আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় শরীয়তপুরের পাটনীগাঁও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মে ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জেলা প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটনীগাঁও এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এলাকাবাসীর অভিযোগ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এই এলাকার রাস্তাটি হয়নি। রাস্তাঘাটের জন্য চরম দুঃখ কষ্টে দিনযাপন করছে এলাকাবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাটনীগাঁও এলাকায় প্রায় ছয়শত পরিবারের বসবাস। অধিকাংশ এলাকার মানুষজন অর্ধশিক্ষিত গরীব কৃষক। কিন্তু ছয়শত পরিবারের চলাচলের জন্য বৃক্ষতলা থেকে তেলিবাড়ি পর্যন্ত মাত্র ১.১৭ কিলোমিটার একটি গ্রামীণ রাস্তা। রাস্তাটির নেই কোনো শাখা রাস্তা। গ্রামীণ রাস্তাটি ইটের সোলিং দিয়ে তৈরী হলেও বন্যা, ভারী বর্ষণ ইত্যাদি কারণে বর্তমানে করুণ দশা রাস্তাটির। এ রাস্তা দিয়ে তিনটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ধামসি পাটনীগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাস্তা ভাঙা হওয়ার কারণে পড়ে গিয়ে আহত হয় বলে অধিকাংশ সময় ঝড়ে পড়ে। কষ্ট করে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়লেও গ্রামে কোনো উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে শহরে পড়তে যেতে চায় না ভাঙা রাস্তাটি পায়ে হেটে। যার কারণে পাটুনিগাঁওর শিক্ষার হার ক্রমাগত হ্রাসের দিকে, যা উদ্বেগ জনক। তাছাড়া গ্রামটিতে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও তা অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে বিধায় প্যাগনেন্টসহ ইমার্জেন্সেী রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারে না, ফলে ঘটে দুর্ঘটনা।

পাটনীগাঁও গ্রামের জয় মন্ডল নামে এক যুবক বলেন, ভাই দুঃখের কথা কী বলব, ছোটবেলায় মাত্র অষ্টম পর্যন্ত পড়েছি খুব কষ্টে তারপর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রাস্তাটির কারণে। বর্তমানেও সেই একই চিত্র যখন দেখি তখন খুব কষ্ট হয় গ্রামের ছেলেপিলেদের জন্য। কিছুদিন আগে এক বৌদি মধ্যরাতের দিকে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন কিন্তু রাস্তায় গাড়ি চলাচলের অবস্থা না থাকায় তাকে আমি পাজা কোলে করে বৃক্ষতলা পর্যন্ত নেই, গ্রামের মানুষ অর্ধ শিক্ষিত মুরুখ্খ হওয়ায় এই বিষয়টি নিয়েও তাড়া টিটকারি করতে আমাকে ছাড়েনি। এটাকে কেমন সংকট বলে, বলুন দেখি?

উত্তম কুমার নামে একজন বলেন, রাস্তাটির কারণে আমাদের অঞ্চলের বিভিন্ন রকম সমস্যা হচ্ছে। গ্রামের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষক হওয়ায় তারা রাস্তাটির কারণে ধানসহ ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না, ফরিয়ারা এসে প্রতিমণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম দিয়ে ফসল নিয়ে যায়। এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে থানা পুলিশ আসতে পারে না। এলাকাটির অধিকাংশ পরিবার হিন্দু হওয়ায় এখানে প্রতিবছর নাম কীর্তন হয় কিন্তু দূরের কোনো মেহমান আসতে পারে না।

মধুসূদন মন্ডল নামে এক ষাটোর্ধ্ব মুরুব্বি বলেন, আমি বুড়ো হয়ে গেছি, গ্রামের রাস্তাটি এখনও ঠিক হলো না, আধুনিক যুগে কি আমরা অন্ধকারে পড়ে থাকব? রাস্তাটির কারণে আমরা ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতেও বাধা পাচ্ছি। শ্যাখের বেটির কাছে আমার আবেদন তিনি যেন রাস্তাটি করে দিয়ে আমাদের আলোর মুখ দেখান।

রাস্তাটির বিষয়ে পালং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, রাস্তার কাজটি এলজিডিতে আছে, করোনার কারণে টেন্ডার হচ্ছে না।

এবিষয়ে পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন দেওয়ান বলেন, রাস্তাটি এর আগে রিপেয়ারিং এর টেন্ডার হয়েছিল , তারা কীভাবে কাজ করেছে তা আমি জানি না, আমি কাগজপত্র রেডি করে পাঠালেও কী কারণে যে টেন্ডার হলো না তা বুঝতে পারি নাই, তবে আমি আবার কাগজপত্র রেডি করেছি নতুন করে পাঠানোর জন্য।

রাস্তাটির বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী কে এম রেজাউল করীম বলেন, ভিলেজ রাস্তা রিপেয়ারিং এর অন্তর্ভূক্ত নয় রাস্তাটি, ভিলেজ রিপেয়ারিং এর অন্তর্ভূন্ত না হওয়ায় রাস্তাটি করা সম্ভব হচ্ছে না আমাদের পক্ষে।

কিন্তু কোন উপায়ে রাস্তাটি মেরামত হবে তা জানে না পাটনীগাঁওবাসী, তারা চায় রাস্তাটি হোক, গ্রামে আলো আসুক।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়, শীর্ষে দিল্লি

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৩ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে।

ভারতের দিল্লি বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং শহরের স্কোর ১৮৭, চতুর্থ অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৪ আর ১৬৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এর আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনের ফলে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্র রাজনীতি নতুনভাবে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে, এরই প্রতিবাদে আজকের অবস্থান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪