আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

৭ জানুয়ারি সরকারের দ্বিতীয় বছর পূর্তি।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির যুগ্মসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছিল, তা একটি ভুল সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে। সেটি সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারতের স্বাস্থ্য সচিব নিরসন করে দিয়েছেন। এরপরও যারা এসব কথা বলেন, আসলে তারা জনগণের মনে প্রথম থেকেই যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রিজভী আহমেদসহ বিএনপির নেতারা এসব কথা বলছেন। বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাবে।

মির্জা আবদুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমতো মির্জা আবদুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটির ব্যাখ্যা তিনি এরই মধ্যে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি নোয়াখালীর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন। সারা দেশের রাজনীতি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। তিনি বিবৃতি দিয়ে এটা জানিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মির্জা আবদুল কাদেরের বক্তব্যে আমি মনে করি, আমাদের দলের মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে, যে কেউ তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন, সেটারই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যেটা হচ্ছে, সেটার ব্যাখা তিনি যেমন দিয়েছেন, একইসঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে যে কেউ অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। এ রকম অভিমত আমাদের দলের মধ্যে বহুজন বহু আগেও ব্যক্ত করেছেন। তিনি যেহেতু আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই, সেজন্য তারটা বেশি প্রচার হয়েছে। এটিই শুধু ভিন্নতা।


আরও খবর



কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর ঘিরে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার যুদ্ধ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করছেন যাত্রীরা। গত ২৫ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই আজ কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

তবে প্রতিবছর ঈদ যাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এ বছর যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ নেই। নির্ধারিত নিয়মে পেয়েছেন টিকিট আবার নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেনও। দুই একটি ট্রেন কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও সেটাও মানিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরে দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট স্কান করে যাত্রা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসছে সব ট্রেন। সবমিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় এখনো ট্রেন নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আব্দুল আউয়াল বলেন, ট্রেনের টিকিট আমার ছেলে অনলাইনে কেটে দিয়েছে। লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঈদে বাড়ি যাচ্ছি ঝামেলা ছাড়াই। ট্রেন ৫-১০ মিনিট লেট করে ছাড়লেও এটা বিষয় না। বাসেও এমন ১০ মিনিট লেট হয়। সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।

সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এছাড়া সকাল ১০টায় ছেড়ে যাবে জামালপুর এক্সপ্রেস, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে একতা এক্সপ্রেস, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস।

জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। কোনো ট্রেন আজ দেরিতেও ছাড়েনি। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত অবস্থা খুবই ভালো। আশা করছি যাত্রীরা এবারের ঈদ যাত্রা উপভোগ করবেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর



রাজনীতি ছাড়ার কারণ জানালেন মিমি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গতবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। শুধু প্রার্থী নয়, জয়ীও হয়েছিলেন। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি এ বছর তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না। তার জায়গায় এবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মিমি। এখন তার ধ্যান, জ্ঞান সব কিছুই অভিনয়। ক্যারিয়ারে আবারও ভালো করে মন দিতে চান। আর তার মাঝেই রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে এটা কী বলে বসলেন তিনি!

একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, 'পিস অব মাইন্ড ফিরে পেয়েছি।' কিন্তু কেন এমনটা মনে করেন মিমি সেটা খোলাসা করলেন না।

টালিউডের স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে একটা গ্রুপ আছে, যারা ঠিক করে কারা ভালো আর কারা খারাপ। বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে খুল্লামখুল্লা কথা হয়। করণ জোহর যদি ঠিক করেন তিনি কোনো স্টার কিডকে লঞ্চ করবেন তা হলে করেই ছাড়বেন। কিন্তু এখানে মিষ্টির ছুরি সব। কিছুই খোলাখুলি হয় না। সবাই পেছনে নিন্দা করে। একে ওকে বলে যে কাকে ছবিতে নেবে আর কাকে নয়।

মিমিকে আগামীতে আলাপ ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীকে। থাকবেন স্বস্তিকা দত্ত, কিঞ্জল নন্দা, দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, তন্বী লাহা রায়। আগামী ২৬ এপ্রিল বড় পর্দায় আসছে আলাপ।

নিউজ ট্যাগ: মিমি চক্রবর্তী

আরও খবর



লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে খুলছে ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসঙ্গে খুলবে অফিস-আদালতও।

এদিন থেকে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে। ব্যাংক সকাল ১০টায় খুলবে, লেনদেন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং। অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদ উপলক্ষে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি। এভাবে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। তবে অনলাইনে ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, সিআরএমে টাকা জমা ইত্যাদি সেবা অব্যাহত ছিল।

ছুটি শেষে আজ চাকরিতে যোগ দেবেন কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঈদের আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। কারণ, এর আগে রবিবার শবে কদরের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ছাত্রলীগের বিবৃতি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়া এ আন্দোলনের প্রতিবাদে সমাবেশও করবে সংগঠনটি। রবিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ করবে তারা।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে যা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

এতে বলা হয়, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১ অনুযায়ী বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিধায়, সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে। কিন্তু তা না করে, এই আইনের কোথাও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বুয়েটকে প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে।

ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে জঙ্গি আস্তানায় গোপন মিটিং, শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল মেইলে জঙ্গিবাদের প্রচারণা, ক্যাম্পাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানো, বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডল এ শ্রেণিকক্ষে মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বুয়েটকে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে পশ্চাৎ দিকে ধাবিত করছে।

এতে বলা হয়, বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ-৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ-৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ-৩৬ (চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ-৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ-৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্‌-স্বাধীনতা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরে বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে, ব্যথিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু বছর ধরে সন্ত্রাসজনিত কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। একইসঙ্গে এদেশের মহান স্বাধীনতা, ভাষা ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে এদেশের বহু শিক্ষার্থী অকাতরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, অনেকের প্রাণ হরণ করা হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছে, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বলছে, এ কারণে শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনকে মূল্যবান বিবেচনা করে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ জীবনযাপন ও শিক্ষা নিশ্চিত করাকে নিজেদের সাংগঠনিক মূলমন্ত্র গণ্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র বিতাড়িত হয়েছে, সেশনজট দূর হয়েছে, শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির সোপানে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, বুয়েট প্রশাসন, শিক্ষকমণ্ডলি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহ্বান জানাচ্ছে, একটি অন্যায়ের প্রতিকার হিসেবে আপনারা ধারাবাহিক অসংখ্য অন্যায় ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হবেন না। যে মহান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাটিতে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা নির্মিত হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে আপনারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না, রীতি-পদ্ধতি-সামাজিকতা প্রচলন করবেন না যেটি এদেশের সংবিধানকে অমান্য করে, একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করে, শিক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করে, স্বাভাবিক ও পারিবারিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। আপনাদের এরূপ কর্ম-সিদ্ধান্ত এদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এদেশের সাধারণ মানুষ যাদের শ্রম-ঘামের বিনিময়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তারা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

ছাত্রলীগ বলছে, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথী, বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা-নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখানো রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে এদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক যে উন্নতি সাধন করেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পথনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েট নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে, আগামীতেও করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বুয়েট সঙ্কোচের বিহ্বলতায়’ দেশ গঠনে নিজেদের অবদান ম্লান হতে দিবে না, সংকটের কল্পনাতে’ হবে না ম্রিয়মান। এদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েটের প্রতি আহ্বান জানায়, আপনা-মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়’।


আরও খবর