তীব্র তাপের
ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ দাবনলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশে চিলির মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকায়
সৃষ্ট দাবানলে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ অস্থায় জরুরি অবস্থা
ঘোষণা জারি করেছে দেশটির সরকার।
গত শুক্রবার
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বুধবার দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়। এ ছাড়াও ২৯ হাজার হেক্টর বন ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট
গ্যারিয়েল বোরিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য তার ছুটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন। বর্তমানে এসব এলাকার ১৭৮টি স্পটে আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিস্থিতি
সামাল দিতে সবরকমের সহযোগিতা করে যাব। যাতে করে আমার দেশের মানুষ একাকীত্ব অনুভব না
করেন।’
তবে এই আগুন
লাগার বিষয়ে তিনি এটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ ঘটাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
সরকার নুবল
ও বায়োবিও এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেও দাবানলে মৌল ও লা আরাউকানিয়া এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। এ বিষয়ে চিলির কৃষিমন্ত্রী এস্তেবান ভ্যালেনজুয়েলা বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে নিয়োজিত একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দুই ক্রুর মৃত্যু হয়েছে।
ভ্যালেনজুয়েলা
আরও বলেন, ‘লা আরেউকানিয়া এলাকায় এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এক পাইলট ও এক মেকানিক
প্রাণ হারানোয় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তারা দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিল।’
দাবানলের ঘটনায়
নিহত চার বেসামরিক নাগরিকের সঙ্গে সর্বশেষ মারা যাওয়া এ দুইজনের নাম যুক্ত হলো। এর
আগে, দাবানলে আরেক দমকলকর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
দেশটির অভ্যন্তরীণ
মন্ত্রী ক্যারলিনা তহা জানান, এসময় কয়েকশত বাড়ি-ঘর ভস্মীভূত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৩৯
এলাকায় আগুন লেগে যায়। এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে আরও প্রায় ২০ লাখ মানুষ। স্থানীয়দের দ্রুত
নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে প্রশাসন। এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে অনেকেই। এ
সময় তীব্র আগুনের কারণে হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে অঞ্চলটিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েনের
পরিকল্পনা করছে চিলি সরকার। সামনের দিনগুলোকেও তিনি খুব ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী জানান,
এরই মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্রাজিল ও আরজেন্টিনা থেকে ৬৩টি সাহায্যকারী বিমান আনার
কাজও শুরু করেছে।