আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে লায়ন্সের ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশন শনিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

আগামী ১৮ মার্চ (শনিবার) লায়ন্স ক্লাবের ২৬তম বার্ষিক ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রে। কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরীর সিএলএফ কমপ্লেক্সের হালিমা রোকেয়া মেমোরিয়াল হলে এক সংবাদ সম্মেলনে কনভেনশন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাবস জেলা ৩১৫-বি ৪র জেলা গভর্নর লায়ন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ। এসময় প্রথম জেলা গভর্নর এম ডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, দ্বিতীয় জেলা গভর্নর কহিনূর কামাল, প্রাক্তন জেলা গভর্নর মোস্তাক হোসাইনসহ লায়ন্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লায়ন শামসুদ্দিন বলেন, লায়ন্স ক্লাবের চলমান কার্যক্রমের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। লায়ন্স আই ইনস্টিটিউটে এবার ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের পথ চলা শুরু হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে। এই সেশনে ১০ জন নিয়ে ইনস্টিটিউট শুরু হলেও সামনে এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

লায়ন্স গভর্নর করোনাসহ নানা দূর্যোগ ও দূর্ঘটনায় ক্লাবের অবদান তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে লায়ন্স করোনা সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় হেলথ ক্যাম্পের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে লায়ন্স।

কনভেনশন শুরু হবে ১৮ মার্চ সকাল ৯টায়। এ উপলক্ষে ১৫ মার্চ বিকেল সাড়ে তিনটায় জিইসি কনভেনশনের সামনে থেকে র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খনন করছে আফগানিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হার না মানা এক দেশ আফগানিস্তান। ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো নবজন্ম নিচ্ছে দেশটি। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।

প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি।

এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য গেমচেঞ্জার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।

আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।

এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।

২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।

তথ্য বলছেদীর্ঘদিন ধরেই এই খাল খননের স্বপ্ন দেখে আসছিলেন আফগানরা। এতদিন কোনো অগ্রগতি না হলেও দেশটির ইসলামিক সরকারের হাতে এর অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।


আরও খবর



ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পাবেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই বেতন ও বোনাস পাবেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। বুধবার (২০ মার্চ) শ্রমিক-মালিক ও সরকারপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির আগেই তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেয়া হবে। তবে ছুটির বিষয়ে কারখানার মালিক-শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই এবং কৌশলে কোনো কারখানা বন্ধ করা যাবে না। মালিক-শ্রমিক ও সরকার তিনপক্ষ মিলে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুতরাং শ্রমিকদের অসন্তোষ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

এ সময় শ্রমিকরা যাতে রাস্তায় নেমে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে শিল্প পুলিশ সতর্ক থাকবে বলেও জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম।


আরও খবর



রোজার আগে আরেক দফা চাপ বাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভালোমানের ছোলার দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে। অ্যাংকর ও খেসারি ডালের দামও বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। অ্যাংকর ডাল খুচরায় কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও খেসারির ডাল মানভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে বেগুন ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দামও কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পথে। রোজায় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। আর সেই সুযোগে এই সময়ে ওইসব পণ্যের দামও বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ইফতারি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বাড়তির দিকে। গত এক সপ্তাহে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে পরিচিত খেজুর, চিনি, ছোলা, বেসন, পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। রোজার আগে গতকাল শেষ শুক্রবারের বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগের দিনের চেয়ে আরও খানিকটা বেড়ে যায়। ক্রেতারা অনেকেই অভিযোগ করেন, পণ্যের দাম নানাবিধ কারণে যতটা না বাড়ে, কখনও কখনও তার চেয়ে বেশি বাড়ে ব্যবসায়ীদের খেয়ালখুশিতে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে হঠাৎ করে কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। কিছু সচ্ছল মানুষ আছেন যাদের কারও হয়তো এক কেজি ছোলা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি দুই কেজিও কিনে ফেলেন। এমন মনোভাবও বাজারে কৃত্রিম চাপ তৈরি করে। যার কুফল ভোগ করতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আলী হোসেন বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৬৩ থেকে ১৬৫ টাকা, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ ও প্যাকেট ১৪৮ টাকা, ছোলা ৯০ থেকে ১০০, অ্যাংকর ও ডাবলি ৮০ টাকা, বেসন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার মহল্লা পর্যায়ে ছোলা ১১০ টাকা কেজিতে, মোটা মসুর ডাল ১২০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৫০ টাকা, বোতলজাত দুই লিটার সয়াবিন তেল ৩৪০ টাকা, ছোলার বেসন ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মরিয়ম খেজুর মান ভেদে ১৩০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খেজুরের দামও গতবারের চেয়ে এ বছর অনেকটাই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

ডাল ও ছোলার দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ডালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ডলার রেট অন্যতম কারণ। আমরা চাহিদামতো ডলার পাচ্ছি না। তবে এখনও যে পরিমাণ ডাল ও ছোলা আছে তাতে রমজানে সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়।

রমজানের আগে মুরগির দাম এত বাড়ছে কেন তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গত বছরের আগস্ট থেকে করপোরেট কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের চাহিদামতো বাচ্চা দিচ্ছে না। বাচ্চা না পেয়ে অনেকেই খামার বন্ধ রেখেছে। এই ফাঁকে তারা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাজারে মুরগি সরবরাহ করছে। বর্তমানে বাজারের ৫০ ভাগ মুরগি হচ্ছে কন্ট্রাক্ট ফার্মের।

দাম বাড়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে, প্রান্তিক খামারিদের পণ্য পরিবহনে ব্যয় বেড়ে যাওয়া। তার সঙ্গে রয়েছে চাঁদাবাজি। প্রতিটি গাড়িতে চাঁদা দিতে হচ্ছে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় বাজারের চাঁদা, রাস্তায় অন্যান্য চাঁদা মিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ কেবল চাঁদা বাবদ চলে যাচ্ছে। এ কারণেও দাম বেড়ে যাচ্ছে।

সুমন হাওলাদার বলেন, একটি গাড়িতে ২ থেকে আড়াই হাজার মুরগি পরিবহনের সুযোগ থাকলেও করপোরেট কোম্পানিগুলো ১২০০ থেকে ১৫০০ মুরগি পরিবহন করছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রান্তিক খামারিদের বিআরটিএ থেকে গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না। আবার কিছু স্থানে গাড়ি দিলেও তার ওপরে খাঁচা বসাতে দেয় না। সেখানে চাঁদা দিয়ে খাঁচা বসাতে হয়। দিনের বেলা গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না। ইত্যাদি নানা কারণে মুরগির দাম বাড়ছে।

এদিকে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম, সবকিছু ঠিক থাকলে ৫০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হতো। কিন্তু নির্বাচনের আগে ভোক্তা অধিদপ্তর সাড়ে ৬০০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে কোথাও কোথাও প্রায় ৮০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মস্কোয় হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে মেদভেদেভ এই হুঙ্কার দেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা শুধুমাত্র সন্ত্রাসের ভাষা বোঝে। যদি বলপ্রয়োগ করা না যায়, যদি সন্ত্রাসীদের হত্যা এবং তাদের পরিবার-স্বজনদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়— তাহলে কোনও তদন্ত বা বিচার কাজে আসবে না। আমাদের সামনে আর কোনও উপায় নেই।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলা চালায় বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪৭ জন। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

ওই ভবনটির অডিটোরিয়ামে পিকনিক নামের একটি রুশ ব্যান্ডের কনসার্ট ছিল। কনসার্ট হলটির ধারণক্ষমতা সাড়ে ৭ হাজার এবং সন্ত্রাসীরা যখন আক্রমণ শুরু করে তখন হলটি প্রায় পরিপূর্ণ ছিল। কনসার্ট শুরুর আগে দর্শনার্থীরা যখন আসন গ্রহণ করছেন, সে সময়ই ঘটে অতর্কিত বন্দুক হামলা। হামলার পর ভবনটিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

২০০৯ সালে চালু হওয়া একটি বিনোদন কেন্দ্রের একটা অংশ এই কনসার্ট হলটি। পুরো কমপ্লেক্সে একটি শপিং মল ও একটি হোটেলও রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পাঁচজন বন্দুকধারী হামলাতে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের হাতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য সামরিক অস্ত্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

হামলাকারীরা ওই হলের নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা ভেতর থেকে হলটি বন্ধ করে রাখে।

কনসার্ট হলের একেবারে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা চেয়ারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ওই আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কোতে আইএস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছে এবং ঘটনাস্থলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়মিত এ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে।


আরও খবর



পদোন্নতি পেয়ে আইজি হলেন 'টুয়েলভথ ফেল' খ্যাত মনোজ শর্মা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদোন্নতি পেয়েছেন ভারতের টুয়েলভথ ফেল খ্যাত আইপিএস অফিসার মনোজ শর্মা। দেশটির মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিআইজি ছিলেন তিনি। তাকে পদোন্নতি দিয়ে আইজি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। ২০০৩, ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের ব্যাচের আইপিএসদের পদোন্নতি অনুমোদন করেছে কেন্দ্র।

এ খুশির খবর নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছেন মনোজ নিজেই। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্স-এ মনোজ জানিয়েছেন, কীভাবে আইপিএস হিসাবে তাঁর যাত্রা শুরু। বলেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করে আইজি হওয়ার উড়ানের কথা।

এ যাত্রাপথে যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মনোজ। নিজের কর্মরত অবস্থার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। এর আগে গত বছর ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় বিক্রান্ত মাসে অভিনীত ছবি টুয়েলভ্‌থ ফেল। লেখক অনুরাগ পাঠকের টুয়েলভ্‌থ ফেল উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবির গল্প আসলে আইপিএস মনোজ শর্মার জীবনীচিত্র।

কীভাবে দ্বাদশ অনুত্তীর্ণ ছেলের জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল একটি ঘটনায়, তারই বর্ণনা করেছেন মনোজের বন্ধু অনুরাগ। ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত মাসে। দ্বাদশ পাস না করেও জীবনে সফল হওয়ার এ কাহিনি মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকের।


আরও খবর