আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চট্টগ্রাম ডিসি পার্কের পাশে গড়ে উঠবে নৌকা মিউজিয়াম

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মনীষা আচার্য্য, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, হাজার বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে নৌকাগুলো রয়েছে সেগুলোর স্মৃতি নিয়ে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকার ২৫ একর জায়গার উপর গড়ে উঠা ডিসি পার্কের পাশে একটি নৌকা মিউজিয়াম করা হবে। সেখানে বড় আকারে ময়ুর-পঙ্খী, বজরা, সাম্পান, বিভিন্ন ধরণের নৌকার রেপ্লিকা থাকবে। ভবিষ্যতে এগুলোতে থ্রিডির মাধ্যমে এগুলোর ফ্যাসিলিটিস রাখার বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে করে ঝড়ের সময় জেলে ও মাঝি-মাল্লারা নৌকা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা সাজাতে পারেন। আমাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হবে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার পূর্বে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে পর্যটকদের সুবিধার্থে অনলাইন টিকেট বুকিং সিস্টেমের স্মারক ডাক টিকেটের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক বলেন, গুলিয়াখালী বীচ ও খৈয়াচড়া বীচের রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। পতেঙ্গা সী-বীচের বেহাল অবস্থা। সেখানে টয়লেট-ওয়াশরুম স্থাপন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, লকার রুম, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ব্রেস্টফিডিং কর্ণার স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে শুধু পতেঙ্গা সী-বীচে নয়, প্রত্যেক পর্যটন স্পটে ট্যুর আপারেটরদের নিয়ে হোটেল-রেস্টুরেন্ট উন্নতমানের খাবারের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এস.এম সফিউল্লাহ, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জামশেদ আলম রানা, পর্যটন হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক মোঃ সারেয়ার উদ্দিন, চিটাগাং অনলাইন ট্রাভেল এডমিন গ্রোজ (কট্যাগ) এর সদস্য রাশেদুল হাসান ইমন। জেলা প্রশাসন, পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) বলেন, আমাদের ভালো থাকার জন্য ট্যুরিজম প্রয়োজন। গার্মেন্টস সেক্টর ও বৈদেশিক রেমিটেন্সের বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভর করে। গার্মেন্টস সেক্টর কর্মসংস্থানের জন্য একটি বড় ধাপ। প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ এ খাতে কাজ করে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্রান্সপোর্ট সেক্টরসহ বিভিন্ন আরও যে সেক্টরগুলো রয়েছে সেগুলোতে মিলিয়ন মানুষকে কাজে লাগানো যাবে। সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। একইভাবে পর্যটন খাতকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, চাঙ্গা করতে পারি তাহলে অর্থনীতিতে বাংলাদেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

ডিসি বলেন, শ্রীলংকা দুবছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কারণ তাদের ট্যুরিজম সেক্টর প্রসারিত হয়েছে। তাদের সে সুযোগটি রয়েছে, বেশি ইনভেস্টমেনেরও প্রয়োজন নেই। এ দেশে আগের তুলনায় আমাদের ডোমেস্টিক ট্যুরিজম অনেকটা প্রসারিত হয়েছে। আমাদের চট্টগ্রামে যে ট্যুরিস্ট স্পটগুলো রয়েছে সেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। আমাদের পতেঙ্গা সী-বীচে যাওয়ার জন্য জনসাধারেণের অনেক ভোগান্তি হয়। সেটির কথা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসির সাথে যোগাযোগ করেছি। সৌভাগ্যবশত সড়ক ও মহাসড়কে বিভাগের সচিবের সাথে যোগাযোগ করার পর বিআরটিসির চেয়ারম্যান সাথে সাথে রাজি হয়ে ২টি পর্যটক বাস দিয়ে দিয়েছেন (১টি ছাদ খোলা)।

ট্যুরিস্ট স্পটে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসক বলেন, আমি আরও ৪টি বাস চেয়েছি, এর মধ্যে একটি ছাদ খোলা বাস গতকাল এসেছে। আমরা আশা করছি, আরও কিছু ছাদ খোলা বাস চট্টগ্রামে পাবো এবং ট্যুরিস্টদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। বিআরটিসির কাছে মেয়েদের জন্য ৪টি ডেডিকেটেড বাস চেয়েছি, আশাকরি সেগুলো আমরা পাবোই।

চলতি মৌসুমে রিভার ক্রুজ চলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ১ থেকে দেড় মাস অর্থ্যাৎ আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আমরা রিভার ক্রুজ চালু করবো, এ ব্যাপারে ওয়েস্টার্ন মেরিন ও কর্ণফুলি নামক দুটি বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে। তারা আমাদেরকে তাদের দুটো জাহাজ দেবে এবং আমরা প্রাথমিকভাবে শুক্র-শনিবারে এগুলো চালু করবো।

তিনি বলেন, যারা প্রাইভেট ট্যুর অপারেটর আছে তাদেরকে নদীতে ডে ট্যুর বোট চালু করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছিলাম। আমরা সার্ভিস প্রোভাইডার না হলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। আমরা যখন পর্যটক বাস চালু করি, তার আগে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। কেউ সাড়া দেননি। আপনাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে, দুএকবার ফেল করবেন, তারপর সাকসেস হবেন। সাহস করতে হবে।

প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরদের উদ্দেশ্যে ডিসি বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের ব্যবসা করার কথা নয়, ছোট ইনভেস্টমেন্ট করেন, লস হওয়ার চান্স নেই, যদি লোন লাগে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আমি অনুরোধ করবো। ট্যুরিজমের জন্য বেসরকারী পর্যায়ে সদরঘাট টু কাপ্তাই পর্যন্ত নদী পথে ছোট ছোট বোটকে টার্গেট করতে পারেন। কাপ্তাই রুটে একটি চমৎকার নদী পথ রয়েছে। আপনারা বোট চালু করলে লসের কোন চান্স নেই। চট্টগ্রাম সিটি বেইজ ট্যুরিজমের কিছু সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বরেন, কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে। এটি চালু হলে আমরা পার্কি বীচসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটের জন্য ডে ট্যুর চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি এসি বাস বিআরটিসির কাছে চেয়েছি। এগুলো দেয়া হলে টানেলভিত্তিক ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করতে চাই।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতবর্ষের যে বিদ্রোহের সুতিকাগার চট্টগ্রাম। ইউরোপিয়ান ক্লাব, মাস্টার দা সূর্য সেনের পৈত্রিক ভিটা, ফয়স লেক, চিড়িয়াখানা আছে, সেগুলো নিয়ে আপনারা ট্যুরিজমের চিন্তাভাবনা করতে পারেন। অনেক দেশি-বিদেশী এখান থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চায়। কাট্টলীর রানী-রাসমনি ও আকমল আলী ঘাটে জেলে পল্লী আছে, তাদেরকে নিয়ে কথা বলতে পারেন। ৫/১০টি পরিবার নিয়ে তাদের লাইফ স্টাইল নিয়ে আপনারা কাজ করতে পারেন, তাবু নিয়ে অবস্থান করে দেখতে পারেন যে তাদের জীবন কেমন কাটে। তাদের খাবারের ব্যবস্থাসহ সেখানে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম করতে পারেন। ট্রাইবাল কমিউনিটি, ফিস মার্কেট, টি গার্ডেন নিয়ে কাজ করতে পারেন, এগুলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্য।


আরও খবর



বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোচালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম কোয়ালিটি ফিড কারখানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

নিহত অটোরিকশাচালকের নাম- আহসান হাবিব (৪৫)। তিনি শেরপুর উপজেলার রনবীর ঘাটপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে নন্দীগ্রাম থেকে অটোরিকশা নিয়ে বগুড়ায় যাচ্ছিলেন আহসান হাবিব। পথে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের কাথম কোয়ালিটি ফিড কারখানা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নন্দীগ্রাম কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্বাস আলী জানান, অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মারা গেছেন। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর হয়ে ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মিগজাউম’ শক্তি হারাচ্ছে, জেঁকে বসবে শীত

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ফের ইসির সঙ্গে ইইউর বৈঠক

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠক বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৬ নভেম্বর) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিইসিকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৈঠক করতে চেয়ে ই-মেইল করেছিলেন ২২ নভেম্বর। এতে বৈঠকের জন্য ২৭ নভেম্বর সময় চেয়েছিলেন তিনি।

ইসি সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী সফরে ঢাকার বাইরে রয়েছেন। এ জন্য ইইউকে ২৭ নভেম্বর সময় দেওয়া যায়নি। তাই আগামী ২৯ নভেম্বর তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন>> নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

ইইউ রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ নির্বাচন উপলক্ষে আমরা এরই মধ্যে আপনাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করেছি। নির্বাচন কমিশনের চলমান এ কাজের জন্য আমরা আপনাদের প্রশংসা করি।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে ইইউ মিশনের প্রধানদের সঙ্গে আপনারা যৌথ বৈঠকের সুযোগ করে দেবেন। ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় আপনার সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া ও আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করলেন আসামি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের একটি আদালতের কাঠগড়া থেকে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করেছে এক আসামি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন জানান, দুপুর ১২টার দিকে একটি মামলার শুনানির জন্য এজলাসে বসেন বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর।

এ সময় আসামির গারদে (কাঠগড়া) উপস্থিত থাকা আসামি মনির খান বিচারকের উদ্দেশ্যে পর পর দুটি জুতা নিক্ষেপ করেন। জুতা বিচারকের গায়ে পড়েছে বলেও জানান পিপি মিজবাহ।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান বিচারক। এ সময় আদালতে পিপি মেজবাহ উদ্দিনসহ একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরের কোতায়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন পিপি মেজবাহ উদ্দিন।

আদালত সূত্র জানা যায়, বিচারককে জুতা নিক্ষেপকারী আসামির নাম মো. মনির খান ওরফে মাইকেল (৩২)। তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর থানার গোকর্ন গ্রামের গোলাপ খাঁর ছেলে।

২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে দুটি ভিডিও লাইভ শেয়ার করেন নাসির। ওই ভিডিওতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও বাংলাদেশ পুলিশসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কটুক্তি করার পাশাপাশি তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

পরে এ ঘটনায় তাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন নাসির নগর থানার এসআই তপু সাহা। তদন্ত  শেষে ২০২১ সালের ২০ জুন মনির খান ওরফে মাইকেলকে অভিযুক্ত করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট জমা দেন নাসির নগর থানার ওসি (তদন্ত) আ স ম অতিকুর রহমান।

এদিকে এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হন রাষ্ট্রপক্ষের ওই মামলা পরিচালনাকারী পিপি মেজবাহ উদ্দিন। তিনি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর পর মামলা পরিচালনার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীরের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা প্রার্থনা করেন।


আরও খবর



মধুচন্দ্রিমায় ভ্রমণ হোক রোমাঞ্চকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিয়ে মানে সারা জীবনের বন্ধন। একসঙ্গে ভ্রমণও বটে। এই ভ্রমণের শুরুটা হয় মধুচন্দ্রিমা থেকে। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দুজনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে মধুচন্দ্রিমায় যায়। তারপর একে অন্যকে চিনতে শুরু করে, জানতে শুরু করে। এই চেনা-জানাই পুরো জীবনের ভিত্তি গড়ে দেয়। আর এ প্রথাটা আজকের নয়, অনেক আগের। দেশে কিংবা বিদেশে পছন্দের জায়গায় হোক মধুচন্দ্রিমা তথা হানিমুন।

দেশে কোথায় যাবেন

শুরুতেই আসবে কক্সবাজারের নাম। আমাদের দেশে সবচেয়ে স্বীকৃত এই ট্যুরিস্ট স্পটে সমুদ্র আর পাহাড় একই সঙ্গে উপভোগ করা যায়। পাশাপাশি ঘুরে দেখা যায় ইনানী ও মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন অসাধারণ সব জায়গা। সি ফুডসহ বিভিন্ন দেশীয় মুখরোচক খাবার তো আছেই। আছে দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাকুরিয়াম। কক্সবাজার থেকে চাইলে যেতে পারেন মহেশখালী।

সেন্ট মার্টিন

সেন্ট মার্টিন হানিমুন কাটানোর জন্য অসাধারণ জায়গা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই প্রবাল দ্বীপের চমৎকার সব রিসোর্টে বসে উপভোগ

করা যাবে সমুদ্রের পরিষ্কার নীলাভ পানি ও মুখরোচক খাবার। অ্যাকটিভিটি হিসেবে পাওয়া যাবে স্কুবা ডাইভিং। চাইলে ছোট ট্রলারে বসে মাছ ধরার অভিজ্ঞতাও নেওয়া যাবে। আপনার প্রিয়জন যদি সমুদ্র পছন্দ করে থাকে, তাহলে এটাই হচ্ছে আপনার জন্য সেরা গন্তব্য।

ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত যাওয়া যায় সেন্ট মার্টিন।

সাজেক

দুজনে যদি পাহাড়প্রেমী হন, তাহলে সেরা গন্তব্য মেঘের রাজ্য সাজেক। কাপলদের জন্য হালের ক্রেজ সাজেক হচ্ছে নিজেদের মতো একান্ত সময় কাটানোর খুবই চমৎকার একটি জায়গা। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যাবে কাংলাক পাহাড় থেকে। এ ছাড়া স্থানীয় আদিবাসীদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মাংস রান্না হানিমুন ট্রিপে এনে দেবে বাড়তি আনন্দ। বিজিবি ও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই এলাকা পর্যটকদের জন্য নিরাপদ। সারা বছর সাজেক ভ্রমণ করা যায়। এটি একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারণ করে।

এ ছাড়া অল্প দিনের জন্য নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার এলাকার বিভিন্ন রিসোর্ট বেছে নিতে পারেন। বেশ ছিমছাম এই এলাকায় চা-বাগানসহ দেখা যাবে ঝরনা ও ঝিরির সৌন্দর্য। বছরের যেকোনো সময় যাওয়া যায় সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার। 

বিদেশে

দেশের বাইরে বাঙালিদের হানিমুন গন্তব্য ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীর। ডাল লেকে হাউস বোট, গোলকন্ডা রাইড, টিউলিপ গার্ডেন, শিকারা রাইড, আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি ও গুলমার্গের সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। এর বাইরে যদি আপনারা রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে থাকেন, তাহলে যেতে পারেন বিভিন্ন ট্রেইলে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে গেলে দেখতে পাবেন তুষারপাত। এ ছাড়া হিমালয়ের বিস্তীর্ণ রেঞ্জে অবস্থিত লেক ও সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য সব সময়ই চোখের সামনে থাকবে কাশ্মীরে। অক্টোবর থেকে জুন মাস পর্যন্ত কাশ্মীর যাওয়ার উপযুক্ত সময়।

অন্যান্য জায়গা

ইদানীং আমাদের দেশে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ অঞ্চলে আছে অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ভ্রমণ গন্তব্য তিব্বতের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সিকিম, গ্যাংটক, লাচুং ও কাটাওয়ে। এ অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের কোনো জুড়ি নেই। তবে এসব এলাকায় বরফ দেখতে চাইলে নভেম্বরের শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত ভালো সময়। নাথুলা পাস, এমজি রোড কিংবা ছাঙ্গু লেকের অপরূপ দৃশ্য নজর কাড়বে।

মালদ্বীপ

বাজেট বেশি থাকলে হানিমুন ট্রিপের জন্য ভালো গন্তব্য মালদ্বীপ। পরিষ্কার পানি ও সাদা বালুর বিচখ্যাত এই দ্বীপরাষ্ট্রে মধুচন্দ্রিমার অভিজ্ঞতা হবে অবিস্মরণীয়। প্রতি মুহূর্তকে উপভোগ্য করার জন্য এখানে রয়েছে প্যারাগ্লাইডিং, স্নোরকেলিং, বিকেলবেলা মাছ ধরা, তিমি মাছ দেখা, হাঙরকে খাবার দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন ধরনের রোমাঞ্চকর অ্যাক্টিভিটি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্পিডবোট নিয়েও ঘুরে বেড়াতে পারবেন সাগরের বুকজুড়ে।

শ্রীলঙ্কা

সাগরের পাশাপাশি পাহাড়ি সৌন্দর্য পছন্দ করলে হানিমুন পয়েন্ট হতে পারে শ্রীলঙ্কা। এখানে সবুজ পাহাড়ের পাশাপাশি পাওয়া যাবে জঙ্গল সাফারি, নীল পানির ভারত মহাসাগর এবং গোল্ডেন স্যান্ড বিচ। ঘুরতে পারবেন ক্যান্ডি, কলম্ব, এলা, মিরিশা, গালের মতো বিখ্যাত সব শহর। সেগুলোতে আছে সুন্দর সুন্দর চার্চ, মন্দির ও মসজিদ। তবে বিবেচনায় রাখতে হবে শ্রীলঙ্কায় হানিমুন ট্রিপের জন্য বাজেট কিছুটা বেশি রাখতে হবে। বছরজুড়ে দেশটিতে যাওয়া যায়। তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যাওয়া ভালো।

থাইল্যান্ড

হানিমুনের লাক্সারি ট্রিপ হতে পারে থাইল্যান্ডে। ফি ফি আইল্যান্ড, আও নাঙ, ফুকেট, ক্রাবি, পাতায়া ঘুরতে পারবেন প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। দ্বীপ ও সমুদ্রসৈকতসংবলিত এক অসাধারণ পর্যটকবান্ধব দেশে মধুচন্দ্রিমার অভিজ্ঞতা

হবে অসাধারণ।

পাহাড়ের দেশে

যাঁরা পাহাড়প্রেমী, তাঁদের জন্য অদ্বিতীয় গন্তব্য অবশ্যই হিমালয়কন্যা নেপাল। নাগরকোট, পোখারা, চিতওয়ান, কাঠমান্ডুসহ হিমালয়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন শহরের নির্জনতা ছুঁয়ে যাবে আপনাদের। স্বল্প বাজেটে রোমাঞ্চকর হানিমুনের জন্য নেপাল হতে পারে ভালো জায়গা।

নিউজ ট্যাগ: সেন্ট মার্টিন

আরও খবর
রোববার থেকে দেশে আসতে পারে বৃষ্টি

শনিবার ২১ অক্টোবর ২০২৩