আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গা ৮ ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ ১৬ ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার উথলি, কেডিকে, মনোহরপুর, বাঁকা, হাসাদাহ, ও রায়পুর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় নাগদাহ ও আইলহাস ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে।  প্রথমবারের মতো সবাই ইভিএমে ভোট দিচ্ছে ভোটারা। তাই আনন্দ আর উদ্দিপনার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে। আর এদিকে কোনো ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না হয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর তৎপর।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ১৮টি কেন্দ্রে এবং জীবননগর উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নে ৫৪ টি ভোটকেন্দ্রে ২৬১ টি ভোটকক্ষে সকাল ৮ টায় আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।  আর  বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ছিল প্রতিটা ইউনিয়ন হাটবাজার থেকে শুরু করে সব অলিগলিতে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাধা দেয়া ও কর্মীদের ওপর হামলা ভাংচুরের ঘটনা যেন না সেজন্য প্রশাসন কঠোর তৎপর রয়েছে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭৮৫ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছে ২৫৮জন প্রার্থী।

উথলী ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৫৩ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৬১৪ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৫৩৯ জন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হান্নান, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজালুর রহমান ধীরু, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, শাখাওয়াত হোসেন, আব্বাস উদ্দিন জোয়াদ্দার, লিমন ফেরদৌস।

মনোহরপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৪৬১ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৭৮৩ জন,নারী ভোটার ৬ হাজার ৬৭৮ জন। এ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহরাব হোসেন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন বিএনপির নেতা কামরুজ্জামান, মো. রাজা মিয়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হলেন আবু নাঈম।

কে.ডি.কে ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৯৪ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬হাজার ৬৯২ জন এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৯০২ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাইরুল বাশার শিপলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন বিএনপির নেতা মো. তানভির হোসেন রাজীব।

বাঁকা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৪৫ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭হাজার ৫৮৪ জন,নারী ভোটার ৭হাজার ৫৬১ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের প্রধান। জাতীয় পার্টি মো. তরিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাববুদ্দিন মালিতা, মো. আবুল কাশেম মুন্সী, মাওলানা হাফিজুর রহমান, রাজা আহাম্মেদ।

হাসাদহ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৫ হাজার ৮৫৬ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৯০১ জন ,নারী ভোটার ৭ হাজার ৯৫৫ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. সোহরাব বিশ্বাস, মো. ইসরাফিল হুসাইন, মো. সামছুল আলম, মো. বাবুল আকতার টলো, মো. মতিয়ার রহমান। এবং রায়পুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১০ হাজার ২৭৬ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ২৫৭ জন এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ১৯ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন তাহাজ্জদ মিজা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হলেন মো. আব্দুর রশিদ শাহ , সাজ্জাদ বিশ্বাস, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আব্দুল হান্নান।

উথলী, কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজর আহমেদ। আর বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান।

নির্বাচনে ৫৪ টি কেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিকেন্দ্রে ২ জন করে মোট ৫২২ জন পোলিং অফিসার থাকবেন। প্রতিটি ভোট কক্ষে ১টি করে ২৬১ টি ইভিএম মেশিন থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ১ টি করে মোট ১৩০ টি অতিরিক্ত ইভিএম মেশিন থাকবে বলেও জানান  উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজর আহাম্মেদ।

আলমডাঙ্গা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, এই দুটি ইউনিয়নে মোট ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নাগদাহ ইউনিয়নে ৯ জন ও আইলহাঁস ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান। নগদাহ ইউনিয়নে ৯ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, হায়াত আলী (নৌকা প্রতিক), স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল (চশমা প্রতিক) স্বতন্ত্র প্রার্থী দারুস সালাম (মটর সাইকেল প্রতিক), আলমগীর হোসেন (রজনীগন্ধা প্রতিক), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (আনারস প্রতিক ), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক), আওয়ালুজ্জামান (অটো রিক্সা প্রতিক), মিশর আলী (টেলিফোন প্রতিক), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত (টেবিল ফ্যান)

আইলহাঁস  ইউনিয়নে ৩ প্রার্থীর মধ্যে  আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, জাহিদুল ইসলাম বাদল (নৌকা প্রতিক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ বিল্লাল গনি (আনারস প্রতিক) ও মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস (চশমা প্রতিক)। অন্যদিকে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ২৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে অবাক লাগে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ আমার অবাক লাগে যখন বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি। যাদের জন্ম হয়েছে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। যাদের যাত্রা শুরু হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কিছু প্রভু আছে, তারা একই সঙ্গে সুর মিলায় বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। তাদের কাছে প্রশ্ন, জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট, খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচনের সময় গণতন্ত্র কোথায় ছিল? জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার নির্বাচন তো আমরা দেখেছি। আজ যারা বাংলাদেশে টর্চলাইট দিয়ে নির্বাচন খুঁজছেন, তখন তারা কোথায় ছিলেন? অন্ধ ছিলেন? তখন তো তাদের সোচ্চার দেখিনি!

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রক্ত দিয়ে এদেশের গণতন্ত্র এনেছে। আমাদের হাতে গণতন্ত্র সুরক্ষিত না। সুরক্ষিত মিলিটারি ডিক্টেটরদের দোসরদের হাতে? যারা শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নেয়, কৃষকদের গুলি করে হত্যা করে, তারা এখন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী? কিছু বুদ্ধিজীবী আছে, যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করে, তারাও তাদের পক্ষে কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট তো অনেকেরই জন্মদিন। কেউ কি পালন করে? কত বড় অমানুষ হলে জাতি যেদিন শোক দিবস পালন করে সেদিন সে জন্মদিন পালন করে! কতটা অমানবিক হলে শোক দিবসকে জন্মদিন বানিয়ে উৎসব করতে পারে। জিয়ার হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তৈরি করা দল বিএনপি। তারা জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। ভোট নিয়ে প্রহসন করেছে। এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া নির্বিচারে হাজার হাজার সেনা অফিসার হত্যা করেছে। তাদের লাশও গুম করে। নিহতদের পরিবার এখনও লাশ খুঁজে বেড়ায়। কেঁদে ফেরে তাদের স্বজনদের খোঁজে। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যেভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়, সেভাবেই জিয়াকেও খুন করা হয়। তার লাশেরও খবর নাই।

শেখ হাসিনা বলেন, জেনারেল এরশাদ বলে গেছেন জিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি। জিয়ার লাশ খালেদা, তারেক ও কোকো দেখেনি। একটা বাক্স এনে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় সংসদ এলাকায় দাফন করা হয়। বিএনপি নেতারা সেখানে গিয়ে ফুল দেয়। কিন্তু কাকে ফুল দেয়, তারা কি জানে?

তিনি বলেন, মনে হয়েছিল ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতিশোধে নেওয়া হয়েছিল। ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার হবে না, সেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। শুধু তাই নয়, খুনিদের চাকরিও দেওয়া হয়। এই খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে যখন চাকরি পায়, অনেক দেশ কিন্তু নেয়নি তাদের।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে মোশতাক এই হত্যাকাণ্ড করতে পারতো না। ১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে হত্যা করা হয়েছে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায় এবং উত্তরের সহসভাপতি সাদেক খান এমপি প্রমুখ।


আরও খবর



নির্বাচনী ফল সংক্রান্ত মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্র মামলায় এবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জর্জিয়ার আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার শুনানি শুরু হয় ফুলটন কাউন্টি আদালতে।

প্রথম দিনের শুনানিতে ফুলটন কাউন্টি আদালত জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ এ মামলার ১৯ আসামিদের সাক্ষ্য নেয়া শুরু হবে। 

আরও পড়ুন>> সিরিয়ায় বাশারের নতুন আতঙ্ক আল-শাম গোষ্ঠী

যৌথভাবে আসামিদের সাক্ষ্য প্রায় ৪ মাস ধরে চলবে বলে জানায় আদালত। কিভাবে আসামিদের একসঙ্গে সাক্ষ্য নেয়া যায় সে বিষয় নির্ধারণে প্রসিকিউটরকে ১০ দিন সময় দিয়েছে আদালত। এরপর দেড়শ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেয়া হবে।

এ মামলায় ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০২০ সালের নভেম্বরে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্রসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন>> মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন করোনায় আক্রান্ত

এগুলোর মধ্যে ২০২০ সালের নির্বাচনের পরাজয় এড়াতে কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগ এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় কংগ্রেসে অনুমোদনকে ক্ষুণ্ন করতে ভুয়া ভোটারদের হাজির করার অভিযোগ রয়েছে।


আরও খবর



মরক্কোর ভূমিকম্পে বিস্মিত গবেষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মরক্কোর ভূমিকম্প বিস্মিত করেছে গবেষকদের। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষণে উঠে আসে, অস্বাভাবিক এ ভূমিকম্পের কারণ। গবেষকরা জানান, আফ্রিকান ও ইউরোশিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘটিত এ ভূমিকম্পের সময়ে একটি প্লেট কেবলমাত্র আরেকটির ওপরেই ওঠেনি, পাশেও সরে গেছে। গেল ১শ বছরের মধ্যে দেশটিতে কখনোই ৬ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হয়নি। ৮  সেপ্টেম্বর, রাত ১১টা ১১। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কো। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু। 

মার্কিন ভূতত্ব বিষয়ক জরিপ সংস্থা জানায়, মারাকাশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যাটলাস পর্বতমালার ১৬ মাইল গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ১৯০০ সালের পর মরক্কোতে ছয় মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প। এর আগে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প স্বাভাবিক হলেও এতো বড় মাত্রায় ভূমিকম্পে বিস্মিত গবেষকরা। তারা বলছেন, ১৭৫৫ সালের পর এ ধরনের অস্বাভাবিক ভূমিকম্প দেখা যায়নি। 

আরও পড়ুন>> ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত: পুতিন

গবেষকরা জানান, মরক্কোর অবস্থান আফ্রিকান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের খুব কাছে হলেও সরাসরি সীমানার ওপর পড়েনি। সাধারণত বছরে মাত্র ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার গতিতে একসঙ্গে নড়াচড়া করে ওই দুই প্লেট। তাই বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি ছিল না বললেই চলে।

তবে অ্যাটলাস পবর্তমালায় বেশ কিছু ফাটল বা চ্যুতি রয়েছে, যা সক্রিয়। ভূ-অভ্যন্তরে ওইসব ফাটলে চাপ বাড়ায় তা ভূমিকম্প হিসেবে প্রকাশ পায়। ভূমিকম্পে একটি প্লেট আরেকটি ওপরে ওঠে, আবার তা পাশেও সরে যায়। আর এ কারণেই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও ব্যাপক বলে মনে করেন তারা।   

আরও পড়ুন>> লিবিয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নিখোঁজ ৯ হাজার

দেশটির উত্তর অঞ্চল ঝুঁকিতে থাকলেও ভূমিকম্পটি হয় দক্ষিণে। এ কারণেই অবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প হবে না তা এখন আর বলা যাবে না। সাধারণের মানুষের প্রস্তুতির অভাব, বাড়িঘরও ভূমিকম্প সহনীয় নয়। আর রাতে ভূমিকম্প হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।


আরও খবর



বেনাপোলে ৩ কেজি সোনার বারসহ ৩ পাচারকারী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বেনাপোল প্রতিনিধি:

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে দুই কেজি ৯শ ৪০ গ্রাম ৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ সময় একটি এলিয়ন প্রাইভেটকারসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা।

আটকরা হলো- ঝিনাইদহ জেলার কালীগন্জ থানার পিরোজপুর গ্রামের মহিউদ্দীনের ছেলে সাইদুর রহমান মাজেদ (৩৩), যশোর সদরের বাগডাংগা গ্রামের নাসির আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৬) ও যশোরের শার্শা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রেজাউল চৌধুরীর ছেলে মাসুদ চৌধুরী বাবু (৩১)।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের বারোপোতা বাজার এলাকা থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি।

এই বিজিবি কর্মকর্তা আরো জানান, সোনা পাচারের গোপন সংবাদে দৌলতপুর সীমান্তের বারোপোতা বাজার বটতলা এলাকায় বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল অবস্থান নেয়। এ সময় একটি এলিয়ন প্রাইভেটকারে থাকা সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের শরীর তল্লাশি করে বড় বড় চারটি সোনারবার পাওয়া যায়। যার ওজন দুই কেজি ৯শ ৪০ গ্রাম এবং বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এ নিয়ে গত এক বছরে একশ বার কেজি সোনা আটক আটক করেছে ২১ বিজিবি। যার সিজার মূল্য প্রায় একশ ১ কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে আটক তিনজন পাচারকারীর নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দিয়ে সোনার চালানটি যশোরের ট্রেজারি শাখায় জমা করা হবে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে একদিনে দুই যুবকের লাশ, অচেতন অবস্থায় নারী উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো: আফসার খাঁন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শনিবার সকালে একদিনে দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ঘরের দরজা ভেঙ্গে অচেতন অবস্থায় অপর এক নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু একজনের মৃত্যু অভিমানে আত্নহত্যা মনে হলেও অপজনের মৃত্যু রহস্যজনক বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিহত যুবকরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার সড়কপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩০) ও দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বোয়ালদা গ্রামের মৃত ইনতাজ আলীর ছেলে ইয়ানূর হোসেন (২৩)। এছাড়া অচেতন নারীর নাম আমেনা আক্তার (২৫)। তবে তার ঠিকানা জানা যায়নি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোহেল গত ১১ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তাদের পাশের মোল্লাপাড়া এলাকার আনোরুলের মেয়ে অনজুকে বিয়ে করে। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী জীবিকার খোঁজে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। পরে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলার আহম্মদ নগর চৌরাস্তা এলাকার ফারুক হোসেনের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। স্বামী রিকশা চালাতেন ও স্ত্রী স্থানীয় যমুনা স্পিনিং কারখানায় কাজ করে আসছে। স্থানীয় অভিযোগ, কারখানায় কাজের সুযোগে সোহেলের স্ত্রী আনজুর সঙ্গে অন্য একজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জেরে গত রোববার তার স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যায়। মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে সোহেল ভাড়া বাসার পাশে একটি সাজনা গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করে।

এছাড়াও একই দিন সকালে উপজেলার সফিপুর কাঁঠালতলা এলাকার নাসির উদ্দিনের বাসা থেকে ইয়ানুর নামে অপর এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ। ওই ফাঁড়ি পুলিশের এসআই শাহ আলম জানান, ওই ভাড়া বাসার গ্রীলের সঙ্গে গলায় রশি পেছানো ফাসিতে ঝুলন্ত নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে অসুস্থ হয়ে স্থানীয় কারখানায় চাকুরি ছেড়ে দেন ইয়ানুর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মনমরা ও  অস্বাভাবিক আচরন করে। মৃত্যু আধা ঘন্টা আগেও তার চাচার সঙ্গে কথা বলে ইয়ানুর। যেখানে তার লাশ ঝুলে ছিল, সেটাও মনে হচ্ছে সন্দেহজনক। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

অপরদিকে একই দিন সকালে উপজেলার তেলিরচালা এলাকা থেকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় আমেনা নামে এক নারীকে উদ্ধার করে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ। ওই ফাঁড়ি পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, সপ্তাহ খানেক আগে তার স্বামী আতিক হোসেন তাকে তালাক দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এর জেরেই তিনি কিছু খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত সোহেলের লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আর ইয়ানুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে দুটি লাশের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও অচেতন অবস্থায় যে নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।


আরও খবর