আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে নিউরোস্পাইন সোসাইটির ৪র্থ সম্মেলন উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দুই দিনব্যাপী ‘‘নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এনএসএসবি) এর চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে (৬ ডিসেম্বর ২০২২) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রডিসন ব্লু-তে প্রধান অতিথি হিসেবে  এ সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও দ্বিতীয় দিনে দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাতেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরবর্তী স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন তাঁর (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয়। তাঁর হাতেই দেশের সরকারি বেসরকারি আধুনিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র গড়ে ওঠে। তাঁর নানামুখী উদ্যোগের কারণে দেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা টানা থাকার কারণে দেশের উন্নয়নের চিত্রপট পরিবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দুর্বার গতিতে ছুটছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় চেতনা, সঠিক পরামর্শ, আলাদা বাজেট বরাদ্দ ও অনুপ্রেরণা করোনাভাইরাস মহামারী যুদ্ধে বাংলাদেশ সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক পর্যায়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা দিচ্ছে।

বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার, কিডনি, প্লাস্টি সার্জারি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে।নিউরোসাউন্সের মত আধুনিক সেবা প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়ে তুলেছেন।  তার হাতেই বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের দিকে ধাবিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বর্তমানে নিউরো সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীদের চিকিৎসা বাংলাদেশে করতে সক্ষম। তবে প্রয়োজনের তুলনায়  দক্ষ লোকবল কম।  মানুষের প্রয়োজনে স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসার জন্য নিউরোসার্জন সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান করা হয়। এর আগে সম্মেলনের প্রি ওয়ার্কসপ হিসবে মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগে মঙ্গলবার দিনব্যাপী মৃত বা ডেথবডির উপর স্পাইনাল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের উপর হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান করা হয়।

নিউরোস্পাইন সোসাইটির ৪র্থ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলেই স্বাস্থ্যসেক্টরসহ উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেক্টরের উন্নয়নের ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশের গড়ায়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।দেশের ওষুধ শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। দেশের ওষুধ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এসব শিল্পের দ্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই উন্মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেক্টরের উন্নয়নের ফলে করোনাভাইরাস যুদ্ধে বাংলাদেশে সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। করোনাভাইরাস শুরুর সময় ঘনবসতি হবার ফলে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম।কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিডিয়ার সামনে এসে করোনাভাইরাস যুদ্ধে করণীয় সম্পর্কে বলার পর দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ঘুরে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ২১২ জন জন নিউরোসার্জন রয়েছে। কিন্তু দেশের জনগণের অনুযায়ী দরকার ১৬০০ জন নিউরোসার্জনস। একসাথে না পারলেও ধীরে ধীরে এ আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রয়োজনে নিউরোসার্জনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের অধীনে যেখানে ফ্যাকাল্টি আছে সেখানে আসন সংখ্যা দেরগুণ ও দ্বিগুণ  বৃদ্ধি করা হবে। যেখানে ফ্যাকাল্টি নেই সেখানে আমরা কোর্স বন্ধ করে দেবো। আমরা সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে কোয়ালিটি ইনসিউর করতে চাই।

অধ্যাপক মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই দেশের সকল উন্নয়ন সম্ভব হয়ছে । দেশের স্বাস্থ্যখাতের ভিত্তি বঙ্গবন্ধুর হাতে রচিত হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই পরিপূর্ণতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস যুদ্ধের মহানায়ক। তাঁর হাতেই দেশের স্বাস্থ্যখাত উন্নত হয়েছে।স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া লোকের সংখ্যা কমছে।করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম এবং সারাবিশ্বে পঞ্চম অধিকার লাভ করেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ সকল খাতের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ ও স্বাচিপের সাবেক সফল মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিকিৎসকদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যসেক্টর ঢেলে সাজান। স্বাস্থ্যসেক্টরের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের সম্মানিত ডিন ও সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিউরোসার্জারি বিভাগ চালু করেন অধ্যাপক রশিদ উদ্দিন স্যারকে দিয়ে খুলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আধুনিক নিউরো সার্জারির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতায় থাকলে ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিউরো সার্জারির মডেলে রুপান্তরিত করতে পারব। বাংলাদেশে নিউরো সার্জারির মডেলে রূপান্তরিত করতে পারলে দেশের বাইরে আর কোন মানুষকে যেতে হবে না।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউরো স্পাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউরোস্পাইন সোসাইটির ভারপাপ্ত সভাপতিত্ব অধ্যাপক ডা. মোঃ কামালউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের ডা. এটিএম আসাদুল্লাহ।  এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে নিউরোসার্জন ও নিউরোস্পাইন সার্জনরা অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



বগুড়ায় বহুতল মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়া শহরের বহুতল বাণিজ্যিক বিপণিবিতান মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের সাতমাথার কাছে এম এ খান লেনে অবস্থিত ভবনটির ছয়তলায় এ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর



প্রতি কি‌লো‌মিটা‌রে বাস ভাড়া কমছে ৩ পয়সা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতি কি‌লো‌মিটা‌র বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমছে। ডিজেলের দাম ২ দফায় লিটা‌রে ৩ টাকা কমায় বাংলাদেশ সড়ক প‌রিবহন কর্তৃপ‌ক্ষের (বিআরটিএ) ভাড়া নির্ধারণ কমিটি এ সুপা‌রিশ ক‌রে‌ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ সদর দপ্তরে ভাড়া নির্ধা‌রণ ক‌মি‌টির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাস মা‌লিকরাও ভাড়া কমা‌নোর সুপা‌রিশে একমত পোষণ করেন।

ক‌মি‌টির সুপারিশ অনুযায়ী, দূরপাল্লার বা‌সে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ২ টাকা ১২ পয়সা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২ টাকা ৪৫ টাকা থেকে কমিয়ে ২ টাকা ৪২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয় হয়েছে।

সরকা‌রের অনু‌মোদন পে‌লে হ্রাসকৃত ভাড়া কার্যকর হ‌বে।

এ বিষয়ে বিআর‌টিএ চেয়ারম‌্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, ভাড়া কমা‌নোর সুপা‌রিশ আজই মন্ত্রণাল‌য়ে পাঠা‌নো হ‌বে। সরকার প্রজ্ঞাপন জা‌রি কর‌লে তা কার্যকর হ‌বে।

নিউজ ট্যাগ: বুয়েট বিআরটিএ

আরও খবর



ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিল এই ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ বিষয়ে আগামীকালের (সোমবার) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গত ২৭ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

১২ মার্চ রোজা শুরু হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। তবে ইতিমধ্যে ঈদের জন্য ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল সম্ভাব্য ছুটির দিন নির্ধারণ করা আছে। যদি এটি ঠিক থাকে, তাহলে পরদিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার পরদিন ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ। এদিনও সরকারি ছুটি। তার মানে, পাঁচ দিন ছুটি নিশ্চিত হয়ে আছে। আর নির্বাহী আদেশে এক দিন ছুটি যদি কোনো কারণে বাড়ে, তাহলে মোট ছুটিও বাড়বে।


আরও খবর