মিষ্টি আলু সাদা, বেগুনি,
খয়েরি, কমলা ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। তবে বেগুনি ও সাদাই বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায়। খাবারে
স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এই সবজির একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
সাধারণত কোনও পাঁচমিশালি
তরকারি বা কোনও মিষ্টি ডিশে এই সবজি ব্যবহার করা হয়। খেতে যেহেতু মিষ্টি হয়, ফলে অনেকেই
এটি এড়িয়ে যান। ডায়াবেটিস রোগীরাও এই সবজি এড়িয়েই যান। এই সবজিই কিন্তু ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর করে।
এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার থাকে। যা হজমে সাহায্য় করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এই সবজি খেলে
পেট অনেক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ওবেসিটি কমায়। হজমে সমস্যার
জন্য অনেকেরই মলত্যাগে সমস্যা হয়। এটি ডায়েটে রাখলে সেই সমস্যাও দূর হতে পারে।
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন
A, B, C, D, E ও K থাকে। যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে আমাদের শরীরে কাজ করে। একাধিক সমস্যা
দূর করে ও শরীর সুস্থ রাখে। এই আলুতে ক্যারটেনয়ডস নামের একটি উপাদান থাকে যা কোষের
ক্ষয় রোধ করে। এই সবজিতে ভিটামিন E ও C থাকে। যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ত্বককে YV রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে ব়্যাশ, ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকে
না।
বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুর
উপরে করা একটি গবেষণা বলছে, এতে অ্যান্থোক্যায়ানিন থাকে যা ব্লাডার ক্যানসার, ব্রেস্ট
ক্যানসার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার রোধ করে। এই উপাদান যে কোনও ক্যানসারের কোষ মেরে ফেলে
এবং ক্যানসারের ফলে কোষ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমায়।
মিষ্টি আলুতে যেহেতু ফাইবার থাকে, তাই এটি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অনেকেই ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি আলু এড়িয়ে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা উচিৎ নয়। অল্প পরিমাণ মিষ্টি আলু দিনে একবার খাওয়া যেতেই পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়া আশঙ্কা থাকে। ফাইবার উপাদানটি সেই থেকেও মুক্তি দেয়।