আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মিলনমেলা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে উপাচার্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন করলে হবে না, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন করতে হবে। ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সিভাসুর সহযোগিতা ও "এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশে (ইআরডিএফবি) এর আয়োজনে "অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক" আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাইনা। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্বাভনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সকল অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা।তিনি প্রতিটি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। 

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফল আহসান বক্তব্য কালে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রচুর ভূমিকা রয়েছে।

চবি পালি বিভাগের প্রফেসর ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।

প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে।তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন।জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন।এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক।

ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে।বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

প্রফেসর ড. মো: রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড.আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো: শহীদ, ড. নূর হোসেন, প্রফেসর ড. সজীব কুমার, প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক,ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেক  নোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ দল ঘোষণা করে তারা। বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। দলে রয়েছে বিরাট কোহলিও।

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন শিবাম দুবে। তবে দলে জায়গা হয়নি লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল ও রিঙ্কু সিংয়ের। রিজার্ভ দলে জায়গা পেয়েছেন গিল ও রিঙ্কু।

বিশ্বকাপ দলে হার্দিক পান্ডিয়ার থাকা নিয়ে সংশয় থাকলেও সহ-অধিনায়ক হিসেবে তিনি রয়েছেন ঘোষিত দলে। চলমান আইপিএলে মুম্বাইয়ের জার্সিতে বাজে সময় পার করছেন হার্দিক। ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে গিলকে পেছনে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন।

ভারতের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ দল: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।


আরও খবর



কানাডায় শিখনেতা হত্যাকাণ্ডে তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা মনদীপ মুকের। খবর বিবিসি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন- এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।

গত শতকের সত্তরের দশকে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু করেন দেশটির শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে। ওই বিদ্রোহের জেরে সে সময় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরও কয়েক দশক ধরে ওই বিদ্রোহের রেশ থেকে যায়। বর্তমানে ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঞ্জাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিখেরা।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন বাইডেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলে যা চলছে, তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি (বাইডেন) জানেন না তিনি কী করছেন। তিনি দেশকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় এক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বাইডেনকে বেশ করুণ বলে খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি দুটি বাক্য একসঙ্গে বলতে পারেন না! যিনি মঞ্চ থেকে সিঁড়ি খুঁজে পান না, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন!

ট্রাম্প বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে তারা (ইরান) ইসরায়েলকে আক্রমণ করতো না। আমি থাকতে তারা কখনই তা করেনি। কারণ ইরান আক্রমণ করার মতো অবস্থানে ছিল না। তাদের কাছে কোনো টাকা ছিল না। তারা ভেঙে পড়েছিল।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যা চলছে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমাদের জাতির জন্য এটি একটি বিপজ্জনক সময়। বিপজ্জনক হওয়ার একটি বড় কারণ হলো, আমাদের এমন একজন রাষ্ট্রপতি আছেন যিনি মারাত্মকভাবে অযোগ্য!


আরও খবর