শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা হঠাৎ বেশ ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। যা দিনব্যাপী গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতে রূপ নেবে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এসব কারণে জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এক দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তীব্র শীতের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। জেলার মাঠে মাঠে আলু, বোরো ধান এবং ভুট্টা রয়েছে। অসময়ে বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
অন্যদিকে ভোর থেকে বৃষ্টি থাকায় রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। দু-একজন জরুরি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯২%।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন এ্যানি বলেন, আজ সকাল ৬টা ও ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এছাড়া ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে সকাল ৮টা ১০মিনিটে থেমেছে। এই ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে ১৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল। আজ দুপুর পর্যন্ত আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
এদিকে শীতের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা এমনিতেই কম, তারওপর বৃষ্টির কারণে জবুথবু অবস্থা সবার। এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের। আর শীতের সকালে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে যেন দানব হয়েই হানা দিয়েছে এই বৃষ্টি।
বৃষ্টির মধ্যে শ্রম বিক্রি করতে আসা আব্দুল মজিদ নামের এক দিনমজুর বলেন, আজ আর কাজ পাইনি। কেউ আসেনি। তাই বাড়ি ফিরতে হলো। এমনিতেই শীত, এর মধ্যে আবার বৃষ্টি। কষ্টের আর শেষ নেই।