমাত্র পাঠকের ভালোবাসায়, বিজ্ঞাপনদাতাদের সহযোগিতায়, হকার ও এজেন্টদের আন্তরিকতায় কোনো বড় গ্রুপের অর্থলগ্নি ছাড়াই পথ চলছে ‘আজকের দর্পণ’। এ আমাদের এক অন্যরকম শক্তি। এ কারণেই ‘আজকের দর্পণ’ কারো মুখাপেক্ষী নয়। ‘আজকের দর্পণ’ এমন একটি জাতীয় দৈনিক যেটা দেশের কথা বলবে, দেশের মানুষের কথা বলবে। এ দেশের আপামর মানুষের কণ্ঠই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘আজকের দর্পণ’ পত্রিকায়। এ জায়গা থেকে আমরা একটুও সরে আসিনি, একচুল পরিমাণও ছাড় দেইনি। দেশপ্রেম প্রশ্নে একচুলও আপস করিনা আমরা। ‘আজকের দর্পণ’ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দেশের মানুষের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো দল বা গোষ্ঠীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, দায়বদ্ধও নয়। তাই ‘আজকের দর্পণ’ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করে না। এর ব্যত্যয় ঘটবে না কখনো।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সাথে নিয়েই আমাদের এ পথচলা। আমাদের এ পথচলায় আমরা সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের অবদানের কথা আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আপনাদের ভালোবাসায় ‘আজকের দর্পণ’ অসম সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগোবেই।

সম্প্রতি আজকের দর্পণ-এর ই-পেপার ও অনলাইন পোর্টাল আরো আপগ্রেড করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পত্রিকাটিকে আরো পাঠকপ্রিয় কাগজে পরিণত করা হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা  ও শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন ও সহযোগিতা। আশা করি, আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত আগের মতো প্রসারিত থাকবে।

পরিশেষে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। যতোই সংকট থাকুক, প্রতিকূলতা আসুক, নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আমরা যেতে চাই বহুদূর।


সম্পাদক ও প্রকাশক, আজকের দর্পণ


আরও খবর
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে অস্থির ইউকে এবং ইইউ

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩