আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে দল পুনর্গঠনে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একদিকে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিল-নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে বিএনপিও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বিএনপির প্রস্তুতি নির্বাচন কিংবা দলীয় কাউন্সিলের নয়, প্রস্তুতি সরকার পতন আন্দোলনের। ফলে দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে অগ্রসর হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। একটি হচ্ছে স্বল্পসময়ের মধ্যে দল পুনর্গঠন অন্যটি হচ্ছে আন্দোলন। সেজন্য চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগেই দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সাংগঠনিক জেলা-উপজেলা কমিটির পুনর্গঠন শুরু করেছে। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয় ৬ আগস্ট। এরপর কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি। কিন্তু কাউন্সিল করতে না পারলেও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির বেশকিছু পদে রদবদল করেছেন বিএনপির হাইকমান্ড। সম্প্রতি বেশকিছু জেলায় কাউন্সিলে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা (জাসাস) এর আহ্বায়ক কমিটি, তাঁতীদলের আহ্বায়ক কমিটি, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটি, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর আহ্বায়ক কমিটি, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) আহ্বায়ক কমিটি, স্বেচ্ছাসেবক দলের পুর্ণাঙ্গ কমিটি, ছাত্রদল নতুন আংশিক কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৭০টি ওয়ার্ডের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ থানার ৭১ টি ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত ৬২০ টি ইউনিট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। তবে মেয়াদ শেষ হয়েছে অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোকেও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে করোনাকালিন সময় থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করছেন, যা এখনো অব্যাহত রেখেছে। এসব বৈঠকেই দল পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার পতনে আন্দোলনের বিকল্প নেই। চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতেই দল পুনর্গঠন চলছে। সারাদেশে জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে এবং দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে রাজপথ আন্দোলনের উপযুক্ত হিসাবে গড়ে তুলতে দল পুনগর্ঠন প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। যদিও কোথাও কোথাও সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে আমাদের এসব কর্মকান্ডে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিনা কারণেই অনেক জেলায় কাউন্সিল করতে দিচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- এবার ঢাকার রাজপথ আন্দোলন কে জোড়দার করতে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো যেমন-গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জ জেলার কমিটি কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কেন না ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবিশ্বাস্য বিপর্যয়ের পর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় এক ধরণের স্থবিরতা। ইস্যুভিত্তিক বেশকিছু কর্মসূচি বিশেষ করে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখে সেটাকে বিবেচনায় নিয়েই এবার জোড়ালোভাবে দল গোছানো কাজ শেষ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফরে গিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন শুরু করেছেন।

সম্প্রতি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সংগঠন শক্তিশালী করছি। যারা বলে বিএনপি আন্দোলন করে না। রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে! আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়তো সাময়িক বিরতি আছে। বিরোধীদলকে জেলে ভরে কেটে মেরে বলছেন দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। মনে রাখবেন বিএনপি এখনো আছে এবং থাকবে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এদিকে, বর্তমান সরকারের পতন ঘটলেই কেবল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা। তাদের মতে, এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকারের লক্ষ্যে আন্দোলন করা হবে। এসব দাবিতে সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বড় ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে কাজ চলছে, এবং সেই প্রস্তুতির ক্ষেত্রে দল পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প থাকছে না বলেও মনে করছে দলটির নেতারা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবার তরুণদের প্রধান্য দিয়ে দল পুনর্গঠন করতে চাচ্ছেন। সে লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটিতে তরুণদের দেখা যাচ্ছে। কমিটিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আর তরুণ-ছাত্রনেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা একটি বিষয়ে একমত যে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেই জন্য দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপিও কোনো নির্বাচনে যাবে না। আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সামনে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। এ ছাড়া চূড়ান্ত আন্দোলনের আগেই সাংগঠনিক জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠন শেষ করতে কাজ করছে দল।

বিএনপির দপ্তর সূত্র মতে-বিএনপি এখন সংগঠন গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। সম্ভাব্য আন্দোলন সংগ্রাম বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পুনর্গঠন করা হচ্ছে। ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি ব্যতীত এই মুহূর্তে চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমে শক্তি ক্ষয় করতে চাচ্ছে না দলটির হাইকমান্ড। তবে বিএনপি শিগগিরই ঐক্যবদ্ধভাবে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে। সেই লক্ষ্যেই দলের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদকমণ্ডলীর মতামত নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এ ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে বিএনপি বেশ সতর্ক। উৎসাহ দেখানোর পক্ষপাতী নয় দলটি। ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড।

দল পুনগর্ঠন প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দল পুনর্গঠন চলছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি পুনগর্ঠনে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের বাধাকে অতিক্রম করে আমরা কোথাও কোথাও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছি। নির্বাচন যেটা হবে সেটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে তার আগে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এবং সেই পদত্যাগের যে আন্দোলন সেই আন্দোলনে এবার সবাইকে কোমর বেঁধে নামতে হবে। এটা জীবন মরণের প্রশ্ন। আমাদের স্বাধীনতার প্রশ্ন, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন, ভোটের প্রশ্ন এগুলোর সুরক্ষার জন্য এবার জীবনপণ করে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে।


আরও খবর



আমিরাতের সব ট্রেডে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব ট্রেডে পুনরায় ভিসা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে দুবাইয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদির মধ্যে আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সব অঙ্গনে আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান আমিরাতের সব ট্রেডে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য পুনরায় ভিসা চালু করা, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের অনুরোধ জানান।

এসময় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে কোনো বাধা নেই জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার প্রযুক্তিচালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।

তিনি আমিরাতে কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার জন্য এআই এবং এ সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করেন এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পদ্ধতি তুলে ধরেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান আমিরাতগামী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানান উদ্যোগ সম্পর্কে জানান এবং সেখানকার চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথা জানান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সোমালি জলদস্যুদের জানতে দেখুন এই পাঁচ সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত কয়েক বছর স্তিমিত থাকলেও সম্প্রতি নতুন করে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের। গত মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে। এরপর থেকেই ফের আলোচনায় তারা।

গত কয়েক দশকে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই সিনেমাগুলোতে দেখানো হয়েছে নাবিকদের জিম্মি করা, মুক্তিপণ চাওয়া এবং না দিলে খুন করে ফেলার ঘটনা। বাস্তবে সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন ব্যক্তিও অভিনয় করেছেন এসব ছবিতে। তাই প্রতিটি ঘটনা জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে পর্দায়। এক নজরে জেনে নিন সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি পাঁচ সিনেমা সম্পর্কে।

স্টোলেন সিস: ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১২ সালে। সোমালি জলদস্যুদের বিষয়গুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে ছবিতে। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। জিম্মি হওয়া নাবিকদের দুর্দশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইনের এই ছবিতে।

আ হাইজ্যাকিং: ড্যানিশ এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে এই ছবি। কার্গো জাহাজের মালিকের জলদস্যুদের সঙ্গে দেন-দরবারের দৃশ্যগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ফিশিং উইদাউট নেটস: এ সিনেমায় জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কীভাবে জেলেরা বেঁচে থাকার তাগিদে জলদস্যুতে পরিণত হয়েছেন, সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ছবিটি ২০১২ সালে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রচুর প্রশংসা এবং পুরষ্কার জিতেছে।

দ্য প্রজেক্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি নির্মিত ডকুড্রামা দ্য প্রোজেক্ট। এতে তুলে ধরা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের আধিপত্যের কারণে শিপিং বিশ্ব কতটা হুমকিতে পড়েছে। এই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করতে কী করা যায়, এসব বিষয়ও উঠে এসেছে ডকুড্রামাটিতে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে ডকুড্রামাটি।

ক্যাপ্টেন ফিলিপস: আমেরিকান মালবাহী জাহাজ মারস্ক আলাবামা ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিলে ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। তার জিম্মি অবস্থায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। রিচার্ড ফিলিপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রিচার্ড ফিলিপস বই লিখেছিলেন। সেই বই অবলম্বনে পল গ্রিনগ্রাস ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।


আরও খবর



সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কিংস পার্টিতে যোগ দিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ফরম পূরণ করে হাফিজের কাছে জমা দিয়েছিলেন সাকিব। এমন একটি ছবি ও খবরে রাজনৈতি অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ নিয়ে কোনো কিছু জানেন না তিনি। 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সাকিব আল হাসান পরবর্তীতে ইউটার্ন নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার টিকিট নিয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

সাকিব আল হাসান বিএনএমের সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কীভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেনএ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না।

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার (রাজনৈতিক দলের) রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (স্বীকৃতি) দেয় এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

জানা গেছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। নির্বাচনের আগে নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে ফের রাজনীতিতে আলোচনায় এসেছে কিংসপার্টি।

জানা গেছে, কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নতুন এই দল গঠনে নেপথ্যের ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। বহুল আলোচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করিয়েছেন তিনি। এমনকি দলের নামটিও তার দেওয়া বলে দাবি করেছেন এর নেতারা।

শুধু তাই নয়, নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মেজর হাফিজ বিষয়টি অস্বীকার করেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এইসব নিউজ পুরনো জিনিস নিয়ে কে আছে?  মন চাইলে করেন (নিউজ), না চাইলে না করেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া জিম্মি জাহাজে অভিযানের সুযোগ নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা জাহাজে কারও অভিযান চালানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মার্জিয়া মুমু।

ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের যুদ্ধজাহাজের অবস্থানের কথা জানতে চাইলে শুক্রবার (২২ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, জলদস্যুদের কবলে থাকা ওই জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারে আলোচনা চলমান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

এদিকে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় ইইউ নেভির যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি জিম্মিদের মুক্তির আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান তিনি।

সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে অপারেশন আটলান্টা নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউর নেভাল ফোর্সের যুদ্ধজাহাজটি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে অপারেশন আটলান্টা এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটি দেখা যাচ্ছে।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর