আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

চরফ্যাসনে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার চরফ্যাসনে পারিবারিক  বিরোধের জেরে ভাতিজা মো. নুর ইসলামকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যা করেছেন চাচা আবু তাহের গং। এ সময় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

শুক্রবার সকালে চরফ্যাসন উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুর ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর ইসলাম এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুট্রি ডাক্তার বাড়ির জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে স্থানীয় শশীভূষণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নুর ইসলামের বাবা আব্দুর রশিদ জমাদারের সঙ্গে তার চাচা আবু তাহের জমাদার ও আব্দুল মালেক জমাদের সাথে একটি জাল দলিলের মামলাকে ঘিরে পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। নুরুল ইসলাম ঘটনার দিন সকালে চাচাদের সাথে তার বাবার বিরোধ মিটানোর জন্য একই বাড়ির বাসিন্দা চাচাদেরকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে আলোচনায় বসে।  এসময় স্ত্রী মরিয়মও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার মধ্যে চাচাদের সাথে নুরুল ইসলাম এর হঠাৎ কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে চাচা আবু তাহের ও আ. মালেক ভাতিজা নুর ইসলাম এর উপর হামলা করে এ সময় ঘাতক আবু তাহের নুরুল ইসলাম এর মাথায় লোহার খোনতা দিয়ে কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্ত্রী মরিয়ম নুর ইসলামকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও খুনিরা বেধড়ক মারধর করে আহত করে। গুরুতর আহত নুর ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এদিন বিকেল প্রায় ৫টার দিকে সেখানে (বরিশাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুর ইসলাম। নিহত নুর ইসলাম ৪ সন্তানের জনক।

এ বিষয়ে শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে শনিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের একজন আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করেছে। অপর চাচা আবু তাহের জমাদারসহ অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

নিউজ ট্যাগ: কুপিয়ে হত্যা

আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

এবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে নিজ বাসায় পুলিশের গুলিতে হোসেন (১৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ওয়ারেন এলাকার রায়ান রোডের নিজ বাসায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হোসেন পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করলে তারা ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই বাসায় পৌঁছালে তিনি পুলিশের দিকে নিজের হাতে থাকা বন্দুক তাক করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে।

হোসেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আতিক হোসেনের বড় ছেলে। তারা সপরিবারে মিশিগানের ওয়ারেন সিটিতে বসবাস করেন। এই ঘটনায় মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের ওজনপার্কে ১৯ বছরের যুবক উইন রোজারিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে আট শতাধিক প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয়েছে ইসলামিক অলিম্পিয়াড

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

আটশতাধিক প্রতিযোগী নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে তিনব্যাপী ইসলামিক অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা। সহীহ ও মনোমুগ্ধকর কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীতে উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটির সদস্যরা।

শনিবার (২৩ মার্চ) ঠাকুরগাঁও জেলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে ৩টি বিভাগের ৫টি গ্রুপের ৫টি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশবান্ধব একটি করে গাছ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন- ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা খলিলুর রহমান।

প্রথম দিনের প্রতিযোগিতায় কুরআন তেলাওয়াত বিভাগের ২৭০ জন, ইসলামিক কুইজের ক ও খ দুইটি গ্রুপের ১২০ ও ১৫০ জন এবং ইসলামিক সংগীত বিভাগের ক গ্রুপে ১১০ ও খ গ্রুপের ১৩০ জন প্রতিযোগি অংশ নেন।

আগামী ৩০ মার্চ দ্বিতীয় রাউন্ড ও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। চুড়ান্ত রাউন্ড শেষে সেরা ১৫জন বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

আয়োজকেরা জানান, রমজান মুসলিমদের পুনর্জাগরণের মাস। এ মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই কোরআন অবতীর্ণের মাসকে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমেই স্বাগত জানাতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।


আরও খবর



রাজধানীতে বাসায় ২৫ দিন শেকলে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় এক তরুণীকে ২৫ দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। ধর্ষণের পর তাকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফ্ল্যাটে বন্দি রাখা হতো। এভাবে পাশবিক যৌন নির্যাতনের পর তার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এই অপকর্মে তিন যুবককে সহায়তা করে এক নারীও। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ খবর পেয়ে গত শনিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

অভিযুক্তরা হলো– ভুক্তভোগী ওই তরুণীর কথিত প্রেমিক সান (২৬), তার বন্ধু হিমেল (২৭) ও রকি (২৯) এবং তাদের সহায়তাকারী সালমা ওরফে ঝুমুর। তরুণীকে উদ্ধারের পরপরই তারা পালিয়ে যায়। তবে গতকাল রাতে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র। আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মেয়েটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মেজো বোনের ঢাকার বাসায় থাকতেন তরুণী। মেজো বোনের স্বামীর মাধ্যমে মাসুদ নামে এক ব্যারিস্টারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে মাসুদ ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে জড়ান। ব্যারিস্টার তাকে সালমা ও অনি নামে দু’জনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের সঙ্গে মেয়েটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেন। ব্যারিস্টার মাসুদের পরামর্শে মাস ছয়েক আগে মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাড়ির চারতলায় ভাড়া নেন সালমা। বাসার খরচসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করতেন মাসুদ। তবে কিছু দিন পার হওয়ার পর ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাসুদ।

পরে সান নামে এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় করিয়ে দেয় সালমা। পরিচয়ের সূত্র ধরে সান মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলেও গত ৩ ফেব্রুয়ারি তরুণীকে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি সালমা জানত। এরপর আরও কয়েকদিন একই ফ্ল্যাটে ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। ২৭ ফেব্রুয়ারি একইভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে সান তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেয়। তবে বিয়ে না করলে থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললে সান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

গত ৫ মার্চ দুপুরে দুই বন্ধু হিমেল ও রকিকে নিয়ে ওই বাসায় যায় সান। তাকে সারপ্রাইজ’ দেবে বলে চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এ সময় সালমা খাবার আনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সানের কথায় চোখ বন্ধ করলে তারা তিনজন মিলে তরুণীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। হিমেলকে সেখানে রেখে অন্যরা শিকল আনতে দোকানে যায়। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে হিমেল। ওইদিন থেকে মেয়েটিকে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখে তারা। এভাবে আটকে রেখে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৫ দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। খাবার এবং বাথরুমে যাওয়ার সময় বাসায় থাকা সালমা শুধু পায়ের শিকল খুলে দিত। মোবাইল ফোনে ভিডিও করত সালমা।

পুলিশ জানায়, তরুণীকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে পর্নো ভিডিও তৈরি করতে থাকে এই চক্র। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্নো ভিডিও তাকে দেখানো হতো। শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মেয়েটি শিকলে বাঁধা অবস্থায় বাসায় একা ছিলেন। এ সুযোগে তিনি বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, একজন মেয়ে বাসায় আটকা আছে। উদ্ধারের জন্য চিৎকার করছেন। এরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই বাসায় যায়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। একই সময় ওই বাসা থেকে একাধিক ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের মোহাম্মদপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, উদ্ধার করার পর ওই তরুণী পাশবিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ভয়াবহ। এর অনেক কিছু ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি। এ ঘটনায় তিন যুবক ও এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তরুণী। সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা বিশ্বাসযোগ্য

জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি আসন্ন। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে

এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর



যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ফলে সম্ভাব্য রি-অ্যাকশন কী হতে পারে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কনফ্লিক্ট যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেটি কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমরা কী করতে পারি; সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুদ্ধ যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে, সেটি যেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ করে তা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন। যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়। ক্রাইসিস তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, তখন কি করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর