আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমান্তবর্তী দুটি পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ৩৩ গ্রাম ওজনের ২০টি স্বর্ণের বার ও ৪ কেজি ৯৮৫ গ্রাম রুপা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ একজনকে আটক করেছে বিজিবি। রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মাসুদ পারভেজ রানা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায় এক রিক্সাভ্যান চালক তার ভ্যানে জীবননগর উপজেলার শহর হতে অবৈধ স্বর্ণ বহন করে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। এরপর বিজিবি ব্যাটালিয়নের নতুনপাড়া বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল অবস্থান নেয়। সে সময় ওই ব্যক্তি জীবননগর অতিক্রম করে সীমান্তের দিকে যেতে থাকলে তার পিছু নেওয়া হয়। তারপর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তাকে জীবননগর বিজিবি ফাঁড়ির কাছে আটক করে তল্লাশীর পর ভ্যানে বসার জায়গায় লুকিয়ে রাখা উল্লেখিত ওই স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। 

এ সময় স্বর্ণের বার ও রিক্সাভ্যানসহ জীবননগর উপজেলার সদরপাড়ার মরহুম মকছেদ মন্ডলের ছেলে ভ্যান চালক শাহাবুল মিয়াকে (৩৫)আটক করা হয়। উদ্ধার করা স্বর্ণের মূল্য ১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার ২৯২ টাকা। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করে চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি কার্যালয়ে জমা দিয়ে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা করা হয়েছে।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান রোববার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ভারতে রুপা পাচার হবে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে সুলতানপুর বিওপির টহলদলের কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মান্নানসহ একদল বিজিবি সদস্য এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সীমান্ত খুঁটির ৭৮/৬-আর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঝাঁঝাঁডাঙ্গা গ্রামের মাঝপাড়া পুরাতন মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় এক ব্যক্তি লাল রঙের একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে দর্শনার দিকে যেতে থাকে।

সশস্ত্র বিজিবি টহলদল ওই চালকের গতিরোধ করলে চালক মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেলটিতে তল্লশী চালিয়ে ৪টি পলিথিনের ব্যাগ হতে উল্লেখিত রুপা ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।উদ্ধার করা রূপাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি কার্যালয়ে জমা দিয়ে হাবিলদার আব্দুল মান্নান দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে : স্পিকার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমাজে নারীদের সম্মান, সমঅধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় সকলকে আন্তরিক হতে হবে।  অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

রাজধানীর আমরাই ঢাকা হোটেল এ জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দ্য রোল অফ উইমেন ইন বাংলাদেশে: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপর্চুনিটিস ইন পাবলিক লাইফ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওরাকল বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা, ইউনিলিভারের সিনিয়র ক্যাটাগরি হেড ফারজানা ফেরদৌস, নিজেরা করি ফাউন্ডেশনের কোঅর্ডিনেটর খুশী কবির ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শাহীন আনাম।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নারীকে সম্মুখ সারিতে স্থান দিতে হবে। নারী দৈনন্দিন জীবনের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই সম্মুখে অগ্রসর হবে। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে গণমাধ্যমও যুক্ত হবে: পিটার হাস

স্পিকার আরও বলেন, জাতীয় সংসদে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ৩৩ ভাগে উন্নীত করতে সরকার সচেষ্ট আছে। সংসদে বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসন রয়েছে। মহিলারা সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য হতে পারেন, যা এই সংসদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। ১৯৭২ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংরক্ষিত মহিলা আসন অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।

স্পিকার বলেন, কর্মজীবী নারীদের কর্মপরিবেশ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করছে। উন্নয়নের মূল স্রোতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীকে সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে সরকার।

এসময় স্পিকার নারী উন্নয়ন বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এ বৈঠকে সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও ফাউন্ডেশনের শীর্ষস্থানীয় নারী প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথি, দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে। খেলাধুলার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি অর্জন করতে পারে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিব নিজে খেলাধুলা করতেন। তার পুত্র শেখ কামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের পেশাদার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য জাতির পিতা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পথ অনুসরণ করে আমরাও পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি আয়োজিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

আরও পড়ুন>> আজ শপথ নিবেন নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক, প্রগতিশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক, মননশীল, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, কর্মনিষ্ঠ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শিগগিরই একটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক ও মননগত বিকাশের মাধ্যমে সংবেদনশীল, যুক্তিনির্ভর ও পরোপকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেজন্য স্কাউটিং এবং গার্লস গাইডকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রীড়াকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ক্রীড়া নিয়ে উচ্চ শিক্ষার দ্বারও আমরা অবারিত রেখেছি। বিদ্যমান কিছু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করেছি এবং নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের মৎস্য খাতে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী জাপান

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় উৎসব জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। আশা করি, ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলো প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


আরও খবর



শুল্কমুক্ত কোটায় ভারতে যাচ্ছে চার হাজার টন ইলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

শারদীয় দূর্গাৎসবকে সামনে রেখে সরকার প্রতিশ্রুত প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশের প্রথম চালানে ১২টি ট্রাকে ৪৫ টন সুস্বাদু রুপালি ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানির অপেক্ষায় সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে। শুল্কমুক্ত কোটায় রফতানি করা হবে ইলিশের চালান। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির অনুমতি না পাওয়ায় চালান ছাড় হয়নি। আজই হবে ছাড়।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের কার্গো সুপার কলিম উল্লাহ ও বেনাপোল সিএডএফ এজেন্ট এম ই ইন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আলমঙ্গীর হোসেন জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি অনুমোদন পত্র আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চিঠি মারফত জানা যায় দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের অনূকুলে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করা হয়। পাবনার সেভেন স্টার ও প্যাসিফিকসহ দেশের বিভিন্ন মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের সংগ্রহে রাখা ইলিশ বেনাপোলে পাঠায়। বৃহস্পতিবার বেনাপোলে রপ্তানি সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্রের কাযর্ক্রম শেষে মাছ ভারতে  রপ্তানি করা হবে। পর্যায়ক্রমে যাবে ইলিশের চালান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন জানান প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এস আই ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। অনুমোতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।

ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের আবেদন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে দেশের ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ হাজার ৯শ ৫০ মেঃ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা মৎস কর্মকর্তা।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে আবেদন করে। এতে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানায় ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছালে যাচাই বাছাই করে প্রায় ৪ হাজার টনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যেই ঢাকাসহ ১৩ জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক বুলেটিনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন>> আফগানদের উড়িয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়- খুলনা, বরিশাল. পটুয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া এবং পাবনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর পুন. ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর
ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ফখরুল-রিজভীসহ ৮ নেতার বিচার শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আট নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হলো।

রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ অভিযোগ গঠন করেন। এরমধ্যে দিয়ে এই মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। 

আরও পড়ুন>> ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল বন্ধ

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।

এর আগে মির্জা ফখরুলসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষ তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। 

আরও পড়ুন>> ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে দুটি 'স্মার্ট হাইওয়ে'

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানাধীন মিন্টু রোডে মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ২০০/২৫০ নেতাকর্মী লাঠসোটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এসময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি চালক মো. আয়নাল।

তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।


আরও খবর