আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চুয়েটের সাথে বিটাকের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) যন্ত্রকৌশল অনুষদের সাথে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার (বিটাক) এর টুলস অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (টিটিআই) একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

  সমঝোতা স্মারকে চুয়েট যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং বিটাকের  পরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মো. জালাল উদ্দিন স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বিটাক পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব) উপস্থিত ছিলেন।

 চুক্তিতে সাক্ষী হিসেবে চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ এবং বিটাকের টিটিআই অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিটাকের অতিরিক্ত পরিচালক পবিত্র কুমার কবিরাজ স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছর চুয়েটের যন্ত্রকৌশল অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ ও বিটাকের টিটিআই প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D), ইনোভেশন ও প্রযুক্তি বিনিময়, শিল্প সমস্যা সমাধানে যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ, উৎপাদন কার্যক্রমে প্রযুক্তির প্রয়োগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন, শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট প্রভৃতি সুবিধা লাভ করবে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়েট উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, সহকারী সমন্বয় (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন ও এস্টেট) মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার পর ২২০ কোটি টাকা তুলে নিল এস আলম

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবগুলোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।

জানা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এস আলম। এর মধ্যে সংকটে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের বংশাল, চট্টগ্রামের একটি শাখা ও গুলশান শাখা থেকে তোলা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। বাকি অর্থ তোলা হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে।

কোন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে কোনো কোম্পানির হিসাব স্থগিত না রাখতে বলা হয়েছে। এ জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে এস আলম। তবে এস আলমের ব্যক্তিগত নামে হিসাব না থাকায় টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা জন্য তোলা হচ্ছে তা ধরা যাচ্ছে না। এ জন্য বংশাল ও গুলশান শাখা থেকে সন্দেহভাজন কোনো অর্থ বিতরণে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এস আলমের ব্যাংক হিসাব থেকে কিছু টাকা তোলা হয়েছে। ওই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। কারণ কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও ব্যবসা বন্ধ করতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়নি। এটা স্থগিত করা ঠিকও হবে না। তবে এসব হিসাব থেকে কোনো অর্থ বের করে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।


আরও খবর



২১ বছর পর ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ব্যালন ডিঅর বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার। প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। প্রতিবারের মতো এবারও ব্যালন ডিঅরের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল। অথচ সেখানে নেই দুই ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম! ব্যাপারটা ফুটবল প্রেমীদের কাছে অবাক করার মতোই। গত ১৬ বছরের মধ্যে যে ১৩ বারই পুরস্কারটি গেছে এই দুজনের দখলে! সেখানেই নেই এই দুই মহাতারকার নাম।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল- এর পুরস্কার ব্যালন ডিঅরের ২০২৪ এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ব্যালন ডিঅরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদোর কেউই।

মেসি ব্যালন ডিঅর জিতেছেন রেকর্ড আটবার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার রোনালদো। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার এ দুজনের হাতে ওঠেনি ব্যালন ডিঅর। ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচ ও ২০২২ সালে করিম বেনজেমা জিতেছিলেন এ পুরস্কার। ২০২০ সালে কোভিডের কারণে পুরস্কারটি দেয়া হয়নি। সেই সময় হয়তো ফুরিয়েছে। মেসি ও রোনালদোকে ছাড়াই নতুন ফুটবল বিশ্বের পদযাত্রা শুরু হলো এবারের সংক্ষিপ্ত তালিকার মধ্য দিয়ে। এ বছর নতুন কারো হাতে উঠবে সোনালী গোলকটি।

রোনালদো ও মেসি ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাঠ চুকিয়েছেন আগেই। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের হয়ে গত মৌসুমটা ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য দারুণ কাটে রোনালদোর। সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে তিনি গোল করেন ৩৫টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

এদিকে, আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জিতলেও, ব্যক্তিগতভাবে আসরে ভালো করতে পারেননি ফুটবল মহাতারকা মেসি। ফাইনালে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে এখনও মাঠের বাইরে আছেন তিনি। ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনি খুব একটা খারাপ করেননি। তবে ব্যালন ডিঅরের লড়াইয়ে জায়গা পাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।

ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডিঅর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডিঅর দেয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। তবে এই বছর থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সঙ্গে একীভূত হয়ে ব্যালন ডিঅর দেয়ার ঘোষণা দেয় তারা। তাদের সঙ্গে চুক্তির ফলে নিজেদের দেয়া বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার বাতিল করে দেয় উয়েফা।

ব্যালন ডিঅরের জন্য ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হাল্যান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (অ্যাথুলেটিক বিলবাও), গ্রানিত জাকা (বায়ার লেভারকুজেন), আর্তেম দোভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি ওলমো (লাইপজিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ (বায়ার লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগার্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনহা (পিএসজি), কোল পালমার (চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান কালহানোগলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), অ্যাডেমোলা লুকম্যান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ), আলেক্স গ্রিমাল্দো (বায়ারলেভারকুজেন)।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানভীর আহমেদকে ঢাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লাকে ফরিদপুর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পিকেএম এনামুল কবিরকে সিলেট, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরিদুর রহমানকে হবিগঞ্জ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব মুফিদুল আলমকে ময়মনসিংহ জেলার ডিসি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান শেরপুর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারহানা ইসলাম কুষ্টিয়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল ঝিনাইদহ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মো. অহিদুল ইসলাম মাগুরা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল রংপুরের ডিসি হয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদকে গাইবান্ধা, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে নওগাঁ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামকে পাবনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসনা আফরোজাকে বগুড়া, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানকে জয়পুরহাট, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে কক্সবাজারের ডিসি করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব ফরিদা খানম চট্টগ্রাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব ইশতিয়াক আহমেদ নোয়াখালী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন চাঁদপুর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমা আরেফীন গাজীপুর, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আমিরুল কায়সার কুমিল্লা, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন মৌলভীবাজার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খুলনা এবং ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জের ডিসি হয়েছেন।

এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়।

এর মধ্যে প্রথম প্রজ্ঞাপনে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়েছে।

দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট ও চাঁদপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়। ডিসি পদ থেকে এসব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন দপ্তরে উপ-সচিব পদে বদলি করা হয়।


আরও খবর



এস আলমের লাখ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংকে জমা ২৬ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছয়টি ব্যাংকে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার নগদ জমা থাকার সন্ধান পেয়েছে এনবিআর। এর বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই গ্রুপ সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে ঋণের অর্থে সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবার সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৬ হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে। এর মধ্যে ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাবে এখন নগদ জমা (স্থিতি) আছে ১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এই অর্থ এখন কেউ যাতে তুলে নিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য হিসাব জব্দের আদেশ দিতে যাচ্ছে কর বিভাগ।

এছাড়া এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামেও কয়েক শকোটি টাকা আছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের নামে তাদের মালিকানা ছয়টি ব্যাংকে বর্তমানে মাত্র ৪ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা জমা আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫এর একটি তদন্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান মেলে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখন এই সম্পূর্ণ অর্থ কর বিভাগের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই কর অঞ্চল-১৫ এস আলম পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব করে, যা সাধারণত কর ফাঁকি রোধের লক্ষ্যে করা হয়।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে শুধু এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের হিসাবেই জমা হয়েছে ৮৩,৭০৬ কোটি টাকা। তদন্তে আরও জানা যায়, গত পাঁচ বছরে ছয়টি ব্যাংকের এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন হিসাবে জমা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগই ঋণের টাকা।

এস আলম গ্রুপের বিপুল অঙ্কের টাকা যে ছয়টি ব্যাংকে পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আলআরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ও আলআরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকি চারটি সরাসরি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ছিল।

আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এনবিআর এস আলমসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব তলব করে। এর মধ্যে ওই ছয়টি ব্যাংক থেকে পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকগুলোতে জমা আছে (স্থিতি) ২৫ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। বাকি ব্যাংকের তথ্য যাচাইবাছাই চলমান। রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরীর মতে, বিগত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। এস আলম গ্রুপ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডগুলোর অনৈতিক চক্র এই লুটপাটে সহায়তা করেছে।


আরও খবর



নতুন স্বাধীনতা পেয়ে সব ব্যাথা ভুলে গেছি : গুলিবৃদ্ধ আবু সাঈদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললেও এরপর শুরু হয় তাণ্ডব লীলা। চলে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ গুলি ছুড়লে আবু সাঈদের ডান পায়ে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে সড়কে পরে যায় সাঈদ। পরে আন্দোলনকারীরা তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জুলফিকার আলী ও বিলকিস বানু দম্পতির একমাত্র ছেলে আবু সাঈদ। হাসপাতালে ছাত্রলীগের ভয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দেয় চিকিৎসক। তীব্র ব্যাথা আর অচল পা নিয়ে বাড়িতে ফিরেন আবু সাঈদ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানেও কোন কারণ ছাড়াই দেয়া হয় রিলিজ। বর্তমানে তীব্র ব্যাথা ও পায়ে ভর দিতে পারছে না সাঈদ ৷ পায়ে গুলি থেকে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে তার পরিবার। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান তাদের।

আবু সাঈদের সহপাঠীরা বলেন, গুলি লাগার পরে দিনাজপুরে চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো সাঈদ পা ফেলতে পারতেছে না। তার পায়ে অনেকগুলো ছিটা গুলি আছে। সেগুলো থাকায় হাটতে পারতেছে না। বন্ধুর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

সাঈদের স্বজনরা বলেন, সাঈদ তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। হাটতে না পারলে তার পরিবারের দায়িত্ব কিভাবে নিবে সে। পড়ালেখা করা সাঈদ এখনো হাটাচলা করতে পারছে না। তার ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন যেন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন আবু সাঈদ। বাঁধা দিলেও শোনেননি মায়ের কথা। একমাত্র ছেলের পা স্বাভাবিক না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় তাঁর মা বিলকিস বানুর। তিনি, বলেন, আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমাদের। এখন ডান পায়ের এমন অবস্থায় আমাদের পরিবারের সবাই ভেঙ্গে পড়েছি। ছেলের পা যেন দ্রুত ঠিক হয় সেজন্য সকলের সহযোগিতা চান।

চিকিৎসক আটটি গুলি বের করলেও এখনো অনেক ছিটা গুলি পায়ে রয়েছে। যা প্রতিনিয়তই তাকে পিড়া দিচ্ছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়ালেও নেই কোন আফসোস। পায়ের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতার স্বাদে তৃপ্তি পেয়েছেন আবু সাঈদ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জানান, সকাল থেকে ভালো ভাবেই আন্দোলন চলছিল। দুপুরের পরে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। আমাকে শহরের চৌরাস্তায় কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। পরে আমি পড়ে গেলে আশেপাশের সকলে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক বলে সমস্যা নেই। পরে বাসায় চলে আসি। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলে দিনাজপুরে গিয়ে আটটি ছিটা বুলেট বের করে। এখনো অনেক বুলেট আছে। বুলেট থাকায় পা মাটিতে ফেলতে পারছি না। বাকি বুলেট বের করার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য রংপুর বা ঢাকা যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পায়ের ব্যাথার জন্য যত কষ্ট পাচ্ছি তার থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছি আমার শহীদ ভাইদের জন্য। তারপরেও স্বাধীনতা পেয়েছি সেজন্য অনেক ভালো লাগছে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪