আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় একটি ডিমের দোকান ও তিনটি আড়তের মালিককে মূল্য তালিকা ও ক্রয় রশিদ দেখাতে না পারায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। অনেক ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতা নির্ধারিত দামের বিষয়ে জানেন না। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে।
মেসার্স মামুন ট্রেডার্সের মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, আজ মানভেদে আলু ৩৮-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে আড়তে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। আড়ত থেকে আলু কিনলে ৫০-৫৫ কেজির বস্তায় ১০ টাকা আড়তদারি ও ২৫ টাকা লেবার চার্জ দিতে হয়।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা (হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা) হলেও শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, তারা বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না।
রিয়াজুদ্দিন বাজার এ মূল্য তালিকা যথাযথ না থাকা, পণ্য বা আলু ক্রয়ের পাকা ভাউচার না থাকার অপরাধে আলু ও ডিমের ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মেসার্স মামুন ট্রেডার্সকে ৬ হাজার টাকা, মেসার্স রফরফ বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার, মেসার্স কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার, এবং হাজী আব্দুল হামিদ সওদাগরের ডিমের দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।