আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। কঠিন সেই লক্ষ্য টপকাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩৭ রানে স্বাগতিক প্রোটিয়াদের থামিয়ে বিশ্ব জয়ের আনন্দে মাতে অজি মেয়েরা। এই নিয়ে টানা দুটি বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া নারী দল

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকদের ১৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেয়িলা। মোটামুটি কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে স্বাগতিকদের। পরের দুই ব্যাটারও সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে লরা ওলভার্ড ও ক্লো ট্রায়ন মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৬১ রান করে ওলভার্ড আউট হতেই ছন্দপতন ঘটে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে।

৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া এই ওপেনার। সঙ্গীকে হারনোর কিছুক্ষণ পর ক্লো ট্রায়নও ফেরেন ২৩ বলে ২৫ রান করে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। আর তাতেই ১৯ রানে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতে।

নিজেদের মাঠে ভারত, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দলকে বিদায় করে দিয়ে প্রথমবার ফাইনাল খেলেছে। দেশকে সাপোর্ট করতে কেডটাউনের পুরো গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিক দর্শকদের।অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ম্যাগান শুট, অ্যাশলে গার্ডনার, ডার্সি ব্রাউন ও জেস জোনাসেন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে বেথ মুনির ৫৩ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ রানের মাথায় ওপেনার অ্যালিসা হিলি (১৮) আউট হলে বেথ মুনি ও অ্যাশলে গার্ডনার ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৯ রান করে আউট হন অ্যাশলে গার্ডনার।

এরপর গ্রেস হ্যারিস ও মেগ ল্যানিংকে সঙ্গে নিয়ে বেথ মুনি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। বেথ মুনি ৯ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ৭৪ রানের ইনিংসটি খেলেন। গ্রেস হ্যারিস ও মেগ ল্যানিং ১০ রান করে করেন। আর তাতেই ১৫৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ননকুলেকো মেলবা ও শাবনিম ইসমাইল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন মারিজান ক্যাপ।


আরও খবর



চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন

নেই ব্যবসায়িক লাইসেন্স অথচ ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বহু নাটকীয়তার পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলে ১৪জন, দুলাল-বাবলু-আরমান প্যানেলে ২২জন ও একক প্যানেলে সৈয়দ আব্দুল করিম'র ছবি সম্মিলিত তালিকা প্রকাশ করে ৩টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিলো।

কিন্তু শনিবার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছিলো আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ান। সে সময় ভোটের মাঠে থাকার কথা জানালেও সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তারা ভোট বর্জন করেন। সেই সাথে একক প্রার্থী সৈয়দ আব্দুল করিম ও বর্জন করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই অংশ নিয়েছে দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। তবে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এবারের নির্বাচনে ৫ হাজারের অধিক ভোটারের মধ্যে অনেকেরই ব্যবসায়িক লাইসেন্স (ট্রেড লাইসেন্স) নেই, অথচ ভোটারের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদান করছে এমন ভোটারের সংখ্যাও কম নয়। প্রশ্ন ওঠে নির্বাচনের নামে চেম্বারে হচ্ছে টা কি?।

সদরের জগন্নাথপুর থেকে ভোট দিতে এসেছেন মোটরসাইকেল মেকানিক এক ভোটার। নিজস্ব বৈধ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেননি, নেই ট্রেড লাইসেন্স। তবে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে ভোট দেন তিনি। এই ভোটার জানান, মুঠোফোনে তাকে জানানো হয়েছে তিনি চেম্বারের ভোটার। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হিমাগারে কাজ করে এমন শ্রমিকদের একাংশকে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করে এমন ব্যক্তিও ভোটার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিমাগারে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, আমি হিমাগারে কাজ করি। কিন্তু আমার বংশ পরম্পরায় ব্যবসায়ী। তাই আমি চেম্বারের ভোটার। আমার হিমাগার মালিক আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছেন। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করা এক ব্যাক্তি ভোট প্রদান করে জানালেন তিনিও মোবাইলে জানতে পেরেছেন ভোটের কথা। এর আগে এলাকার এক ছোট ভাই তার থেকে আইডি কার্ড আর ছবি জমা নিয়েছিলেন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন দুলালি আক্তার। নিজ বাড়িতে তার একটা দুলালি ফার্মেসি নামের প্রতিষ্ঠান আছে। যার ট্রেড লাইসেন্স আর ড্রাগ লাইসেন্স কোনটিই মনে নেই তার। তিনি বলেন, মামা হিমাগারে ম্যানেজার। তিনি ভোটার হতে সাহায্য করেছেন।

জাতীয় তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও সদস্য সচিব মো: মাহবুব আলম রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ১২ বছর পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এখানে সাধারণ শ্রমিক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ভোটার হয়েছে। অনেকেই আছে যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। তাহলে অন্য যে প্যানেলটি অভিযোগ করেছে নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা হয়নি। সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলো। এই নির্বাচনে ব্যবসায়িরা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে।

এব্যাপারে  ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী অভিযোগ করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট তা জানানোর সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়ে আপিল কর্তৃপক্ষ বরাবর ভোটার তালিকা নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ করায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।

ভোটের মাঠে একক ভাবে লড়াই করেছেন দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। মোট ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩৮ জন।


আরও খবর



ত্রিশালে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোমিন তালুকদার, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয় সাথে প্রাইভেটকারটি। পরে স্থানীয়রা গাড়ি থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে গাড়ির চালক যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলাম দীপক গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনার পরে তাদের গাড়ি থেকে বের করার পর গাড়ীতে আগুন ধরে যায়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের বাইপাস এলাকায় যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ নিজের ফিসারীর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করে ত্রিশাল আসার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি নিজের গাড়ী নিজেই চালিয়ে আসছিলেন।

নিহত শামীম পারভেজ ত্রিশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজহারুল ইসলামের বড় ছেলে। সে উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সকালে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়। নিহতের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



টিকটকার বিয়ে করে সর্বস্বান্ত জল্লাদ শাহজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর বার বার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আলোচিত সেই জল্লাদ শাহজাহান। পাশাপাশি বিয়ে করে তিনি সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির কাছে জল্লাদ শাহজাহানের প্রতারণার বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টাইমস পিআর।

শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা- এগুলোর কোনোটাই আমি পাচ্ছি না। আমি আমার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমার মা-বাবা নেই, দায়িত্ব নেওয়ার মতো ভাই-বোন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাকে থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি। আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগান নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে এখন এসে আমি বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না। যেখানে যাচ্ছি, প্রতারণার শিকার হচ্ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বিয়ের কাবিন ৫ লাখ টাকা হলেও ১০ লাখ টাকা দেনমোহর লিখিত দিয়ে আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ৫৩ দিনের মাথা পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে আমার নামে যৌতুকের মামলা দিল, আমি মামলা দিতে গেলে বউয়ের নামে মামলা হয় না কোনো। আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শাহজাহান বলেন, পরে আইনজীবীর সহায়তায় গতকাল রবিবার আদালতে আমার স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখানে যাদের আমি আসামি করেছি তারা এই কাবিনের স্বাক্ষী, তারা এই যৌতুকের টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, তারা এই ১০ লাখ টাকা নেওয়ার স্বাক্ষী, ওদের (স্ত্রীর) আত্মীয়রাই এখানে (আসামির তালিকায়)।

তিনি বলেন, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে বাইরে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছি। কারাগারে থাকতেই ভালো ছিলাম। কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে, জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। আমি কারাগার থেকে বের হলে আমার ভাগ্নে নজরুল অটোরিকশা কিনে দেবে বলে টাকা মেরে দেয়।

প্রতারণার শিকার হওয়ার আরেক উদাহরণ দিয়ে দেশের আলোচিত এ জল্লাদ বলেন, এরপর অনেক কষ্ট করে একটা চায়ের দোকান দেই, আমার সঙ্গে যে ছেলেটি ছিল দোকানে আমার সঙ্গে সময় দিত। সে চার মাস থাকার পরে দোকানে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।

শাহজাহান বলেন, আমি এখন উভয়সংকটে জীবনযাপন করছি। একে তো আমার অচল অর্থনৈতিক অবস্থা, অন্যদিকে একজন নারী আমার জীবনের শেষ জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অথচ আমার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে, যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যান শাহজাহান। ২০০১ সালের আগে ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী জল্লাদ হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন তার বয়স ৩০ এর কিছু বেশি।

৪৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান ভূঁইয়া। বর্তমানে তার হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে।


আরও খবর



নবীগঞ্জে বাস চাপায় প্রাণ গেল দু’জনের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মডেলবাজার নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেলবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আউশকান্দি ইউনিয়নের মংলাপুর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (২০) ও একই গ্রামের ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে মো. সাদিক মিয়া (৩৫)।

আউশকান্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাহেল আহমদ বলেন, বুধবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেল বাজার এলাকায় সিলেটগামী দ্রুতগতির আল মোবারাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সাদিক ও হাসানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাদিক মিয়া ও হাসান আহমদ নিহত হন।

খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তা লাশ উদ্ধার করে।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব দুর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর