আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ঢাকায় স্থানান্তর না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীকে যেন ঢাকায় স্থানান্তর করা না হয়। রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ঢাকার তুলনায় অন্যান্য জেলায় ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা ঢাকার বাইরে সব জায়গায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সারা দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আইভি ফ্লুইড সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

আহমাদুল কবির বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এ সময়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি কোথাও স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, কিছু ক্লিনিক ও হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। রোগীদের হাসপাতালে রাখছে এবং আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ, সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।

ডা. আহমেদুল আরও বলেন, রোগীদের জিম্মি করে কোনো অসাধু চক্রকে লাভবান হতে দেওয়া হবে না। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা দেশপ্রেমিক নয়।

তিনি বলেন, আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মজুত থাকলেও সংকট দেখা দেয়। কেউ আর্টিফিশিয়াল কোনো সংকট যেন তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বিদেশ থেকে তিন লাখ স্যালাইন আমদানি করছি।


আরও খবর



মহেশপুরে মাটির নীচে মিলল কয়েক’শ বছরের পুরোনো নৌকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে মাটির নীচ থেকে একটি কয়েকশ বছরের পুরোনো নৌকার সন্ধান মিলেছে। নৌকাটি দেখার জন্য এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

নৌকাটি মাটির চার ফুট নীচ থেকে খনন করে পাওয়া গেছে। বিশাল আকৃতির এই নৌকা নিয়ে প্রতিদিন কৌতূহল মানুষের ভিড় বাড়ছে মহেশপুর উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের বজরাপুর গ্রামে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বজরাপুর গ্রামের নজের আলীর ছেলে মনছের আলী তিনদিন আগে বজরাপুর বাঁওড় থেকে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য সেচখাল খনন করছিলেন। খাল খুড়তে খুড়তে তার কোদালের মাথায় নৌকার কিছু অংশ উঠে আসে। এ খবর প্রচার হয়ে পড়লে গ্রামের মানুষ সমষ্টিগত ভাবে নৌকার সন্ধানে খনন করতে থাকে। তিনদিন ধরে খননের পর বুধবার পুরো নৌকার আকৃতি খুঁজে পায়।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পূর্ণিমা রানী জানান, নৌকার প্রতিশব্দ হচ্ছে বজরা। এই গ্রামের নামও বজরাপুর। হয়তো কোন একসময় এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। সেই নাম অনুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে বজরাপুর

তিনি আরো জানান, খবর শুনে তিনিও বজরাপুর বাঁওড় এলাকার হালদার পাড়ায় গিয়ে বৃহৎ নৌকাটি দেখে এসেছেন। তিনি এটি সংরক্ষণের দাবি করেন।

খননকাজে যুক্ত বজরাপুর গ্রামের ইসমাইল মল্লিক জানান, নৌকাটি লম্বায় প্রায় একশ ফুট লম্বা ও চওড়া ২০ ফুট হবে। নৌকার বেশির ভাগ অংশ বাওড়ের মধ্যে ঢুকে আছে। নৌকাটি শাল কাঠ দিয়ে তৈরি হবে হয়তো।

বজরাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, গ্রামের কৃষক মনছের আলী জমিতে পাওয়া নৌকাটি বহুকালের পুরানো। কাঠগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লম্বা কাঠগুলো কিছুটা ভালো আছে। মাটির চার ফুট নিচে এই নৌকাটি পাওয়া গেছে। তিনি জানান নৌকাটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। তবে এখনো প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেননি।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বজরা অধিক ওজন বহন করার উপযোগী বড় ধরনের নৌকার সাধারণ নাম। খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় এবং স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এই ধরনের নৌকা ব্যবহার করত নৌবহরের জন্য। এ নৌকার দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে থাকত ঘুমানো বা বিশ্রামের কক্ষ। ঘরবাড়ির মতো এসব কক্ষে থাকত জানালা। সাধারণভাবে যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকত ১০ থেকে ১২ জন। এর ভেতরে মাঝি থাকত চারজন। রান্না ও অন্যান্য কাজের জন্য চাকর থাকত দুজন।

গ্রামবাসী পূজা রানীর ভাষ্যমতে বজরাপুর গ্রাম একটি প্রাচীন জনপদ। এই গ্রামটি কপোতাক্ষ নদের সংযোগস্থলে গড়ে ওঠে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ জমিদার ও আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল। ফলে এই নৌকাটি বজরাপুর গ্রামের নামকরণ ও গ্রামের মানুষের জীবন যাপনের সাক্ষ্য বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পূজা রানী নৌকাটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে গবেষণা কাজে লাগানো যায় কিনা সেই দাবি রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাস জানান, পুরানো নৌকা পাওয়ার বিষয়টি তিনি প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরকে জানাবেন, যাতে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।


আরও খবর



বেলাবতে এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিন্ধদ্বী সকল প্রার্থীরা এক মঞ্চে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

শনিবার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার সমাজসেবী সংগঠন লাল সবুজ চেতনা সংসদের উদ্যোগে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ও পুরুষ পদপ্রার্থীদের এক মঞ্চে আনা এনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

শনিবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাল সবুজ চেতনা সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনী ইশতেহার ও এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের একসাথে দেখতে বেলাব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত হয়।

নারায়নপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের ফরিদা বেগম মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে ভোটারদের সামনে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচন পূর্ব প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচন পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার ইশতেহার ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান পদ ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ইশতেহার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন,কাপ পিরিচ পদে বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী শরিফ উদ্দীন খান মোমেন, ঘোড়া প্রতীকে ভাস্কর অলি মাহমুদ, আনারস প্রতীকে আমান উল্লাহ আমান, চিংড়ি মাছ প্রতীকে মাজহারুল হক, টেলিফোন প্রতীকে জোনাইদ হোসেন পারভেজ।

ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বই প্রতীকে ইসলাম উদ্দিন, টিয়া পাখি প্রতীকে সাইফুল ইসলাম, টিউবওয়েল প্রতীকে মো: খোর্শেদ আলম, তালা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে শারমিন আক্তার খালেদা, সেলাই মেশিন প্রতীকে রহিমা বেগম ময়ুরী, হাঁস প্রতীকে নাজমুন্নাহার আমিনা।

প্রার্থীরা শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ও স্মার্ট উপজেলা গড়তে সকলে ঐক্যমত পোষন করেন এবং তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের পাতায় উঠে আসে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল, বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি।

কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্তী শরিফ উদ্দীন মোমেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বেলাব উপজেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্তসহ একটি মডেল উপজেলা হিসাবে বেলাব উপজেলাকে গড়ে তুলবেন।

আনারস প্রতীকে প্রার্থী আমান উল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সন্ত্রাস দূরীকরণ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং কৃষিতে ন্যায মূল্য পেতে হিমাগার নির্মান করবো।

ঘোড়া প্রতীকে প্রার্থী ভাস্কর অলি মাহমুদ বলেন, স্মার্ট, আধুনিক ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে যা যা করা দরকার তাই করবো। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কাজ করবো। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করতে সকল প্রার্থীরা তাদের অঙ্গিকার পোষণ করেন।


আরও খবর



গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্র বিদ্যমান। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রশ্ন রাখেন তিনি।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর