আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গণশুনানি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

স্বাস্থ্যসেবা খাতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এই স্লোগান দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক সংগঠন সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাবৃদ্ধি এবং হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গণশুনানি শীর্ষক জবাবাদিহিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য সব ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের পক্ষে অঙ্গীকার করেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অজয় দাশের সভাপতিত্বে ও সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের সদস্য প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অজয় দাশ।

কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ও সনাক-টিআইবির দেশব্যাপী চলমান দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন বিষয়ে ধারনা প্রদান করেন সনাক-টিআইবির সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কে এম আশিক কামাল।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. আবুল বাশার, ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ মোঃ ফয়েজ আহমদ, পরিসংখ্যানবিদ শওকত আল-আমীন চৌধুরী, সেবা তত্ত্বাবধায়ক রেশমী দাস, সিনিয়র স্টাফ নার্স মনোয়ারা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সনাক চট্টগ্রামের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির যুগ্ম আহবাযক অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস, রওশন আরা চৌধুরী ও এস এম ফরহাদ উল্লাহ প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সেবাগ্রহীতাগণ হাসপাতালে সেবা নিতে এসে যে সব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সেসব বিষয় কর্তৃপক্ষকে সরাসরি প্রশ্ন করার মাধ্যমে সমাধান কামনা করেন। রোগীদের উত্থাপিত সমস্যাসমূহ ছিল, হাসপাতালে সার্বক্ষণিক পানির সরবরাহ না থাকা ও বেশির ভাগ পরীক্ষা বাহির থেকে করানো, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, সিটি স্কেন যন্ত্র ও এমআর আই যন্ত্র স্থাপন, ঔষধ সরবরাহ কম, আয়াদের বিভিন্ন অনিয়ম, রোগীদের সরবরাহকৃত খাবারের মান খারাপ, ভর্তি রোগীর সীট ব্যবস্থপনায় অনিয়ম। শিশু ওয়ার্ডে রাতের বেলায় ডিউটি ডাক্তার না, নেবুলাইজার মেশিন এর স্বল্পতা ইত্যাদি। পাশাপাশি জলাতঙ্ক টিকার ক্ষেত্রে বকশিস এর অভিযোগ করলে তত্ত্বাবধায়ক মহোদয় নাম দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

সেবাগ্রহীতাদের এসব প্রশ্নের জবাবে কর্তৃপক্ষ বলেন, হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা আমাদের অতিথি, তাদের উন্নত সেবা প্রদান করা আমাদের কর্তব্য মনে করি। হাসপাতালে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও রোগীদের ভালো সেবা দিতে আমরা তৎপর রয়েছি। রোগীদের সাথে এখানকার ডাক্তারদের ব্যবহার অত্যন্ত ভালো।

কর্তৃপক্ষ আরো বলেন, কাগজে কলমে ২৫০ শয্যার হলেও ১৫০ শয্যার লোকবল নিয়ে হাসপাতালে সেবা দিতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই হাসপাতালে প্রায় দুশতাধিক রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকে। ফলে আন্তরিকতা থাকা স্বত্বেও রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেয়া সবসময় সম্ভব হয়ে উঠছেনা। এছাড়াও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ওয়াসা, পিডব্লিউডিসহ সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে বারবার তাগাদা দেয়া স্বত্তেও পর্যাপ্ত ও দ্রুত সহযোগীতা পাওয়া যায় না।

কর্তৃপক্ষ আরো বলেন, রোগীদের যত্রতত্র ময়লা ফেলা এবং পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকায় এতোবড় হাসপাতালের সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা স্বল্প সংখক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। কর্তৃপক্ষ বলেন, ডাক্তারদের সম্মাননা হচ্ছে চিকিৎসা শেষে ঘরে ফেরার সময় রোগীর হাসিমুখ। আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসা সব রোগীদের হাসিমুখে বাড়ি পাঠাতে চাই। এজন্য রোগীদেরকেও সচেতন হতে হবে। হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আমাদের নিজের বাড়ীর মত করে যত্নবান হতে হবে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবেনা।

সভাপতির বক্তব্যে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়স (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অজয় দাশ বলেন, এ হাসপাতালের ডাক্তারসহ সকলেই সবসময় আন্তরিক থাকে রোগীদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমরা সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আজকের কর্মসূচী স্বার্থক কেননা আমরা রোগিদের সাথে সরাসরি বসে তাদের সমস্যার কথা শুনার মাধ্যমে অনেক কিছু সমাধানের ব্যবস্থা বের হয়ে আসছে। বাংলাদেশের খুব কম হাসপাতালেই আছে সেবার মান পর্যবেক্ষণে এই ধরনের উদ্যেগ গ্রহণ করে। পাশাপাশি বিগত সময়ে আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে আউটসোর্সিং এর স্টাফ ক্লোজ করার বিষয় অবহিত করেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিশেত অন্তঃবিভাগে কোথাও কাউকে টাকা, বকশিস না দেওয়ার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেন।

সনাক-টিআইবির সহযোগিতায় আমরা নিয়মিতভাবে রোগিদের কথা শুনছি এবং সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করছি। রোগীরা যেসব সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি সেবার মান উন্নয়নে নাগরিক সমাজ ও রোগীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সেবা গ্রহীতাদের প্রায় সবাই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এর ডাক্তারদের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখক নারীসহ প্রায় শতাধিক সেবা গ্রহীতা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধামরাইয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যুবককে মারধর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বউখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবক ওয়ালী উল্লাহ্ খান যুবরাজ (২৯) উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামের মোশারফ হোসেন খানের ছেলে। তিনি বাউখন্ড কমিউনিটি ক্লিনিকে এমএইচবি পদে কর্মরত আছেন। বর্তমানে যুবরাজ সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ইউসুফ,শহিদুল,সাজেদুল,আলী হোসেন এরা সকলেই বাউখন্ড গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ওয়ালী উল্লাহ্ খান যুবরাজ বলেন,আমি আমার চাচাতো ভাই সামিউল ইসলাম খান সজিবকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই "এগিয়ে যাক নতুন প্রজন্ম আর অল্প কিছু দিন বাকী" এ পোস্ট দেওয়ায় কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবী ইউসুফ আলী, শহিদুল ইসলাম সহ ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালায়। আর বলে তোর ভাইরে চেয়ারম্যান বানাবি। নে চেয়ারম্যানের স্বাদ মিটিয়ে দিই। পরে আমার ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ এগিয়ে এলে তারা চলে যায় এবং বলে তোর পরিবারের কেউ রক্ষা পাবে না। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের গ্রামে খোজখবর নিলে তাদের কাউকে এলাকায় খোজে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক খুদেবার্তায় জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ আগস্ট আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব) দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ তিনি উপ-অধিনায়ক হিসেবে র‌্যাবে যোগ দেন। একই বছর ২৭ আগস্ট লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক হন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি রব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তাকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ডিডিজি হিসেবে বদলি করা হয়। পরে তাকে সেখান থেকে এনএসআইর পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয় ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল। ২০১৭ সালে এনটিএমসির পরিচালক হন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে এনটিএমসির মহাপরিচালকের (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে।


আরও খবর



ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিএসএফ বলেছে, ভারতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আরও শত শত বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে অপেক্ষা করছেন। অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

বিএসএফের উপ-মহাপরিদর্শক অমিত কুমার ত্যাগী এএফপিকে বলেছেন, এখনও সীমান্ত পার হওয়ার জন্য কয়েকশ বাংলাদেশি নাগরিক নো-ম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষা করছেন।

এদিকে, সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত ব্শ্বিশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে চার বাংলাদেশি নাগরিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের করিমগঞ্জ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশ কার্যকরভাবে জিরো পয়েন্টে হস্তক্ষেপ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভারতে তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে; যার বেশিরভাগ অংশই অরক্ষিত। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হিন্দুরা সংখ্যায় বৃহৎ। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তারা অনেকেই পার্শবর্তী ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীও ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিমুক্ত শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থাপনা আর অর্থ আত্মসাতের যে ধারা চলছে তাতে সেবা নয়, জনসাধারণ পাচ্ছে উল্টো যন্ত্রণা।

দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া শিশু হাসপাতালকে বাঁচাতে হলে আজীবন সদস্যসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে জাহির করে এতদিন ধরে হাসপাতালকে লুটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও আজীবন সদস্য জাহিদুল হাসান।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠস্থ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে সচেতন আজীবন সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিচার্স ইনস্টিটিউট পরিচালনায় অনিয়ম দুর্নীতি, জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি, আজীবন সদস্যদের অজান্তে ২৫ কোটি টাকার ব্যাংক লোনের বোঝা, অ্যাম্বুলেন্স সেবায় গাফিলতি,  অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিজেদের লোকদের নিয়োগ, রাউজানে অটিজম সেন্টার প্রবীণ নিবাস স্থাপন, কমিটির নেতাদের ঠিকাদারী ব্যবসা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে সেবা বঞ্চিত রেখে এ হাসপাতাল পরিচালনা করে একপ্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদ। শুধু তা নয়, হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নেতারা বর্তমানে হাসপাতালকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। খালেদা জিয়া জমি দিয়ে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেও কোথাও তার নামফলক পর্যন্ত রাখেনি আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করা এসব দায়িত্বশীলরা। আওয়ামী লীগের মতো তাদেরকেও তাড়িয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।

হাসপাতালের আজীবন সদস্য হাজী হোসেন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও আজীবন সদস্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আজীবন সদস্য আবুল হোসেন, ফজলুর রহমান স্বপন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সর্দার, মোহাম্মদ মুছা, মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ আবদুস সবুর, এস এম ফরিদুল আলম, জহির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান কনক, হানিফ সওদাগর, মনিরুজ্জামান টিটু, সাইফুল আলম, এস এম ইসমাইল, মোঃ নাছির, জাহেদ কায়সার, নুরুল আবছার, ওয়াহিদ পারভেজ, শফিউল আলম প্রমূখ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




লক্ষ্মীপুরের বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। (২৪ আগস্ট) রাত ১১ টা থেকে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার সর্বত্র টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া গত তিনদিন ধরেই পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীর পানি ঢুকছে লক্ষ্মীপুরে।

ফলে শনিবার রাত থেকে পানির উচ্চতা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। রোববার পর্যন্ত কোথাও আধা ফুট, আবার কোথাও এক ফুটের বেশি পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ি এবং ঘরে কোমর পানি উঠে গেছে।

উপয়ান্তর না দেখেই রাতেই আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটেছে মানুষ। সেনবাহিনী, ফায়ারসার্ভিস, যুব রেড ক্রিসন্টের সদস্যরা গভীর রাত থেকেই পানিবন্দি বাসিন্দাদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সর্বত্র এখন পানিবন্দি লোকজনের হাহাকার দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, নোয়াখালী জেলা থেকে লক্ষ্মীপুরে প্রবাহিত রহমতখালী, ওয়াপদা ও ভূলুয়া খাল দিয়ে হু হু করে পানি লক্ষ্মীপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে খাল সংলগ্ন এলাকাগুলো দ্রুত তলিয়ে যায়৷

রোববার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৫০ জন আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। তবে পানিবন্দি অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলার প্রায় শতভাগ এলাকা এখন পানির নীচে প্লাবিত হয়ে আছে। প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ পানিবন্দি।

নিউজ ট্যাগ: লক্ষ্মীপুর

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪