আজঃ বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গায় তিনদিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্ধোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

কৃষিই সমৃদ্ধি এই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে‌ আজিজ এবং অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে‌ আজিজ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানি মাসুম, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদী মিলি প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, 'চুয়াডাঙ্গা জেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এই জেলায় যে কোন ফসল ও সবজির বাম্পার ফলন হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি নিজে তার বাস ভবনে চাষ করেও দেখিয়ে দিয়েছেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য যতটুকু সম্ভব খাদ্য উৎপাদনে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে আমাদের সবাইকে'।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, 'স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃষি নিয়ে যে স্বপ্ন ছিলো তা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা পূরণ করে চলেছি। সরকার পরিকল্পিত উপায়ে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কৃষিতে বিশেষ ভর্তুকি প্রদান করে চলেছেন। কম জমিতে কিভাবে অধিক ফসল ফলানো যায় সে বিষয়ে কৃষি বিভাগ ভূমিকা রেখে চলেছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত কৃষি নিয়ে কাজ করা। অন্তত নিজের খাওয়ার জন্যে হলেও ফসল ও শাক সবজি চাষ করা। কোনো জায়গা জমি ফেলে রাখা যাবে না'।

আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কৃষি মেলার ২০টি স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে পাট ও উফশী আউশ ধানের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ, ধান বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করেন।


আরও খবর