আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চোখের জল কেন নোনতা?

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কান্না পাক, না পাক। চোখের জল তৈরি হবে। চোখ বন্ধ করলেই জলে ভরে যায়। না হলে যে চোখ শুকিয়ে যাবে!

তিন ধরনের অশ্রু হয়। বেসাল, ইরিট্যান্ট আর ইমোশনাল। চোখে সাধারণ অবস্থায় যে জল তৈরি হয়, তা হল বেসাল। চোখ যাতে শুকিয়ে না যায়, তার যত্ন নেয় এই জল। ইরিট্যান্ট অশ্রু তৈরি হয় হঠাৎ চোখে কোনও অস্বস্তির কারণ ঘটলে। হয়তো ধুলো ঢুকল কিংবা পেঁয়াজ কাটার সময়ে ঝাঁঝ গেল। মন খারাপ, রাগ, অভিমানে তৈরি হয় অন্য অশ্রু। ইমোশনাল। এ সময়ে জলের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি।

বেশি কান্না পেলে চোখের জল ঠোঁটে এসে পড়েই। ফলে অশ্রুর স্বাদ কারও অজানা নয়। সকলেই বলবেন, চোখের জলের স্বাদ খানিকটা নোনতা। কিন্তু কেন? তা কেউ জানেন কি?

ল্যাকরিমাল গ্ল্যান্ড থেকে তৈরি হয় চোখের জল। জলের সঙ্গে এতে থাকে ফ্যাটি অয়েল আর ম্যুকাস। আর থাকে প্রায় দেড় হাজার রকমের প্রোটিন। ম্যুকাস চোখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আর তেলের উপস্থিতি আছে অন্য কারণে। চোখের জল যাতে উবে না যায় সহজে, সেই দায়িত্ব তেলের। এ সবের সঙ্গে ইমোশনাল চোখের জলে থাকে আরও একটি পদার্থ। তা হল স্ট্রেস হরমোন। সবে মিলেই চোখের জলের নোনতা স্বাদ তৈরি করে।

নিউজ ট্যাগ: চোখের জল

আরও খবর
কেমন হবে বৈশাখের সাজ

শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪




অবশেষে বুয়েটে ঢুকে পড়ল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রবেশ করে বুয়েট ক্যাম্পাসে।

এর আগে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।

এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ নেতাকর্মীরা। ফুল দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এরপরও বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলগুলোর প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নে মিনারা বেগম ও সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার ঈশানা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মাঠে গরু আনতে যাবার সময় মাহিয়া আক্তার শিশু নিহত হয়। সদর উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি চলাকালে মিনারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও বলেন, সকালে তাণ্ডব চালানো এই বজ্রসহ ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর ভেঙে পড়েছে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দুপুর দেড়টায় ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ আসলেও রাজাপুর ও কাঠালিয়াসহ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: এক বাড়িতেই নিহত ৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্য গাজার পশ্চিমাঞ্চলে নুসিরাত শরণার্থী ক্যাস্পের কাছে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তঃস্বত্তা নারীও রয়েছেন।

ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই গণহত্যার জন্য মার্কিন প্রশাসন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়ী।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ঠেকাতে বিরল বৈঠক করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠি হুতি ও গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গত সপ্তাহে এ দুটি সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র এএফপিকে বলেছে, বৈঠকে গাজা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কীভাবে সমন্বিত আক্রমণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোথায় এ বৈঠক হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বৈঠকে রাফায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়েও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হুতিদের আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতাহিয়হু জানান, তিনি রাফাহতে অভিযানের জন্য সামরিক বাহিনেকে অনুমোদন দিয়েছেন।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। তাতেও হামলা কমেনি।


আরও খবর



লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমল

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর। ফারসি ভাষায় যা শবে কদর নামে খ্যাত। লাইলাতুল কদর এমন এক মহিমান্বিত রজনী যে রজনীতে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। মূলত এজন্যই এই রজনী এত ফজিলতপূর্ণ আর এই রজনীর কারণেই মাহে রমজান এত সম্মানিত।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এই রজনীর গুরুত্ব বুঝাতে কদর নামে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই আমি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আর আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। সুরা কদর: ১-৫

পবিত্র কুরআনে লাইলাতুল কদরকে আল্লাহ তাআলা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহর কোন বান্দা যদি এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে তবে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করার সাওয়াব লাভ করবে। এক হাজার মাসে ৩০ হাজার রাত্রি হয়। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০ হাজারগুণ অপেক্ষাও বেশী!

সুতরাং বলা যায় এ রাতের একটি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার তাসবিহ অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপভাবে, এই রাতের এক রাকাত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার রাকাতের চেয়েও উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল লাইলাতুল কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। তাই যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, মূলত সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।

এছাড়াও লাইলাতুল কদরের রাতের অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। কদর রজনীর ইবাদত, সালাত আদায়ের ফলে পূর্ববর্তী জীবনের গুণাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ইমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৪।

এই ফজিলতপূর্ণ রাতটি কখন? কোন সময় আসে? এ সম্পর্কে রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী: ২০২০

তাহলে শেষ-দশক মানে কি রমজানের শেষ দশকে প্রতিদিন লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে? এই প্রসঙ্গে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকের বেজোড় রাতসমূহে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী : ২০১৭

অর্থাৎ মাহে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এ পাঁচটি রাতের মধ্যে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর তালাশ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যে ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে লাইলাতুল কদর পালন করি এর ভিত্তি কী? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য এ রাতের ব্যাপারে আরও নির্দিষ্ট করে বলছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অক্ষম হয় বা দুর্বল থাকে তাহলে সে যেন ২৭ রমজানের রজনীকে লাইলাতুল কদর বলে বিবেচনা করে ইবাদত করে। মুসলিম: ১১৬৫

হযরত উবাই ইবনে কাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর বিবেচনা করে ইবাদত করতে বলেছেন।

এছাড়াও মুহাক্কিক ইমামগণ বলেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে নয়টি হরফ বা আরবি বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই সাতাশে রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাফসিরে মাযহারি

যে রাতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হবে তার কিছু আলামত হাদিস শরিফে এসেছে:

১. আকাশ মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল থাকবে। তিরমিজি

২. ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি তথা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে। তিরমিজি

৩. রাতগত দিনে সূর্য উদিত হবে আলোক-রশ্মীহীন অবস্থায়, অর্থাৎ সূর্যের চিরচেনা তেজবিহীন অবস্থায়। মুসলিম, সহিহ ইবনে খুযায়মা

মহিমান্বিত এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে? কী চাইবে? এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন: একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, যদি আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী দোয়া পড়বো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। সুনানুত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩

সুতরাং, লাইলাতুল কদরে আমাদেরকে আমল ও দোয়ার মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা জরুরি। আর কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই রাতের কতিপয় আমল হলো-

১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ, সুরা ইখলাস ইত্যাদি সুরা তিলাওয়াত করা।

১০. অধিক পরিমাণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম ও দরূদ শরিফ পাঠ করা।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা,

১৪. কবর জেয়ারত করা।

১৫. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা।

এছাড়াও এই রাতে নিজেকে নানাবিধ ইবাদতে ব্যস্ত রাখা। কারণ এই রাতের ইবাদতের দ্বারা আমাদের জীবনের গুণাহসমূহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতকে অবহেলায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পালন করে কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুক। আমিন বিজাহিন নাবিয়্যিল কারিম রাউফুর রাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


আরও খবর
শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, মোদির বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে সে দেশের রাজপথ। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এখন কারাগারে। তার অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন তার স্ত্রী।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তারের গুঞ্জন বাতাসে। সত্যি যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আরও উত্তপ্ত হবে ভারতের রাজনীতি।

এদিকে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারতের রাজধানী। দফায় দফায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে।

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে একাধিক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। গোটা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি কোনওরকম মিটিং-মিছিলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।''

তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়।

এর পরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে পুলিশ। শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইন-সহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন জেল থেকেই তিনি রাজ্য চালাবেন। দুদিন আগে জেল থেকেই নিজের প্রথম সরকারি নির্দেশ দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এবার ফের একবার ইডি হেফাজত থেকেই নিজের দ্বিতীয় সরকারি নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভারদ্বাজ জানালেন, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্যাথলজি পরীক্ষার দ্বিতীয় নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল। সৌরভ এদিন বলেন, দিল্লিবাসীর যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্যেই নিজের কাজ ইডি হেফাজতে থেকেও চালিয়ে যাবেন কেজরিওয়াল।

স্বাস্থ্য পোর্টফোলিওর দায়িত্বে থাকা সৌরভ ভারদ্বাজ একটি প্রেস মিটে বলেন, তিনি ভিতরে বা বাইরে যেখানেই হোন না কেন, যখনই কোনও আন্ডার প্রিভিলেজ ব্যক্তি ওষুধ নিতে সরকারি হাসপাতালে যায়, তখনই তার তা পাওয়া উচিত। একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি ওষুধ কিনতে পারেন, কিন্তু দিল্লির লক্ষাধিক আন্ডার প্রিভিলেজ পরিবার ওষুধের জন্য সম্পূর্ণরূপে সরকারি হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল। এই ওষুধগুলির মধ্যে কিছু আজীবন খেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী কিছু মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুবিধার সমস্যা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। তাই তিনি আমাকে নিশ্চিত করতে বলেছেন যে সমস্ত হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকগুলি যেন বিনামূল্যে পরীক্ষা এবং ওষুধ সরবরাহ করে।

এই বিতর্কের মাঝেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গি মুক্তির বিনিময়ে খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের থেকে ১৩৪ কোটি টাকা নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! এমনটাই দাবি করে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন শিখস ফর জাস্টিস প্রধান। পান্নুনের ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে আম আদমি পার্টি।

কেজরিকে বিপাকে ফেলে খালিস্তানি জঙ্গি নেতার অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত খলিস্তানি সংগঠনগুলির থেকে মোট ১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পেয়েছে আম আদমি পার্টি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৩.৫৪ কোটি টাকা। অবশ্য পান্নুনের এহেন দাবি পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে আপের তরফে। তাদের বক্তব্য, আম আদমি পার্টি কখনও দেশবিরোধী কাজ করে না। তবে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।


আরও খবর