ডেঙ্গু পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নির্মূল কেউ করতে পারবে না। কোনো দেশ করতে পারেনি। আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
বুধবার (৫ জুলাই) হাতিরঝিলে পানি নিষ্কাশন যন্ত্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, আপনারা যদি উন্নত দেশের সাথে তথ্য ও পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। যদিও আমাদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিস্তৃতিও অন্যান্য দেশের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করেন তাপস। তিনি বলেন, যদিও বৃষ্টির পরিমাণ অন্য দেশের তুলনায় বেশি হয়েছে, তারপরও আমরা সেটা করতে পেরেছি। বুঝতে হবে এটা সামগ্রিক জলবায়ু, সামগ্রিক আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিবেশের কারণে এডিস আমাদের দেশে বিস্তৃত হয়েছে প্রজনন করে। সেটাকে রোধ করতে হলে সবাইকে মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ বছর বর্ষা শুরুর আগেই মারাত্মক রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। বছরের সাত মাস না যেতেই সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আরও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবার মান পরিধি আরও বাড়াতে হবে। একজন রোগী যেন শঙ্কাজনক অবস্থায় না যায়, এ জন্য প্রাক (আগের) যে কার্যক্রম সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে মৃত্যুর হার কমাতে পারব।
বর্ষা আসার আগেই এত রোগী, এত মৃত্যুর পর পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, একটি হলো মৌসুমের আগে স্বাভাবিকভাবে কিছু রোগী হওয়া। আরেকটি হলো মৌসুমের সময় হওয়া। মৌসুমের আগে যেটা হয় যদিও সেটা পূর্ণ হিসেবে চলে আসে। কিন্তু আসলটা কিন্তু মৌসুমের মধ্যে কী হচ্ছে- সেটা বিষয়। এখন মৌসুম তুঙ্গে। জুলাই মাস চলে এসেছে। জুলাই থেকে বৃদ্ধিটা শুরু হয়। আগস্ট মাসে সবচেয়ে তুঙ্গে যায়। সেপ্টেম্বর মাসে কমে আসে। কিন্তু গত বছর আমরা পরিবর্তন দেখেছি। চরিত্রে পরিবর্তন দেখেছি। আগস্ট মাসে কেবল বৃদ্ধি পায়নি, সেপ্টেম্বর আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কমা শুরু হয়েছে নভেম্বর গিয়ে।
এবার ডেঙ্গু আগেই চলে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে সময় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল সেই সময়েও ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। সেই সময় এটা হওয়ার কথা নয়। আমরা এগুলোকে আমলে নিয়ে কার্যক্রম বিস্তৃত করেছি। ২০২১ সালে আমরা দুই মাসের কার্যক্রম নিয়েছিলাম। এখন আমরা চার মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। কার্যক্রমও বৃদ্ধি করছি।