নোবেলজয়ী অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রমিকদের পাওনা মুনাফার অর্থ না দিয়ে মানিলন্ডারিং করে টাকা সরিয়ে
নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ এনে শ্রম আদালতে ১৮ শ্রমিক তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আজ
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার শ্রম আদালতে এ মামলা করা হয়।
এই মামলায় সমন জারি করেছেন আদালত। পরে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন। আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এ মামলায় সমনের জবাব দিতে হবে ড. ইউনূসকে। এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের আরেক মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন>> ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই : পররাষ্ট্র সচিব
শ্রম আইন লঙ্ঘনের
অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা
ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি।
এ ছাড়া কোম্পানির
লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।