আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

চৌমুহনীতে সরকারি জলাশয় দখল, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শহরের ভিতর এবং বাহির অংশের সরকারি পুকুরের চারপাশ ও খালগুলো ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। অন্যদিকে এসব জলাশয় দখলে পানির স্রোত বন্ধ হয়ে শহরের বাহির এলাকায় তৈরী হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় ৩৬ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা জুড়ে ছোট-বড় ৩০টি সরকারি পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে চৌমুহনী বাজারের বড় মসজিদ পুকুর, দক্ষিণ বাজার রুপ ভারতীয় সিনেমা হল পুকুর, বড় পোল পুকুর, কুরিপাড়া পুকুরসহ সবগুলো পুকুরের চারপাশ ভরাট করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা। কেউ কেউ ৫ শতক জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করেছেন ২০ শতাংশ। আবার সেখানে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী স্থাপনা। পুকুরের পাশাপাশি চৌমুহনীর নোয়াখালী খাল, তুলাতলি খাল, ডেল্টা খাল ও ওয়াপদা খালের দুপাশও দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে প্রায় বিলুপ্তির পথে চৌমুহনীর জলাশয়গুলো।

চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকা চৌমুহনী বাজারে বছরে দুই-তিন বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের ভিতর ও পাশের সরকারি পুকুরগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ব্যবস্থাপনার সংকটে পড়েন। এতে সঠিক সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। চৌমুহনী বাজার এলাকায় পানির ব্যবস্থা সচল রাখতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি ব্যবসায়ীদের।

চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ জানালেন, ওয়ান-এলেভেন এর আগে চৌমুহনী পৌরসভার ৩৫টি পুকুর জেলা প্রশাসনের অধীনে নিয়ে গেছে। এতে এই পুকুরগুলো রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের কোন সুযোগ নাই যার কারণে আমরা বৃহৎ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি।

দখলদারদের হাত থেকে চৌমুহনী পৌরসভার সরকারি পুকুর ও খালগুলো উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদ। তিনি বলেন, এই সরকারি পুকুর ও খালগুলো উদ্ধারের জন্য বহুবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি। আবারো চিঠি লিখবো, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে যেন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে পুকুর ও খালগুলো পুনঃসংস্কার করা হয়।

চৌমুহনী পৌরসভায় জলাশয় দখলের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, দখলকৃত জায়গাগুলির ব্যাপারে আমরা কেস নথি সৃজন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি। জেলা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদন হলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।

দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি পুকুর ও খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের।


আরও খবর



ভবন থেকে রড পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পথে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে বায়োফার্মা লিমিটেডের এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক।

তিনি বলেন, শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে নিহত হন এক পথচারী। সেসময় কদরের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এই মামলা করা হয়েছে।

এসি আরও বলেন, মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিগুলো অজ্ঞাতনামা ৫০-৫৫ জন।

এদিকে রাজউক বলছে, সাত মসজিদ হাউজিং এ রাজউক এর অনুমোদনহীন এবং কোনরকম সেফটি ছাড়াই হাউজিং এর প্রধান সড়কের পাশে পাইলিং এর কাজ চলছিলো। নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ করা হলেও ভবন মালিক নির্মাণ কাজ বন্ধ করেননি। পাইল এর রড ল্যাপিং এর স্থলে ওয়েল্ডিং না করে বোর হোলের ভিতর ছাড়ার সময় জয়েন্ট থেকে ছুটে গিয়ে রাস্তার উপর পড়ে পথচারী এস এম হাসান ঘটনাস্থলে মারা যান। নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে তাৎক্ষণিকভাবে ডিপিডিসির মাধ্যমে নির্মাণাধীন প্লটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের ওয়ার্কিং ড্রইং এ স্বাক্ষরকারী প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল করিম।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবান থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার  দিকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ ই বেঙ্গলের দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে। এ সময় আট জনকে আটকের পাশাপাশি নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, দুইটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা, টাকা লুটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় আসে কেএনএ। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ যৌথ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।


আরও খবর



গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি।

যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি শুক্রবার বলেন, আমরা নিজেদের রক্ষা করা থেকে কখনও বিরত থাকব না। হেগ আদালতের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি পদক্ষেপের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।’


আরও খবর



ইউনিক পরিবহনের ছিল না ফিটনেস, রুট পারমিট, এমনকি ট্যাক্স টোকেনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ইউনিক পরিবহনের যে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন, সেই বাসটি ফিটনেস ছাড়পত্র ও ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলাচল করছে।

এমনকি যেই ঢাকা-মাগুরা রুটে দুর্ঘটনাটি হয়, সেই রুটে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৭৫৯) চলাচলের অনুমোদনও ছিল না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাসটির চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চালানোর অনুমোদন থাকলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে তা আর হালনাগাদ করা হয়নি।

কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই দূরপাল্লার এই বাসটি চলাচল করেছে।

অন্যদিকে যে পিকআপের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়, পণ্য পরিবহনের সেই পিকআপটিও বিধি লঙ্ঘন করে যাত্রী পরিবহন করছিল।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকে আহতও হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সবাই পিকআপের (যশোর-ন ১১-১৩৩৯) যাত্রী ছিলেন।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক ফিটনেস ছাড়পত্র নেয় এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ফিটনেস ছাড়পত্র ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্যাক্স টোকেন হালনাগাদ করে, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন নিয়ে গাড়ি চালালে কোনো ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

বাসটি চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চলাচলের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুট পারমিটের মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বলে সূত্র জানিয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাসটির মালিক কে?

বিআরটিএর নথি অনুযায়ী, ইউনিক পরিবহনের সেই বাসটির মালিক ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে শামসুল হুদা।

শামসুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি নাজমুল হোসেন নামে একজনের কাছে বাসটি বিক্রি করেছেন।

কিন্তু বাসটি শামসুল হুদার কোম্পানি ইউনিক পরিবহনের ব্যানার ব্যবহার করছিল।

নতুন মালিক তার প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে, অনেক বাস এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা জানান, তিনি বাসটির নতুন মালিককে বিক্রয় রশিদ দিয়েছেন। কিন্তু নতুন মালিক কেন বিআরটিএতে গিয়ে মালিকানা দলিল পরিবর্তন করেননি, তা তিনি জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাসটির রুট পারমিট বা ফিটনেস ক্লিয়ারেন্স না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।

টেলিফোনে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করব এবং তখন সবকিছু প্রকাশ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি বাসটির বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর