আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

চোখের কৃত্রিম লেন্সের দাম বেঁধে দিল সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অনেকেই চোখে কৃত্রিম লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। তবে চোখের এই লেন্স কিনতে গিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এবার সেই বিড়ম্বনা কিছুটা হলেও কমবে। চোখের লেন্সের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এখন থেকে ২৯টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১২৯ ধরনের লেন্সের দাম সর্বনিম্ন ১৪৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এ দামেই রোগীদের লেন্স সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।

গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব হাসপাতালে কৃত্রিম লেন্সের নতুন মূল্যতালিকা নোটিশবোর্ডে প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেন্সের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে লেন্সের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং উৎপাদক দেশের নাম উল্লেখ করে ক্যাশমেমো দিতে হবে। ফ্যাকো সার্জারির পর রোগীকে লেন্সের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে। লেন্সের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদক দেশ এবং সর্বোচ্চ খুচরামূল্য উল্লেখ থাকতে হবে, যাতে সার্জনরা সেটি দেখে নির্দেশনা দিতে পারেন।

ঔষধ প্রশাসন ও কসমেটিক আইন ২০২৩ এর ৩০ (১) ধারা অনুসারে অধিদপ্তর কৃত্রিম লেন্সের এই দাম নির্ধারণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

কোন লেন্সের কত দাম

থাইল্যান্ডের হয়া ল্যাম্পুন লিমিটেডের হয়া আইইএনএস-২৫১ মডেলের লেন্সের দাম হবে ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা, হয়া আইইএনএস-১৫০ মডেল ৯ হাজার ৮৫ টাকা, এক্সওয়াই১-এসপি মডেল ২১ হাজার ১৯০ টাকা, পিসি-৬০ এরা মডেল ৮ হাজার ৩২৫ টাকা, হয়া ভিভিনিক্স টরিক ৪৬ হাজার ২৩৮ টাকা, হয়া নামিক্সমাল্টিসেরট ১৯ হাজার ২৮০ টাকা।

ভারতের ট্রফোল্ডফোডেবল ১ হাজার ১৯০ টাকা, এক্সিলেন্স রিজিড পিএমএমএ ২০৩ টাকা, অপটিমা লেন্স ২০১ টাকা, অপটিমা এ্যাক্রিলিক ৮৭১ টাকা, ম্যাক ফোল্ড ৮০০ টাকা, অপটিমা ভিইউই ৩ হাজার ৮০০ টাকা, আইক্রেল টোরিক ১৬ হাজার ৪৪২ টাকা, আইক্রেল প্লাস ৪ হাজার ৭৩৩ টাকা, আইক্রেল প্লাস হাইড্রোলিলিক ১ হাজার ৪২৪ টাকা, আইক্রেল এসইআরটি ৬ হাজার ৩৬০ টাকা, একোয়া ফোল্ড ১ হাজার টাকা, এক্রিভাস ২ হাজার ৯৫০ টাকা, ইউরোলেন্স ২২৮ টাকা, ইউরোঢোল্প ১ হাজার ১৩ টাকা, ইউরোভিউ ৩ হাজার ১৬৫ টাকা, ইউরোভিউ টোরিক ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, ইউরোভিউ ডিফাইন ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, ইউরোভিউ ইভি গোল্ড ৭২৯৩ টাকা, ইউরোব্ল ২২০ টাকা, ইউরোভাইস ৩০৫ টাকা, ইউরোজেল প্লাস ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ইউরোসিল ৪ হাজার ২৫০ টাকা, আইরো অপকটেন লিকুইড ৫ হাজার ৯৩২ টাকা, ন্যানো আইওএল ৫ হাজার ৯৩০ টাকা, ন্যনো আইএএল ২০১ টাকা, ন্যানো এসকিউডি৩৬০ ৪০২ টাকা, ন্যানো কিউ ৪৯১ টাকা, ন্যানো ফোল্ড ৮৭১ টাকা, আইলা এ্যক্রেলিক ৩ হাজার ২৬৬ টাকা, এ্যাক্রিল ৮৯০ টাকা, ক্লারভিউ ৬৮০ টাকা, হাইড্রোফিল (এফএ-৬০২৫) ১ হাজার ১৪৫ টাকা, কেটরাকোর ১৮১ টাকা, গ্লোফোল্ড ৭২৬ টাকা, অকুফ্লিস ৭৮০ টাকা, আই-ও-কেয়ার ১৪৩ টাকা, অ্যাক্রোল ইসি ৪ হাজার ৫৪৬ টাকা, অ্যাক্রোল প্রিলোডেড ২ হাজার ৭২৮ টাকা, অ্যক্রিডিফ ২১ হাজার ৪২৯ টাকা, অ্যাপেলেন্স ২২৮ টাকা, অ্যক্রিফোল্ড ইন্ট্রিকুলার ১ হাজার ১৩ টাকা, সুপার ফোব ৩ হাজার ২৬৬ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের একিউট পিএমএমএ ১ হাজার ৫৯৮ টাকা, একিউইটি হাইপ্রোফোবিক ৬ হাজার ৬৬০ টাকা, আইকিউ এক্রেলিক ১৬ হাজার ৩২৫ টাকা, এক্রোসফ মাল্টপিস ৬ হাজার ৯০০ টাকা, এক্রোসফ এক্রলিক ৯ হাজার ৭০২ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ টরিক ৪১ হাজার ৫০৫ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ এসফেরিক ১৮ হাজার ৫৮৪ টাকা, এক্রোসফ আইকিউপেনপটিক্ ৮০ হাজার ২২৩ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ ভিভিটি ৮৬ হাজার ১২৫ টাকা, ক্লেরন হাইড্রোফবিক ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিলিক ৪ হাজার ৫৫০ টাকা, সানকস্ট পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা, মাইরাডো ১১ হাজার ৫০০ টাকা, ভিসটাজো ৫ হাজার ৪০০ টাকা, ওএসআই পিএমএমএ ১ হাজার ৫০০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিবিক ১৩ হাজার টাকা, ইভিও ভিসিআন আইসিএল ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও ভিসিন টোরিক আইসিএল ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, ইভিও প্লাস ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও প্লাস ভিসিন টোরিক ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, একেআরইওএস (মাইক্রো) ১৩ হাজার ৭২৪ টাকা, একেআরইওএস (এডভান্স) ৮ হাজার ২০০ টাকা, ইএন ভিসটা ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, আইএসআইওএল পিএমএমএ ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, এমডিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬০০ টাকা, এমডিআর হাইড্রোলিলিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এমডিআর হাইডোফিলিক এ্যক্রেলিক ৬ হাজার ৯০০ টাকা, আইএসআইএএল ফোল্ডাবেল ৪ হাজার ৮০ টাকা, টেক-লেন্স ২৬ হাজার ৬০০ টাকা, টেক লেন্স (৮৭২) ৫৯ হাজার টাকা, টেক লেন্স (৮৭২ ওয়াই) ৬ হাজার ৪০০ টাকা, টেক লেন্স (৯০০) ৭ হাজার ৯৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট (পি ৩০২ এ) ১৫ হাজার ১৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট (পি ৩০২ এসি) ৯ হাজার ৮৫০ টাকা, হাইড্রোফিলিকসিএলএম ফ্লিক্স-৪২ ৫ হাজার ১০০ টাকা, অ্যস্ট্রেরি ৫৬ ইনজেক্টর ৭ হাজার টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (আইবি ৬০) ১০ হাজার ৪০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (২৫ বিএসওয়াই) ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (এইচপি-২৫) ১১ হাজার ২০০ টাকা, সেনসার এইচডিওয়াই ৭ হাজার ৩২৫ টাকা, সেনসার-১ পিস ৯ হাজার ৫৯৭ টাকা, টেকনিস মনোফোকাল ১৬ হাজার ৫৬২ টাকা, টেকনিস সিমফনে ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা, টেকনিস আইহেন্স ২২ হাজার ৯২২ টাকা, ডিজিআর হাইডোফোবিক ৬ হাজার ৯০৩ ও ৪ হাজার ৮৮ টাকা এবং ডিজিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা।

জাপানের নেক্স লয়েড এসপি ১৪ হাজার টাকা, নেক্স লয়েড এসপি ক্লিয়ার ১১ হাজার ৭০০ টাকা।

বেলজিয়ামের ভিসকোট স্টেরিল ৪৬৫০ টাকা, আইএসওপিউর ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ফাইন ভিশন ৭২ হাজার ৫০০ টাকা, মাইক্রোপুরি-১২৩ ১৫ হাজার টাকা।

যুক্তরাজ্যের এক্সপার্ট ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, একুয়া ফ্রি ৯ হাজার ১৫৪ টাকা, হাউড্রো সেন্সে ইয়েলা ৪ হাজার ৩০০ টাকা, হাউড্রো সেন্সে ৩ হাজার ৯৯৪ টাকা, রেওয়ান ৫ হাজার টাকা, সি-ফ্লেক্স ৫ হাজার ৬০০ টাকা, সি-ফ্লেক্স (৫৭০ সি), ৪ হাজার ৮০৬ টাকা, রেওয়ান এসপেরিক ৫ হাজার ৭৭৫ টাকা, রেওয়ান হাইড্রোফোবিক ৭ হাজার ৩৫০ টাকা, রেওয়ান টোরিক ৩০ হাজার ৩৮০ টাকা, রেওয়ান টোরিফোকাল ৩৮ হাজার ৯৭৫ টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা।

বারবাডোজের সফটেক-১ ২ হাজার ৮৫২ টাকা, সফটেক এইচডি ৪ হাজার ৬৩ টাকা, সফটেক এইচিডওয়াই ৫ হাজার ২৭৫ টাকা, সফটেক এইচপি-১ ৬ হাজার টাকা।

জার্মানির সিটি লুসিয়া ৬২১ পিওয়াই ১৯ হাজার টাকা, সিটি লুসয়া ১০ হাজার টাকা, এটি টোরবি ৪৩ হাজার টাকা, এটি লিসা ট্রা টোরিক ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

হাঙ্গেরির জেড-ফ্লিক্স (৮৬০ ইয়েলো) ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, জেড-ফ্লিক্স (৮৬০ পিএ ক্লিয়ার), জেড-ফ্লিক্স এইচবি অ্যপেরিক ১১ হাজার টাকা, জেড-ফ্লিক্স ক্লিয়ার ১০ হাজার টাকা।

গ্রিসের ওরিজন ১১ হাজার ১০০ টাকা, সিডা-লেন্স ৫ হাজার ৩০০ টাকা।


আরও খবর



দেশবাসীকে জয়ের ঈদ শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।

জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণির মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক!

এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



রেকর্ডের দুই দিনের মাথায় কমল সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমেছে সোনার দাম। দুদিন আগেই সোনার রেকর্ড দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাড়ার চেয়ে কমানোর পরিমাণে তফাৎ অনেক। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮৪০ টাকা কমানো হয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আজ (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ২ হাজার ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২১ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮০৫ টাকা কমানো হয়েছে। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৬৮৮ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনা কিনতে দাম পড়বে ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ৫৬০ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর



বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা। গরমের কারণে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। এরইমধ্যে আবহাওয়া অফিস জারি করেছে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। এই দুর্বিষহ সময়ে জনজীবনের একমাত্র প্রতীক্ষা বৃষ্টির। এবার সেই অন্তিম সুখবরের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



বিদ্রোহীদের দখলে এবার মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াই শেষে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মায়াবতী শহরের দখল নিতে চলেছে দেশটির জান্তা শাসনবিরোধী বিদ্রোহী জোট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদিবাসী কারেন বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী কয়েক সপ্তাহ আগে মায়াবতী শহর আক্রমণ করে। তারা একটু একটু করে শহরের ভেতর প্রবেশ করে এবং শহরটির পাহারায় থাকা মিয়নমারের শতাধিক সেনাসদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-কেএনইউ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, থাঙ্গানিনাং শহরে থাকা এক ব্যাটেলিয়ন সেনাসদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটি মায়াবতী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে। আর মায়াবতীতে থেকে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শেষ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে এ সপ্তাহান্তে তাদের আলোচনা চলছে এবং খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর ওই ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে মায়াবতী শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশই হয় এই শহর দিয়ে।

তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের শাসনভার দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে বিনা বাধায় হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাধারণ মানুষ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।

যে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে জান্তা বাহিনী। তাদের দমন নিপীড়নে বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ দমন হলেও অভ্যুত্থান বিরোধীরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে গত বছর শেষদিক থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বিদ্রোহী জোট একের পর এক সীমান্ত এলাকা ও শহরে আক্রমণ করে সেগুলো দখল করতে শুরু করে। এ বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের তেজ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ও শহর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেকটাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বিবিসি জানায়, গত তিন বছরে জান্তা বাহিনীকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়তে হয়নি। মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো তাদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা।

দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন আদিবাসী কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে সামরিক বাহিনী তাদের অনেকটাই পরাস্ত করে এবং ২০১৫ সালের পর তারা একটি জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লড়াই বন্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবকিছু পাল্টে যায়। কেএনইউ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় ওই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।

কেএনইউ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করছে না। বরং সারা দেশ থেকে যারা স্বোচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসছে তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের অন্যান্য প্রান্তের বড় বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে তারা এক জোট করার চেষ্টাও করছে।


আরও খবর