মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার
ঝুঁকিতে আছে পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক অংশ। এই হুশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অবহেলিত গ্রীষ্মপ্রধান রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক বৈশ্বিক কর্মসূচির
প্রধান রমন ভেলাইউধান। গত শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রতিবছর
সারাবিশ্বে প্রায় ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২৮ লাখ মানুষ
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১ হাজার ২৮০ জনের।
ভেলাইউধান বলেন, ২০২৩ সালেও বাড়তে থাকার
প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ লাখ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণার অবস্থা তৈরি হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ রমন ভেলাইউধান জানান,
দক্ষিণ আমেরিকায় (বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং পেরু) আক্রান্ত ছড়িয়ে পড়া নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।
তিনি জানান, জুলাই মাসের শুরুতে আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩০ লাখ ডেঙ্গু রোগী এবং
১ হাজার ৩০২ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।
বিশ্বের মোট ডেঙ্গু রোগীর প্রায় ৭০ শতাংশ
এশিয়ায় পাওয়া যায় বলে জানান ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা রমন ভেলাইউধান। তবে মহাদেশটি থেকে
রিপোর্ট পেতে এখনো তাড়াহুড়া চলছে। আর সেখানে আক্রান্তের প্রবণতা এবার ভয়াবহ বলেও জানান
তিনি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সুস্থতার জন্যে খাদ্য
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু ভাইরাসের
বাহক এডিস মশার কামড় থেকে মানুষের মধ্যে রোগটি ছড়ায়। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর
এই জ্বরে যে ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হন, তাদের বেশিরভাগেরই কোনো লক্ষণ থাকে
না কিংবা লক্ষণ খুবই মৃদু হয়। এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান তাদের অনেকে।
বিরল ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ডব্লিউএইচওর ধারণা, সংক্রমণের
৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। আর এই লক্ষণ চলতে পারে দুই থেকে সাত
দিন পর্যন্ত।