চুয়াডাঙ্গা জীবনগরের দেহাটি গ্রামে মতিয়ার
রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক
করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে দেহাটী গ্রামের নিজ বাড়িতে
শোবার ঘরে এই ঘটনা ঘটে। কুপ্রস্তাব দেওয়ায় নিজের বাবাকে খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন
মেয়ে।
নিহত মতিয়ার রহমান জীবনগর উপজেলা কেডিকে
ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের হঠাৎপাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে। তিনি দেহাটী বাজারে ও আশপাশের
গ্রামে ভাঙ্গাড়ি কেনাবেচা করতেন। তিনি দেহাটী মাঠপাড়ায় স্ত্রী মেয়ে ময়না খাতুন ও দুই
নাতনিকে নিয়ে বসবাস করতেন।
বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে মেয়ে ময়না
বলেন, আমার আব্বা আমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় আমি তাকে ঘুমের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলা কেটে
পরে তার গোপন অঙ্গ কেটে হত্যা করি।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডেও ইউপি
সদস্য মজিবার রহমান জানান, এই ঘটনায় মা ও মেয়ে মিলে মতিয়ার রহমানকে গলা কেটে হত্যা
করেছে। জানামতে, মতিয়ার রহমান খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। এই হত্যার পিছনে অন্য কোনো ঘটনা
আছে কিনা তা পুলিশ তদন্ত করলে বের হবে।
চুয়াডাঙ্গা জীবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ও মেয়ে ময়নাকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে জীবনগর থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মেয়ে হত্যাকাণ্ডের করা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের
জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন
রয়েছে।