আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দাম কমেছে পেঁয়াজের

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ক্রেতা সংকটে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। একদিন আগেও যে পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা আজ (সোমবার) কমে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমতে শুরু করায় বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার মেহেদুল ইসলাম বলেন, পূজার বন্ধের পর বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুর পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে যে পেঁয়াজ ২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে তা দাম বেড়ে যাওয়ায় ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায় বিক্রি হয়। এ কারণে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামের যেসব মোকামে পাঠাতাম তারা কেনা বন্ধ করে দেয়। একান্তই যাদের প্রয়োজন তারা এক-দুই ট্রাক করে পেঁয়াজ কিনেছে। বর্তমানে দাম কমতির দিকে রয়েছে। এতে করে মোকামগুলো থেকে ফের খোঁজ নিচ্ছে। অনেকে পেঁয়অজ পাঠাতে বলছেন।

বন্দরের ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা মেটাতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু অঞ্চলে বন্যার কারণে বেলোরি জাতের পেঁয়াজ বাজারে তেমনভাবে আসেনি। এতে করে ভারতের বাজারেই সরবরাহ কমের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি রয়েছে।

এছাড়া ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। এতে ট্রাক কম আসছে। এছাড়া ট্রাক প্রতি অনলাইন ফি পণ্যের দামের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ভারতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আসার কারণে দেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মোকামের চাহিদা কমেছে। চাহিদা কমার কারণে লোকসান এড়াতে স্বল্পলাভেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে কম দামেও তা বিক্রি করে দিচ্ছেন।

বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। শনিবার বন্দর দিয়ে যেখানে ৩৩ ট্রাকে ৯১৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল, সেখানে রবিবার ২৭টি ট্রাকে ৭৮৯ টন পেঁয়াজ এসেছে।

 

 


আরও খবর



শেকলে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ: গ্রেফতার চারজন রিমান্ডে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বেঁধে রেখে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রেমিক সানসহ চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত সবার নাম যেন অভিযোগপত্রে আসে তা নিশ্চিত করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।

রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর ফারুকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষের শুনানি করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আসামি সান ঘটনার বিষয়ে কিছু জানে না। আসামির সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে না করার কারণে এই মামলা সৃষ্টি হয়েছে। এরপর সান আদালতের উদ্দেশে বলেন, আমি কিছুই জানি না। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বিচারক বলেন, যত বড় ব্যক্তি হোক না কেন, সংশ্লিষ্টদের সবার নাম যেন অভিযোগপত্রে আসে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকে আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বেঁধে রেখে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে গত ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এর আগে তরুণীর চিৎকার শুনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি কল করলে পুলিশ ওই তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ওই তরুণী মামলা করেন।

নিউজ ট্যাগ: আদালত ধর্ষণ

আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আসিফ ইকবাল (১৯), সুইট (৩১) ও তাজুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে আসিফ দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে, সুইট সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে ও তাজুল ইসলাম তাজুল লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা সাতটি ভলভো বাসে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

আজ সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

তিনি বলেন, ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত ৭টি ভলভো বাসে আগুন লেগেছে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিক পাড়ায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ দিন খালিদ।

তিনি জানান, ডেমরার কোনাপাড়ার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভলভো বাসে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে ডেমরা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পরে সিদ্দিকবাজার থেকে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘অপহরণের’ ভিডিও পোস্ট, তোপের মুখে ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অপহরণের ভিডিও পোস্ট করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন ডেমোক্রেট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান ট্রাম্প। একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে জো বাইডেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে আছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

প্রায় সাত সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পিকআপের পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের একটি ছবি প্রিন্ট করে লাগানো হয়েছে।  অর্থাৎ তাকে অপহরণ করা হয়েছে- এমনটাই বোঝানো হয়েছে ছবিতে। যদিও ছবিটি পুরোপুরি ড্ক্টরেট (সম্পাদিত)। পতাকা ও ডেকাল সম্বলিত দুটি ট্রাক ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে যেখানে দ্বিতীয় ট্রাকের পেছনে ছিল বাইডেনের ছবি।

এ ঘটনায় ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা ট্রাম্পকে দানব বলেও আখ্যা দিয়েছেন।  ভিডিওটি শেয়ার করে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপশন লিখেছেন, ৩/২৮/২৪, লং আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক।

ভিডিও পোস্ট করা মাত্রই বাইডেনের সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। বাইডেনের প্রচারণার যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক মাইকেল টেইলর বলেন, শুক্রবার রাতে ট্রাম্পের পোস্ট করা ছবিটি তার বিরোধীদের শারীরিকভাবে ক্ষতির করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রতিনিয়তই রাজনৈতিক সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন। এখন সময় এসেছে যেন মানুষ তাকে বয়কট করার।

এদিকে, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে বলেন, ছবিটি একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে ছিল, পিকআপটি হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শুধু ঘৃণ্য সহিংসতার ডাকই দেয়নি, তারা আসলে তার বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ভিডিওতে বাইডেনের ছবির উপস্থিতি নিছকই কাকতালীয় ঘটনা তা মনে হচ্ছে না। কারণ ভিডিওর শেষের দিকে বাইডেনের সম্পাদিত ছবিটি জুম করে দেখানো হয়েছে।

এদিকে ছবিটি নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হাভার্ডের আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স ট্রাইব এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, দানব এটা পোস্ট করেছে। ট্রাকের পেছনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাত-পা বাঁধা একটি ছবি। তিনি (ট্রাম্প) প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিচ্ছেন। এটি একটি অপরাধ। অন্য কেউ এটা করলে, তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। এখন কী করা হবে?

ওবামা প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমান সিএনএন জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জুলিয়েট কায়েম লিখেছেন, ট্রাম্প সবকিছু ফেলে সহিংসতাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন।


আরও খবর