আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রাম নগরে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান-জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও থানাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারী চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিম পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।

পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে পাহাড় কাটা অবস্থায় দুজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়।

 জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এসময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষন আইনের আওতায় অপরাধী দুজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

 সচেতনতামূলক বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোন ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোন পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।

যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন ৫ কোম্পানির শীর্ষ পদে রদবদল

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানিগুলোর শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। গত বুধবার বিপিসির পৃথক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। এসব তেল বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্তদের বৃহস্পতিবার ছিল তাদের শেষ কর্মদিবস।

বিপিসি কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও যমুনা অয়েল কোম্পানি, এলপি গ্যাস লিমিটেড এবং পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রদবদল হয়েছে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন এলপি গ্যাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সোবহান। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ টিপু সুলতান। বিপিসির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. কুদরত-ই-এলাহীকে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

বিপিসির অপর সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (অডিট) ইউসুফ হোসেন ভূঁইয়াকে এলপি গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) রায়হান আহমেদ।

নিউজ ট্যাগ: বিপিসি

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




১০ বছরেও সুপেয় পানির সংকট কাটেনি জয়পুরহাট পৌরসভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট পৌরসভার বাসিন্দাদের সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ওভারহেড ট্যাংক। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাননি বাসিন্দারা। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণের কথা থাকলেও সেটা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ ধরে পড়ে রয়েছে ওভারহেড ট্যাংকটি। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট না থাকায় ১০ বছর ধরে সুপেয় পানি সংকটে রয়েছে পৌরসভার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ওই প্লান্টটি এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমানে ট্যাংকটি পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১০ বছর ধরে তারা সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। দ্রুত ওই ট্যাংক চালু করে সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

জয়পুরহাট পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ জুন ওভারহেড ট্যাংক ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মাঝারি শহরে পানি সরবাহ ও স্যানিটেশন (জিওবি-এডিবি) যৌথ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়। তবে প্রকল্প প্যাকেজের আওতায় তখন শুধু ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ করা হলেও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি সেখানে। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল কাজটি শেষ হয়। প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বিল উত্তোলন করে নিলেও ১০ বছরে সুপেয় পানি সরবরাহ করা যায় নি।

এব্যাপারে জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, আমি বিষয়টি পৌরসভার বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা করেছি। কিন্তু কেউ তখন সেটাকে গুরুত্ব দেননি। এজন্য সমাধানও হয়নি।

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ শুরু হয়নি বলে মনে করেন পৌরসভার বাসিন্দারা। পরিত্যক্ত থাকায় ট্যাংকসহ ও অন্যান্য সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়েছে।

এপ্রসঙ্গে প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, এখানে অবশ্যই দুর্নীতি করা হয়েছে, না হলে এতদিনেও এটি চালু হলো না কেন? জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। এজন্য আমি চাই এটা দ্রুত চালু করা হোক, এতে জনগণের উপকার হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও পৌরসভার প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব। শিগগিরই ট্যাংকটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ট্যাংকটি বন্ধ থাকায় পূর্ব এলাকার ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। দ্রুত পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ করে বন্ধ ট্যাংকটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।

খঞ্জনপুরের খালেক উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক আব্দুর রহমান ও ফিরোজসহ কয়েকজন নাগরিক বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি। এখনো অনেকেই জানেন না, ট্যাংকটি চালু নেই। পানির ট্যাংকটি ১০-১২ বছর আগে নির্মাণের পর থেকে এখনো চালুই হয়নি, অকেজো পড়ে রয়েছে। ট্যাংকটি কোনোদিন চালু না হওয়ায় এখান থেকে সুপেয় পানির সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ট্যাংক নির্মাণ করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি নির্মাণ না হওয়ায় যেসব পাম্প বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছিল, সেগুলো এখন হারিয়ে গেছে। ট্যাংক চালু না হওয়ায় শহরের পূর্ব এলাকার সিও কলোনি ও বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরের ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় পানের অযোগ্য পানি সরবরাহ করা হয়।

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদুল ইসলাম সোহেল  বলেন, সবকিছুই বরাদ্দ ছিল, কিন্তু বিগত সময়ে মেয়রের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংকটি চালু হয়নি। যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) খালেদুল হক জানান, প্রকল্পের আওতায় শুধু ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি। এজন্য ওই ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। প্লানটি নির্মাণ করা হলে ওই অঞ্চলের অধিকসংখ্যক মানুষ সুপেয় পানি পাবে, পৌরসভার রাজস্ব আহরণও বাড়বে।

এপ্রসঙ্গে পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি সদ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেক মামলার আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অপহরণের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‍্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র‍্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার আবেদন নিয়ে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশে আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রোকেয়া প্রাচীকে টেলিপ্যাব থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতি রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুদিন আগে সাংগঠনিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ (২৬ আগস্ট) সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবলু।

গত ৮ জুন রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আদনান-দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন রোকেয়া প্রাচী। আজ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করেছেন আশরাফুল আলম বাবলু।

কী কারণে সংগঠনের সহ-সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল জানান, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে। এক্ষুণি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়েছে কি না জানতে যোগাযোগ করা হলে রোকেয়া প্রাচী মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রোকেয়া প্রাচী। দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আগের রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গেলে উশৃঙ্খল জনতা তাকে পিটুনি দেয়।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে জয় পরাজয়-এর মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক হয় রোকেয়া প্রাচীর। ১৯৯৭ সালে দুখাই সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি নাটক, কাহিনিচিত্র ও টেলিছবি প্রযোজনা ও নির্মাণ করেছেন প্রাচী। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, রুবিনা, আমেনাফুলকির গল্প। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাহিনিচিত্র কবি ও কবিতা পরিচালনা করেছেন তিনি।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তজার্তিক মানদণ্ড অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে যৌক্তিক দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। আমাদের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আমরা আজ এই সেমিনারের আয়োজন করেছি। সমাজের প্রত্যেকটা শ্রেণিপেশার মানুষেরা এই আন্দোলনের বিষয়ে অবগত রয়েছেন। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তজার্তিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর (শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত) করা একেবারেই যৌক্তিক। বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের সাথে একটি বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে, এই বৈষম্য দূর করা আবশ্যক।

তারা আরও বলেন, ৩৫ বয়সসীমা আন্দোলনটি সময়ের সাথে একটি যৌক্তিক আন্দোলন। কিন্তু, বিগত সরকার এই আন্দোলনকে নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে শুরু করে ৫০ বছর পর্যন্ত রয়েছে। অনেক দেশে আবার যেকোনো বয়সে আবেদন করা যায়। কোনো বয়সসীমা সেখানে নেই। একেবারেই উন্মুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

সেমিনারে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, চাকরিতে আবেদন করতে কোনো বয়স থাকার দরকার নেই। চাকরি হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। রাষ্ট্রের যেখানে যেখানে বৈষম্য রয়েছে সেটি দূর করতে হবে। দেশকে বৈষম্যহীনভাবে গড়ে তুলতে হবে।

সেমিনারে শিক্ষার্থীরা সাতটি দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হলো

১. ১ম শ্রেণি ও ২য় শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর চাই।

২. ৩য় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর চাই।

৩. সকল প্রকার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।

৪. সকল প্রকার স্বাস্থ্য, চিকিৎসা নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।

৫. সকল প্রকার আইসিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।

৬. সকল প্রকার আইন (জেডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।

৭. এছাড়া জরিপের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।


আরও খবর