চুয়াডাঙ্গায় তাসলিমা (২৫) নামে নারীর এক সঙ্গে চারটি যমজ বাচ্চা প্রসব করেছেন। তাদের মধ্যে একজন ছেলে। বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ভাবে এই যমজ চারটি বাচ্চা হয়। ওই চারজনের মধ্যে ছেলে শিশুটি মারা গেছেন। বাকি তিনজনরে মধ্যে দুজন সুস্থ আছেন ও অপরজন শারীরিক ভাবে দুর্বল অবস্থায় আছে। মা তাসলিমা খাতুন সুস্থ আছেন বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চারটি যমজ নবজাতকের মা তাসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা রাজাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী। গত দুইমাস আগে নবজাতকের মা ও বাবা জানতে পারে যে তাদের যমজ চারটি সন্তান হবে। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাসলিমার স্ত্রীর ব্যাথা উঠলে দ্রুত সময়ের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় স্বাভাবিক ভাবে ডেলিভারিতে এক সঙ্গে তিনটি মেয়ে ও একটি ছেলে ভূমিষ্ঠ করা হয়। জন্মের কিছুক্ষণ পর নবজাতক ছেলে সন্তানটি মারা যায়। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন সফল ভাবে নরমাল ডেলিভারি করেন।
নবজাতক মায়ের স্বজনরা জানান, তাসলিমা খাতুন খুব স্বাভাবিক ভাবে চারটি যমজ সন্তান নরমাল ডেরিভারি মাধ্যমে প্রসব করেছেন। তবে একটি ছেলে সন্তান মারা গিয়েছে। বাকি তিনটি নবজাতক সন্তান নিয়ে পরেছে বিপাকে। তাসলিমা খাতুনের স্বামী ইমরান হোসেন একজন ভ্যান চালক। তাদের প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকমে চলে সংসার। নবজাতকের সন্তান লালন পালনের জন্য দুশ্চিন্তায় পরেছে ভূমিষ্ঠ হওয়া ওই চার সন্তানের মা ও বাবা। ইতিমধ্যে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চিকিৎসার খরচ জুগিয়েছেন। সরকারি ভাবে কোনো সেবা বা সহযোগিতা পেলে তাদের বাচ্চা লালন পালন করতে সুবিধা হবে বলে জানা যায়।
নবজাতকের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, আজ সকালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে চারটি সন্তান প্রসব হয়। এর মধ্যে একটি ছেলে সন্তান মারা গিয়েছে। আর তিনটি মেয়ে সন্তান আছে। নবজাতকের মা আপাতত সুস্থ আছে। এই তিনটি সন্তান লালন পালন করতে অনেক খরচ হবে। আমাদের অর্থনেতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই সরকারের কাছে আবেদন করছি যাতে এই তিনটি সন্তান লালন পালনে সহযোগিতা পাই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, সকালে এক নারীর চারটি যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। চারটি যমজ বাচ্চার মা তাসলিমা খাতুন সুস্থ আছেন। সদর হাসপাতাল থেকে যা যা করা দরাকার তা করা হচ্ছে। চারটি নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে সন্তান মারা গিয়েছে। তিনটি মেয়ে সন্তানের মধ্যে একটি শারিরীক ভাবে একটু দুর্বল। অপর দুটি বাচ্চা সুস্থ আছে।