
চুয়াডাঙ্গা
জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ ১৬
ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। চুয়াডাঙ্গা
জীবননগর উপজেলার উথলি, কেডিকে, মনোহরপুর, বাঁকা, হাসাদাহ, ও রায়পুর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায়
নাগদাহ ও আইলহাস ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথমবারের
মতো সবাই ইভিএমে ভোট দিচ্ছে ভোটারা। তাই আনন্দ আর উদ্দিপনার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে।
আর এদিকে কোনো ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না হয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর
তৎপর।
নির্বাচন অফিস
সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ১৮টি কেন্দ্রে এবং জীবননগর উপজেলায়
৬ টি ইউনিয়নে ৫৪ টি ভোটকেন্দ্রে ২৬১ টি ভোটকক্ষে সকাল ৮ টায় আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর বিকাল
৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের
ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ছিল প্রতিটা ইউনিয়ন হাটবাজার থেকে শুরু করে সব অলিগলিতে। তবে
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাধা দেয়া ও কর্মীদের ওপর হামলা ভাংচুরের ঘটনা যেন না সেজন্য
প্রশাসন কঠোর তৎপর রয়েছে।
জীবননগর উপজেলা
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭৮৫ জন। চেয়ারম্যান
প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছে ২৫৮জন প্রার্থী।
উথলী ইউনিয়নে
মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৫৩ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৬১৪ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার
৫৩৯ জন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হান্নান,
আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজালুর রহমান ধীরু,
বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, শাখাওয়াত হোসেন, আব্বাস উদ্দিন জোয়াদ্দার, লিমন ফেরদৌস।
মনোহরপুর ইউনিয়নে
মোট ভোটার ১৩ হাজার ৪৬১ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৭৮৩ জন,নারী ভোটার ৬ হাজার
৬৭৮ জন। এ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহরাব হোসেন খান, স্বতন্ত্র
প্রার্থীরা হলেন বিএনপির নেতা কামরুজ্জামান, মো. রাজা মিয়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী
হলেন আবু নাঈম।
কে.ডি.কে ইউনিয়নে
ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৯৪ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬হাজার ৬৯২ জন এবং নারী ভোটার ৬
হাজার ৯০২ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাইরুল বাশার শিপলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী
হলেন বিএনপির নেতা মো. তানভির হোসেন রাজীব।
বাঁকা ইউনিয়নে
মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৪৫ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭হাজার ৫৮৪ জন,নারী ভোটার ৭হাজার
৫৬১ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের প্রধান। জাতীয় পার্টি মো. তরিকুল
ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাববুদ্দিন
মালিতা, মো. আবুল কাশেম মুন্সী, মাওলানা হাফিজুর রহমান, রাজা আহাম্মেদ।
হাসাদহ ইউনিয়নে
মোট ভোটার ১৫ হাজার ৮৫৬ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৯০১ জন ,নারী ভোটার ৭ হাজার
৯৫৫ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো.
সোহরাব বিশ্বাস, মো. ইসরাফিল হুসাইন, মো. সামছুল আলম, মো. বাবুল আকতার টলো, মো. মতিয়ার
রহমান। এবং রায়পুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১০ হাজার ২৭৬ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার
২৫৭ জন এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ১৯ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন তাহাজ্জদ মিজা। স্বতন্ত্র
প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হলেন মো. আব্দুর রশিদ শাহ , সাজ্জাদ বিশ্বাস, মো.
সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আব্দুল হান্নান।
উথলী, কেডিকে
ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জীবননগর
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজর আহমেদ। আর বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
রিটার্ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.
কামরুল হাসান।
নির্বাচনে ৫৪
টি কেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন
করবেন। প্রতিকেন্দ্রে ২ জন করে মোট ৫২২ জন পোলিং অফিসার থাকবেন। প্রতিটি ভোট কক্ষে
১টি করে ২৬১ টি ইভিএম মেশিন থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ১ টি করে মোট ১৩০ টি অতিরিক্ত
ইভিএম মেশিন থাকবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাচন
কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজর আহাম্মেদ।
আলমডাঙ্গা নির্বাচন
অফিস সুত্রে জানা যায়, এই দুটি ইউনিয়নে মোট ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন। এর মধ্যে নাগদাহ ইউনিয়নে ৯ জন ও আইলহাঁস ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান। নগদাহ ইউনিয়নে
৯ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, হায়াত আলী (নৌকা প্রতিক), স্বতন্ত্র
প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল (চশমা প্রতিক) স্বতন্ত্র প্রার্থী দারুস সালাম (মটর সাইকেল
প্রতিক), আলমগীর হোসেন (রজনীগন্ধা প্রতিক), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (আনারস প্রতিক ),
মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক), আওয়ালুজ্জামান (অটো রিক্সা প্রতিক), মিশর আলী
(টেলিফোন প্রতিক), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত (টেবিল ফ্যান)
আইলহাঁস ইউনিয়নে ৩ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, জাহিদুল ইসলাম বাদল
(নৌকা প্রতিক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ বিল্লাল গনি (আনারস প্রতিক) ও মিনাজ উদ্দিন
বিশ্বাস (চশমা প্রতিক)। অন্যদিকে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ২৩ জন
ও সাধারণ সদস্য পদে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।