আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চায় ইউনেসকো কমিশন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইউনেসকোর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও মিথ্যাচার করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন।

বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের এমন অবস্থানের কথা জানানো হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রি অব পিস প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এ বিবৃতিতে সই করেছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবপেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো কর্তৃক ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

ইউনূস সেন্টার প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেসকো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেসকো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এ সম্মাননা দেওয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেখানে ইউনেসকোর কোনো অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্বই ছিল না। অধিকন্তু ইউনূস সেন্টারের দাবি করা সম্মাননা ইউনেসকোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়। ড. ইউনূসকে ট্রি অব পিস’ নামক একটি ভাস্কর্য স্মারক/সম্মাননা প্রদান করেন ইসরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিস হেদভা সের। হেদভা নিজে নিশ্চিত করেছেন যে, ড. ইউনূসকে ট্রি অব পিস’ প্রদানে ইউনেসকোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

নিজামি গজনবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিস হেদভা সের ড. ইউনুসকে এটি প্রদান করেন। মিস হেদভা সের ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক কূটনীতিবিষয়ক গুইউইল অ্যাম্বাসেডর। কিন্তু ইউনেসকোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি নন এবং ইউনেসকোর কোনো পুরস্কার/সম্মাননা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সুতরাং উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টারের পাঠানো এবং প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করে তার নিন্দা জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইউনেসকোর অন্যতম সক্রিয় সদস্যরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ইউনেসকোর মতো জাতিসংঘের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং সুখ্যাতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহারের বিষয়ে ড. ইউনূস এবং ইউনুস সেন্টারকে সতর্ক করা হলো। একই সঙ্গে বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে।

বিবৃতিতে একেবারে নিচের অংশে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালত ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। ড. ইউনুস এবং তার সহযোগীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, যেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া আয়কর আইন লঙ্ঘনের জন্য তার ব্যক্তিগত আয়কর দাবি আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং তিনি যতদিন আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণ না হন ততোদিন তাকে কোনো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বা সম্মাননা প্রদান সমীচীন নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে ইউনেসকোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, কেউ যেন ইউনেসকোর নামের অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগ না করতে পারে—সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেসকোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেসকো ঢাকা অফিস এবং ইউনেসকোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেসকো সদরদপ্তরকে অবহিত করা হবে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে সোনার ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বাজারে। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারেও। বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ভরিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

১ আউন্স = ২৮.৩৫ গ্রাম। আর ১ ভরি = ১১.৬৬ গ্রাম। সে হিসাবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক ভরি খাঁটি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে বর্তমানে দেশে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি চলে গেছে। কারণ মানুষ অস্থির পরিস্থিতিতে স্বর্ণে বিনিয়োগকেও অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন।

সোনার ফিউচার ট্রেডিংয়ের (আগাম ক্রয়বিক্রয় চুক্তি) জন্য সবচেয়ে চাঙা বাজার ছিল গত বছরের জুনে। গতকাল সোমবার সেই বাজার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি ২ হাজার ৩৮৩ ডলার হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকবে।

মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গতকাল (১৫ এপ্রিল) একটি নোটে লিখেছে, সাম্প্রতিক সোনার বাজারের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। এই বাজার রেকর্ড ইক্যুইটি সূচক স্তরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলে ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যতিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বেশির ভাগ হামলাই ঠেকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছে।

বাজার পর্যবেক্ষকেরা ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিশোধ প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখছে। ইসরায়েল সরকার শনিবারের পর থেকেই ইরানকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে ওয়াশিংটন সমর্থন করবে না।

এরপরও ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে চাইলে এই সংঘাত উপসাগরীয় অঞ্চলও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ সোনার বেচাকেনা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম, আরও শক্তিশালী হবে মার্কিন ডলার। আর্থিক পরিষেবা সংস্থা কনোটক্সিয়া ফিনটেকের বাজার বিশ্লেষক বার্তোসজ সাউইকি এমনটিই মনে করছেন।

স্বর্ণ সব সময় মূল্যস্ফীতির বিপরীতে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাজারে উচ্চমূল্য ধরে রাখে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীরা যখন ইক্যুইটি বা শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে চলেন তখন স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।

গত শুক্রবার বুলিয়নের (খাঁটি সোনা) দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৪৪৮ দশমিক ৮০ ডলারে পৌঁছায়।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নানা নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

স্বর্ণের দাম সাধারণত সুদের হারের সঙ্গে বিপরীত সম্পর্ক রাখে। সুদের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের মতো স্থায়ী মুনাফার সম্পদের তুলনায় সোনা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও সোনায় বিনিয়োগ থেকে তুলনামূলক কম মুনাফা আসে।

গত মার্চে ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যস্ফীতি কমে গেছে। এরপরও বিশ্লেষকেরা, স্বর্ণের বাজারে ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা দেখছেন। সরাসরি স্বর্ণ কেনার চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটিকে বেছে নিচ্ছে মানুষ।

সিটির উত্তর আমেরিকার পণ্য গবেষণার প্রধান আকাশ দোশির নেতৃত্বে বিশ্লেষক দল বলছে, আগামী ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার হবে বলে আমাদের ধারণা। পাশাপাশি স্বর্ণের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যও প্রায় ১ হাজার ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

গত শুক্রবার, গোল্ডম্যান স্যাস সোনার বাজারকে একটি অপ্রতিরোধ্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার হিসেবে উল্লেখ করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মূল্যবান ধাতুর দাম প্রতি আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।


আরও খবর



এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদফতরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।


আরও খবর



ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। তার আরেকটি পরিচয় তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই ভীতু প্রকৃতির মেয়ে তিনি। বলা যায়, বাবা-মাকে একটু বেশিই ভয় পেতেন অনন্যা। তবে একবার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।

ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডাকার বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনন্যা।

অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিং রুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন তিনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না।

আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম— আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব?

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিং রুমে বসে আমার প্রেমিকের সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। যেহেতু লিভিং রুমে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাই বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন।

পরবর্তীতে বাবা আমাকে বলেছিলেন— তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম আমি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি তারা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে প্রকাশ না করলেও নানান জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিদেশেও একসঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রেমিকযুগল।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারের তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪ সালের বার্ষিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস। এতে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে উঠে এসেছে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানের নাম।

এ তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

জ্বালানি, বন্দর, ফাইবার অপটিকস এবং রিয়েল এস্টেটের নানা ব্যবসা করে সামিট গ্রুপ। আজিজ খান বাস করেন সিঙ্গাপুরে। দেশটির শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আছে তার নাম।

ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আজিজ খানের কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। বর্তমানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আজিজ খানের মেয়ে আয়েশা। বাংলাদেশেও এই কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত হওয়ায় এর সম্পদের হিসেব-নিকেশ সেখানেই হয়।

তিন সন্তানের বাবা মুহাম্মদ আজিজ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। সেনা কর্মকর্তার ছেলে পড়াশুনার পর আবাসন খাতের ব্যবসা শুরু করেন। ট্রেডিং ফার্ম হিসেবে সামিটের যাত্রা শুরু হলেও পরে আবাসনে মনোযোগ দেয় কোম্পানিটি।

ফোর্বস বলছে, আজিজ খান ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ঢুকে যান। ওই বছর তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি মার্কিন ডলার। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল তার সম্পদ কমে ৮৫ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। ২০২০ সালে আবারও তার সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ৯৫ কোটি ছাড়িয়ে যায়।

এর পরের দুই বছরে তার সম্পদ আরও বেড়ে যায়। ২০২১ সালে মুহাম্মদ আজিজ খানের সম্পদ বেড়ে ৯৯ কোটি ডলার হয়। আর তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে সামিট পাওয়ারের এই চেয়ারম্যান প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরের বিলিয়ন ডলারের ধনীর ক্লাবে ঢুকে যান।


আরও খবর