হিমেল হাওয়া
ও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া,
শ্রমজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন।
বেলা গড়িয়ে
গেলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় মিলছে না সূর্যের দেখা। ফলে বেড়েছে ঠান্ডার মাত্রা। তবে
আরও দুদিন সূর্য উদিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
তিনি জানান,
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক
৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও
দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় ও সূর্যের দেখা না মেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত
হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের
হয়ে শীতের কষ্টে ভুগছেন।
জেলা সদরের
ঘোগাদহের ভ্যানচালক আজিজুল হক বলেন, ভ্যানে উঠে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হওয়ার উপক্রম। শিরশির
বাতাস কাপড় ভেদ করে শরীরে লাগছে। এতে শরীর কাঁপুনি দিচ্ছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন না
করলে খাবো কি?
পাঁচগাছী ইউনিয়নের
মাছ বিক্রেতা সুরেন্দ্র বলেন, মাছ বিক্রি করতে সাইকেল চালিয়ে কুড়িগ্রাম শহরে যাচ্ছি।
কিন্তু কনকনে ঠান্ডায় পানি নাড়তে খুবই কষ্ট হয়। ঠান্ডায় দুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছি।
হলোখানার মাস্টারহাট
এলাকার দিনমজুর কাচু মিয়া বলেন, চরমাধবরাম এলাকায় ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করতেছি। চরে ঠান্ডায়
কাজ করতে খুবই অসুবিধে হচ্ছে। আমরা সূর্যের তাপের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বেলা গড়িয়ে
দুপুর হলে এখনো সূর্য উঠেনি।
আবহাওয়া কর্মকর্তা
সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে ঠান্ডা
বেশী অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামীকাল ও পরশু দিনও সূর্য উঠার সম্ভাবনা নেই। এ মাসে আরও
একটি শৈত্য প্রবাহ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।