আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চ্যাটজিপিটির সিইওকে অপসারণের পর তিন গবেষকের পদত্যাগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অ্যাপ চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে পদত্যাগ করেছেন জ্যেষ্ঠ তিন গবেষক। তাঁরা হলেন জ্যাকুব প্যাচোকি, আলেকসান্দার মাদ্রি ও সাইমন সাইডর। অল্টম্যানকে অপসারণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন তাঁরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন গবেষকের মধ্যে জ্যাকুব প্যাচোকি ওপেনএআইয়ের গবেষণাবিষয়ক পরিচালক ছিলেন। আলেকসান্দার মাদ্রি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাইমন সাইডরও সাত বছর ধরে ওপেনএআইয়ের হয়ে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাতে প্রতিষ্ঠানটির আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। বলা হয়, ওপেনএআইয়ে অন্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। পরে ব্রোকম্যান এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, আমি পদত্যাগ করছি।

স্যাম অল্টম্যানের অপসারণের বিষয়ে ওপেনএআই জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডের (পরিচালনা পর্ষদ) সদস্যরা কয়েক দফায় পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে অল্টম্যানের যোগাযোগের ঘাটতি ছিল। এ দায়িত্ব তিনি ঠিকভাবে পালন করেননি। বোর্ড মনে করে, তিনি ওপেনএআইকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষমতা হারিয়েছেন।

এ নিয়ে স্যাম অল্টম্যান এক্সে লিখেছেন, ওপেনএআইয়ের কাটানো সময় দারুণ ছিল। বিশ্বে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়। তেমনি এটা আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা পরিবর্তন। ওপেনএআইয়ে আমি অনেক প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। এটা অনেক ভালো লাগার। আমার পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে পরে জানাব।

এদিকে অন্তর্বর্তী সময়ে স্যাম অল্টম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। তবে স্থায়ী সিইও নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

নিউজ ট্যাগ: চ্যাটজিপিটি

আরও খবর
শিশু শান্তি পুরস্কার পেল ৩ কিশোরী

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

হোয়াটসঅ্যাপ কি নিরাপদ!

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




১৭ দিনে ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৭ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সারাদেশে ১৫৪টি অগ্নি-সংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় দিনে গড়ে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯ টি, ৩০ অক্টোবর ১টি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ডে মোট বাস ৯৪টি, মাইক্রোবাস ৩টি, প্রাইভেটকার ২টি, মোটরসাইকেল ৮টি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ড ভ্যান ৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি, পিকআপ ২টি, সিএনজি ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ১টি, ফায়ার সার্ভিস এর পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি,  বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি পুড়ে যায়। এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়া দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি। দেশের সকল বিভাগে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে সিলেট বিভাগে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায়নি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

আরও পড়ুন>> রাজধানীতে র‍্যাবের ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে ককটেল উদ্ধার

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে ৮টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, বগুড়া ৫টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক দিনের বেলা থেকে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আরও দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রমে সারাদেশে ৫ জন (ফায়ার সার্ভিসের ২ জন ও সাধারণ ৩ জন) আহত উদ্ধার করা হয়। নিহতের ঘটনা ঘটেনি। আহত ৫ জনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একজন অফিসার ও ড্রাইভার আহত রয়েছেন। ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুরে অগ্নি নির্বাপণ করার সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক তারা মারধরের শিকার হন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।


আরও খবর
বৃষ্টিতেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




যানজটে স্থবির গুলিস্তান, ট্রাফিক পুলিশ ‘নিরুপায়’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি-জমাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যত ভেঙে পড়েছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। তবু এ এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন এগোতে পারছে না। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা। এমন পরিস্থিতিতে এ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বলছেন, তাঁরা নিরুপায়। তাঁদের কিছুই করার নেই।

গত শনিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ ফরম বিক্রি করা হচ্ছে। ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ হবে আজ মঙ্গলবার।

ফরম সংগ্রহ-জমাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকেই শত শত নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় কার্যালয়ে আসছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ আসছেন মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে, কেউ আসছেন পিকআপ ভ্যানের বহর নিয়ে গান-বাদ্য বাজিয়ে। আবার কেউবা শত শত নেতা-কর্মীর মিছিল নিয়ে আসছেন। এ কারণে গত শনিবার থেকে গুলিস্তান এলাকার সড়কে ভয়াবহ যানজট লেগে থাকছে।


আজ দুপুরের দিকে জিরো পয়েন্ট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ হরতাল-অবরোধ নেই। কাল বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ আছে। এ কারণে আজ সড়কে যানবাহনের চাপ এমনিতেই বেশি। এর মধ্যে শত শত নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন, আসছেন। সব মিলিয়ে এ এলাকায় যানজট পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমরা নিরুপায়। আমাদের কিছুই করার নেই।

একই মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ দুপুর ১২টা থেকে চানখারপুল মোড় এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, হাজী সেলিম বিশাল বহন নিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে যাবেন। তাই সড়কে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আজ দুপুরের দিকে জিরো পয়েন্টে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় শত শত যানবাহন। গুলিস্তান থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা রুটে চলাচলকারী প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন নামের একটি বাসের চালকের সহকারী মো. মিজান বলেন, এক ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন তাঁরা। হরতাল-অবরোধ থাকলে তাঁরা গাড়ি চালান না। আজ হরতাল-অবরোধ কিছুই নেই। তাই সড়কে নেমেছেন। সড়কে নেমে যানজটে পড়ে দিনই শেষ।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশের সড়কে ঘণ্টাখানেক ধরে যানজটে অনেক যানবাহনকে আটকে থাকতে দেখা যায়। এদিকে যানজটে আটকা পড়া রাজধানীর খিলগাঁও থেকে গুলিস্তান হয়ে মোহাম্মদপুরের দিকে চলাচলকারী মিডলাইন পরিবহন নামের বাসের চালক আবদুল আলিম বলেন, গত শনিবার থেকে গুলিস্তান এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। গুলিস্তান এলাকায় যানজটে আটকা পড়ে অনেক বাসচালককে আসনে বসেই ঘুমিয়ে যেতে দেখা যায়।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ-জমার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লোকসমাগম না করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নির্দেশনা কেউ মানছেন না।


আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, ঢাকা-২ আসনের জন্য কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ মনোনয়ন ফরম জমা দিতে এসেছেন। তিনি শত শত মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যানে করে লোকজন নিয়ে এসেছেন।

একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম গতকাল সোমবার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ঢাকা-১৪ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আজ শত শত লোক নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী।

জিরো পয়েন্টের যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে এক যাত্রী হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। ফার্মগেটে যাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, পুরান ঢাকার আদালতপাড়া থেকে দুই ঘণ্টায় গুলিস্তানে এসেছেন। এখন নিরুপায় হয়ে হাঁটা দিয়েছেন।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




একাদশ জাতীয় সংসদের সফল মন্ত্রী যারা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্যের রূপকার হলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার সময়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর খুব বেশ দেরি নেই। যে কোনো দিন ঘোষণা হতে পারে তপশিল। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনকালীন সরকারে শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তারা পরবর্তী মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য দিন গুনতে থাকবেন। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার যেসব সদস্যের আমলনামা ভালো, তাদের কেউ কেউ হয়তো পরবর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। তাই গত প্রায় পাঁচ বছরে কোন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেমন চালিয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য রয়েছে সরকারপ্রধানের কাছেও।

সরকারে উচ্চপর্যায়ের এক সূত্রমতে, ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও অন্তত এক ডজন মন্ত্রী গত পাঁচ বছরে সুনাম কুড়িয়েছেন। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েও সুবিচার করতে না পারায় অনেকে হয়েছেন সমালোচিত। সফল ও ব্যর্থ এসব মন্ত্রীদের আমলনামা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনা মহামারির মতো অভিঘাত সত্ত্বেও বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষ ও সরকারের উচ্চমহলের সুনজর কেড়েছেন।

প্রায় ১৫ বছর সরকারপ্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একটানা দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে যখনই নতুন সরকার গঠন করেছেন, তখন তিনি তার সহযাত্রীদের পরিবর্তন করেছেন। তবে সরকার গঠনের পর বিশেষ বড় ধরনের কারণ ছাড়া মন্ত্রিসভা থেকে কাউকে বাদ দেননি। যদিও মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিত, কাজের ধীর গতি ও এডিপি বাস্তবায়নে আশানুরূপ ফল অর্জন করতে না পারা মন্ত্রীর সংখ্যা কম নয়।

জানা গেছে, সব্যসাচীর ন্যায় দল ও মন্ত্রণালয় চালিয়ে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা আন্দোলন করবে জানা সত্ত্বেও তা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের মতো দেশের প্রাচীন সংগঠনের তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। আন্দোলন মোকাবিলায় সারা দেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপিসহ মাঠের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে কোণঠাসা করার মূল কারিগরও তিনি। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনেই সম্পন্ন হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প, যা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী এক দিনে একশ সড়ক এবং দেড়শ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। মহামারির সময় যখন সবাই ভীতসন্ত্রস্ততখনো মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে গেছেন তিনি।

অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক রাজনীতিতে যেমন সরব তেমনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রাখা নীতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এতে দেশে কৃষি উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিতে প্রণোদনার দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র সংশোধন ও আগামী নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রী হচ্ছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। জাতীয় যে কোনো সংকট মোকাবিলা করেছেন বিচক্ষণতার সঙ্গে। তিনি প্রথম দফায় দেড় বছর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করায় পরবর্তী সময়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদেও তাকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদালাপী এই মন্ত্রী জঙ্গি দমনসহ সীমান্তে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার কারণে এখন পর্যন্ত তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে রয়েছেন। প্রচারবিমুখ এই মন্ত্রীর দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে রয়েছেন।

সরকারের অন্যতম মুখপাত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রাজনীতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কড়া জবাব যেমন দিয়েছেন, তেমনি মন্ত্রণালয় সামলাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। মন্ত্রণালয়ের নাম পাল্টে তিনি পুরোনো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে নিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যমের উৎকর্ষ সাধনে রেখেছেন ভূমিকা। করোনাকালে গুজব প্রতিরোধ করেছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সম্মেলন ছাড়াও দলের সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিদেশি টিভি চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা, কেবল নেটওয়ার্কের পূর্ণ ডিজিটালে রূপায়ণ, টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক করার মাধ্যমে অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং অবৈধ ডিশ টিভির দৌরাত্ম্য বন্ধ করেছেন তিনি। সম্প্রচার আইন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়নের কাজ চলমান হলেও উদ্যোগটি বেশ প্রশংসনীয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্যের রূপকার হলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তার সময়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়।

নদী তীর দখলমুক্ত করা মাধ্যমে আলোচনায় আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথে নৌযান চলাচলের উপযোগী করার কাজও এগিয়ে নিয়েছেন অনেকটা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ, সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, সমুদ্র বন্দরগুলোর আধুনিকায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শাহরিয়ার আলম। সফল এই ব্যবসায়ী কূটনীতিতেও বেশ পারদর্শী। বিশেষ করেবিভিন্ন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে কাজ করে চলেছেন তিনি। যখনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অতিকথনের কারণে সমালোচিত হয়েছেন, তখন নেপথ্যে থেকে শাহরিয়ার আলম সরকারের কূটনীতি সামলেছেন। গুছিয়ে কথা বলার কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে তিনি বেশ সমাদৃত। সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর ইস্যুতে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট সংযমী।

সুরক্ষা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টিকা নিবন্ধন এবং গ্রহণ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার পুরো কৃতিত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারের ১৭ হাজার ৮০০-এর অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা ৩৮৫টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিককে সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখেরও বেশি সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্যেও তিনি প্রশংসিত।

বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে নদীভাঙন এক-তৃতীয়াংশ কমে এসেছে।

নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকে একটি মহলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নোট-গাইড ও কোচিং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় সুশীল সমাজ, শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

সৌজন্যে: কালবেলা


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য সাদেকা হালিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং বর্তমানে বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী চার বছরের জন্য তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য ইমদাদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ক্যানসারে আক্রান্ত অধ্যাপক ইমদাদুল হক সম্প্রতি মারা গেছেন।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম তথ্য কমিশনের প্রথম নারী কমিশনার ছিলেন। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০এর প্রণয়ন কমিটিরও সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক এই ডিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৮ সালে। তিনি কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। তাঁর বাবা অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।


আরও খবর
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ফিলিপাইনে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় যাত্রীবাহী একটি বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পাহাড়ি গিরিখাদে পড়ে গেলে এসব লোক প্রাণ হারায়।

বুধবার কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির। নিহতদের মধ্যে একজন কেনিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।

প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান রডারিক ট্রেন বলেন, বাসটি মঙ্গলবার বিকালে অ্যান্টিক প্রদেশের হ্যামটিক পৌরসভায় যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ট্রেন বলেন, দুর্ঘটনায় সাতজন মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহতদের মধ্যেও একজন কেনিয়ার নাগরিক রয়েছে। রাস্তাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। অবশিষ্ট দুই কেনিয়ার নাগরিকের অবস্থা জানা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি পাহাড়ি রাস্তা হওয়ায় বাসটি অনেক উঁচু থেকে গিরিখাদে পড়ে। এ কারণে অনেকে হতাহত হয়েছে।

গভর্নর রোডোরা কাদিয়াও বলেছেন, যাত্রীদের বেশির ভাগই অ্যান্টিক প্রদেশের বাসিন্দা। গিরিখাদটি প্রায় ৩০ মিটার গভীর ছিল।


আরও খবর
গাজায় ইসরায়েলের মন্ত্রীর ছেলে নিহত

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩