দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন তিনি। তবে তার প্রচারের পোস্টার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিজেকে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত’ প্রার্থীর পাশাপাশি ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন চুন্নু। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ১৭ ডিসেম্বর ২৮৩ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানায় জাতীয় পার্টি। একই দিন দলটিকে ২৬টি আসনে ছাড় দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে আছে চুন্নুর আসন কিশোরগঞ্জ-৩। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম। এ ছাড়াও আসনটিতে আওয়ামী লীগের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন– নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজুল হক (ঈগল), মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক (কাঁচি), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবীর ভূঁইয়া (কেটলি) ও মো. রুবেল মিয়া (ট্রাক)।
নৌকার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় মুজিবুল হককে এ আসনে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাই বলে সমর্থন দেওয়া হয়নি। কাজেই পোস্টারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লেখাটা অন্যায় হয়েছে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হক বলেন, ‘বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।’
তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক মোতাহারও বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা হয়েছে, কিন্তু চুন্নুকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়নি। তার পক্ষে আমরা নির্বাচনী কাজও করছি না। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
এ বিষয়ে জানতে মুজিবুল হক চুন্নুকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি আশরাফ উদ্দীন রেনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ’আমাদের মহাসচিবের জন্য নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সমর্থক– এ কথা লেখা কোনো অন্যায় নয়।’