আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ আগারওয়ালা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে সেখান থেকে আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যা মামলায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থানায় মো. শাহাদাত হোসেন খান বাদী হয়ে দিলীপ কুমারের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গত ২৩ আগস্ট রুজু করা হয়েছে। মামলায় দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার ২০ নং আসামি তিনি।

সিআইডির পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শো-রুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরো প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করতেন। এ ছাড়া দুবাই ও সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আরও খবর



বিসিবির কাছে জেলা ক্রিকেটারদের ১৭ দফা দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজির হয়েছিলেন দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বোর্ডের নতুন নেতৃত্বের কাছে তাদের ১৭ দফা দাবি পেশ করা। এসব দাবি মূলত তারা জেলা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য করছেন।

সম্প্রতি বিসিবির সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক হিসেবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারসহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে একাডেমি ভবনের সামনে ৬৪ জেলার এই ক্রিকেটাররা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, ঢাকার প্রথম শ্রেণির লিগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং প্রত্যেক জেলার ক্রিকেটারদের জন্য আধুনিক অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। পাঠকের সুবিধার জন্য তাদের মূল দাবির কয়েকটি দেওয়া হলো।

১. জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট লিগের জন্য স্থায়ী বাজেট বরাদ্দ করতে হবে এবং খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে করে ক্রিকেটারদের আর্থিক সমস্যা কমবে এবং তাদের পারফরম্যান্সের মান বৃদ্ধি পাবে।

২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম শ্রেণির, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতিন সংস্করণের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সব ফরম্যাটে খেলার সুযোগ তৈরি করা হবে এবং তাদের পারফরম্যান্স উন্নত হবে।

৩. প্রতিটি বিভাগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ঢাকার বাইরেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে দেশের অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

৪. প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মাঠ, নেট প্র্যাকটিস এবং কোচিং সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি।

৫. কোয়াব স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে হবে, যেন এটি খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।

৬. ঢাকার প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই খেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য টিভি সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় আরও ম্যাচ প্রচার করতে হবে, যাতে দর্শকদের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

৮. ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

৯. সব জেলায় ক্রিকেট একাডেমি তৈরি করতে হবে এবং সেখানকার ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে, যাতে তাদের দক্ষতা আরও উন্নত হয়।

১০. জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য উন্নত ম্যাচ ফি নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ফি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করতে হবে, যেন তারা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে।

১১. প্রত্যেক বিভাগে স্থায়ীভাবে অনুশীলনের সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সেই সঙ্গে কোচদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তরুণ ক্রিকেটাররা পেশাদার স্তরে পৌঁছাতে পারবে।

১২. ঢাকায় ক্রিকেট একাডেমির পাশাপাশি জেলাতেও অনুশীলন ও কোচিং সুবিধা উন্নত করতে হবে।

১৩. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেসব টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দিতে হবে।

১৪. জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক টুর্নামেন্টে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াবে এবং তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।

১৫. বিসিবির রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সব ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের দক্ষতা ও কার্যক্রম মূল্যায়ন করা যায়।

১৬. বিপিএল এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

১৭. সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় স্থানীয় ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে, যাতে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো আরও উন্নত হয়।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেটাররা জানান তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি, অনেক দিন ধরেই অনিয়ম হয়ে আসছে। যদি বিসিবি আশাবাদ ব্যক্ত করে, তাহলে আমরা আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব পুনর্গঠনের দাবি জানান তারা, আমরা চাই কোয়াবকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হোক। এই কোয়াব আসলে ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই জানে না। আমাদের সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি। আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলো কোয়াবকে জানিয়ে এসেছি, তারা কোনো উদ্যোগ নিত না। আমরা ৬৪ জেলার যারা এসেছি, সবার একই দাবি, কোয়াব পুনর্গঠন করা হোক।

বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, যিনি নিজেও একজন বরেণ্য কোচ ও ক্রিকেট সংগঠক, ক্রিকেটারদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করে তাদের দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ফাহিমের আশ্বাসে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা আশাবাদী যে, তাদের দাবি পূরণ হলে দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটবে এবং জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বিসিবি

আরও খবর



৪০ বছর পর অনন্য নজির গড়লেন প্রিন্স হিসাহিতো

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনোর পুত্র প্রিন্স হিসাহিতো শুক্রবার ১৮ বছরে পা দিয়েছেন। আর এর মধ্যদিয়েই অনন্য এক নজির গড়ে ফেললেন জাপানি রাজপরিবারের তরুণ এই সদস্য। এদিনই জাপানের রাজকীয় পরিবারের একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য হিসেবে নাম লিখিয়েছেন প্রিন্স হিসাহিতো।

জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পর তিনিই দেশটির রাজপরিবারের প্রথম পুরুষ সদস্য, যিনি প্রাপ্তবয়স্ক হলেন।

প্রিন্স হিসাহিতো জাপানের সম্রাট নারুহিতোর ভাতিজা এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর তালিকায় থাকা তার বাবা ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনোর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো ১৯৮৫ সালে প্রাপ্তবয়স্ক হন।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে প্রিন্স হিসাহিতো বলেন, আমি প্রতিটি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নতুন কিছু শেখার এবং বিভিন্ন দিক থেকে নিজেকে বিকশিত করার আশা করি।

তিনি এ সময় তার বাবা-মা এবং দুই বোন মাকো কোমুরো এবং প্রিন্সেস কাকোকে ধন্যবাদও জানান। উল্লেখ্য যে, প্রিন্স হিসাহিতোর বড় বোন মাকো কোমুরো বিবাহের পর রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে গেছেন।

প্রিন্স হিসাহিতো বর্তমানে টোকিওর ওতসুকায় অবস্থিত তসুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র হাই স্কুলে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে বলেন, আমি আমার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাকি সময়কে মূল্যায়ন করতে চাই এবং ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে চাই।

জাপানের রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুসারে হিসাহিতোর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেও, তার পড়াশোনা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য অনুষ্ঠানটি ২০২৫ সালের বসন্তে বা তার পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

হিসাহিতো বর্তমানে জাপানের ১৭ সদস্যবিশিষ্ট রাজপরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। যার মধ্যে পুরুষ সদস্য মাত্র চারজন। তবে রাজপরিবারে তার অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জাপানের রাজপরিবারের শুধু পুরুষদের সিংহাসনে বসার অনুমতি রয়েছে। অন্যদিকে নারীরা সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তাদের রাজকীয় মর্যাদা হারাতে হয়।

১৯৪৭ সালের রাজকীয় আইন অনুযায়ী, শুধু পুরুষ সদস্যরাই সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হতে পারেন এবং নারী সদস্যদের সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে বিবাহ হলে তাদের রাজকীয় মর্যাদা ত্যাগ করতে হয়।

প্রিন্স হিসাহিতো এবং ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো ছাড়াও জাপানের রাজপরিবারের আরও একজন উত্তরাধিকারী রয়েছেন। তিনি হলেন ৮৮ বছর বয়সি প্রিন্স হিতাচি, যিনি সম্রাট নারুহিতোর নিঃসন্তান চাচা হন।


আরও খবর



হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই স‌ঙ্গে তাদের হিসাবের সব তথ‌্য চেয়েছে সংস্থা‌টি।

রোববার (১১ আগস্ট) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএফআইইউর পক্ষ থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠা‌নো চি‌ঠিতে বলা হয়েছে হাসান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা ও মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ধরনের টাকা তোলা বন্ধ থাকবে।

সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি নবম জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৬ আসন এবং দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

তিন এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কাজের পরিবেশ থাকতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাংবাদিকরা যেন নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, বাংলাদেশে তেমন পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হলে সংবাদকর্মীদের জন্য পক্ষপাতহীন আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তত দুজন সাংবাদিকের গ্রেপ্তার ও আসামি হওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ আগস্ট) এ আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শত শত মামলায় এখন পর্যন্ত অর্ধ লক্ষাধিক ব্যক্তি আসামি হয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী, বিচারপতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তর, প্রশাসন, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, খেলোয়াড়, শিল্পী ও আওয়ামী লীগের সব স্তরে নেতাকর্মীরা এখন আসামি হচ্ছেন। বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে তাদের অধিকার যেন প্রতিপালন হয়, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ভাষ্য জানতে চাইলে একজন মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেন, সাবেক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ সবার জন্য নিরপেক্ষ বিচারের নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা ন্যায় ও পক্ষপাতহীন আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।

তিনি বলেন, বিশেষ করে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হওয়া এড়াতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ বিচারপ্রাপ্তি ও তাদের প্রাপ্য সম্ভাব্য সব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন আওয়ামীপন্থি সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তারা চাকরি হারান এবং গ্রেপ্তার হন।

এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই অর্ধ শতাধিক মামলা হয়েছে। তার দোসর হিসেবে বর্ণনা করে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক দলের নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারদের অনেককে আদালতে তোলা হচ্ছে, রিমান্ডে দেওয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছেন আসামিরা। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলারও খবর রয়েছে।

এসব বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকারে রাখায় আমরা অনুপ্রাণিত।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেক পুলিশ থানায় ফিরেছেন এবং সেনাবাহিনী তাদের সহযোগিতা করছে। আগেই বলেছি, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত। এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, ঐক্য ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা নিয়ে কাজ করছে।

দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বিপুল জনগোষ্ঠী বন্যাকবলিত। যারা বন্যায় প্রিয়জন হারিয়েছেন এবং যাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য গভীর সমবেদন জানিয়ে বন্যার্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন মুখপাত্র।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা এবং বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে ইউএসএআইডি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার সহায়তা দিয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সহায়তাসামগ্রী দিতে ইউএসএআইডি প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর



শহীদ আহনাফের বাসায় তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার মিরপুরের পাইকপাড়ায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজছাত্র আহনাফের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। খুব শিগগিরেই সব শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কাম্য।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের দেশ মনে রাখবে। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। শহিদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি।

তথ্য উপদেষ্টা আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজ-খবর নেন এবং এখন থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বাসায় আহনাফের মা, বাবা, দুই ভাই এবং খালা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শহিদ শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ০৪ আগস্ট তিনি মিরপুর ১০-এ পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়। গুলি তার বুকের ডান দিক দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।


আরও খবর