দীর্ঘ সময়ের পর ঈশ্বরদী থেকে নাটোর লালপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি সংস্কার হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি বেহাল থাকার পরে সড়কটি সংস্কার করায় এলাকাবাসীর একদিকে যেমন চলাচলে বাঁচবে সময় অন্যদিকে কমবে যাতায়াত খরচ। দীর্ঘদিন পরে ঈশ্বরদী থেকে নাটোর লালপুর উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে কাজ চলছে। ঈশ্বরদী রেলস্টেশন থেকে নাটোর লালপুর পর্যন্ত পিচ ঢালাই করা হচ্ছে। এতে করে দুই উপজেলার হাজারো মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি মেরামত না হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সড়কটি সংস্কার হওয়ায় এখন দূর্ভোগ কমবে বলে জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে কথা হয় পুরাতন ঈশ্বরদী এলাকার বাসিন্দা ডা: জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তিনি বলেন, আমাদের সড়কটি ভালো না থাকায় দাশুড়িয়া থেকে বনপাড়া হয়ে রাজশাহী যেতে হয়। এতে করে আমাদের অনেক সময় লাগে। কোন রুগী অসুস্থ হলে দ্রুত রাজশাহী যেতে পারে না, তার আগেই রুগী মারা যায়। বর্তমানে সড়কটি সংস্কার করায় ঈশ্বরদী রেলগেট থেকে বানেশ্বর হয়ে রাজশাহী পৌঁছাতে সময় কম লাগবে এবং খুব দ্রুত সময়ে আমরা রাজশাহী পৌঁছাতে পারবো। সড়কটি সংস্কার করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
কথা হয় একই এলাকার আবু রায়হানের সাথে তিনি জানান, আগে আমাদের সড়কটি ছোট ছিল এখন সড়কটি সম্প্রসারণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো হবে। এখন এই সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার গাড়ীগুলো চলাচল করবে, এতে করে আমাদের এলাকাবাসীর অনেক উপকার হবে।
এ বিষয়ে পাবনা সওজ ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনছুর আহমেদ বলেন, সড়কটি রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে শুরু হয়ে সালতা ও চারঘাট লালপুর হয়ে ঈশ্বরদী সংযুক্ত হয়েছে। এই সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়ক এই সড়কটি প্রথমে ১৮ ফিট ছিল পরবর্তীতে সরকার একটি প্রকল্প পাস করায় বর্তমানে এই সড়কটি ৩৪ ফিটে উন্নিত হচ্ছে। আমাদের শহর অংশে দেড় কি: মি: সড়ক ফোর লাইনে উন্নিত হবে। এই সড়কটিতে অনেক অবৈধ স্থাপনা ছিল সেগুলো ভাঙ্গা হয়েছে। এখন দ্রুত গতিতে কাজ চলছে আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যেই এই সড়কটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো। তিনি আরও বলেন, এই সড়কটি নির্মাণের ফলে এই এলাকার জনগণের আত্ম সামাজিক অবস্থা ও জীবন মানের অনেক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আমরা আশা করছি।