আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৪

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এ সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯১৪ জন রোগী। শনিবার (১৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১৪ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৪ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১০ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৩০৭ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৩ হাজার ৮৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেল দেশসেরা ১২ সংগঠন

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৫ হাজার ২৮৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৬ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৫ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৮২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯০ হাজার ১৫৩ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৪৪ জন।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে ডেঙ্গু

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিমানবন্দরে সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ এবং প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপিকা ফারজানা রুপাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসবি ক্লিয়ারেন্স না থাকায় তাদের আটকে দেওয়া হয়। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সকালের দিকে তাদের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আটক করে বলে জানা যায়।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা দম্পতি আজ সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান। তাদের সঙ্গে এক কন্যাও ছিল। তারা তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (TK-713) যোগে ইস্তানবুল হয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিটি এসবির ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে তাদের ডিবির কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন>> দেশের সব রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারকে বদলি

এর আগে গত ৮ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে মুস্তফা আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৮ আগস্ট থেকে শাকিল আহমেদ- হেড অব নিউজ, ফারজানা রুপা- প্রিন্সিপাল করেসপন্ডেন্ট ও প্রেজেন্টারকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হলো।


আরও খবর



চাঁদা আদায় নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর পলাশে হাটবাজার পরিচালনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চরসিন্দুর বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েকদিন ধরে চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরসিন্দুর বাজারে কলার হাট ও পশুর হাট পরিচালনা নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইউনিয়নের বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল।

গতকাল সাপ্তাহিক হাট চলাকালীন শিক্ষার্থীরা হাটে অবস্থান নেয়। পরে সন্ধ্যার পর বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী হাটে অবস্থান নিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুপক্ষের ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহত শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে হাটবাজারে চাঁদা তোলে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে হাটবাজার উন্মুক্ত করা হয়। গতকাল হাট চলাকালীন রাত ৮টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এলাকার বাইরে থাকায় কী কারণে এই ঘটনা তা জানতে পারিনি।

পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, সাপ্তাহিক হাট পরিচালনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও খবর



খুলনা মেডিকেলের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, চিকিৎসাসেবা বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ও কালো তালিকাভুক্ত করায় বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগের অধিকাংশ সেবা। বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে কর্মস্থলে আসেনি বহির্বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসক। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, মঙ্গলবার খুলনা মে‌ডি‌কেল কলেজের শিক্ষার্থী‌দের এক‌টি অংশ হাসপাতা‌লের ভারপ্রাপ্ত উপপ‌রিচালক ডা. আক্তারুজ্জামানকে পদ‌ত‌্যাগ করতে বাধ্য করেন। এ সময় আরও ৪১ জন চি‌কিৎসক‌কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থী‌দের নেতৃত্ব দেন কা‌র্ডিও‌লো‌জি বিভাগের সহকারী অধ‌্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল। ফলে বুধবার নিরাপত্তা ঝুঁকি‌তে হাসপাতা‌লে আসেন‌নি অনেক চি‌কিৎসক।

সরেজমিন দেখা যায়, ব‌হির্বিভা‌গের ২০২নং রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯নং রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭নং রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫নং রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪নং রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩নং রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১নং রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২নং রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩নং রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮নং রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪নং রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১নং রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০নং রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২নং রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫নং রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চি‌কিৎসক অনুপস্থিত। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় তারা হাসপাতালে আসেননি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকা‌রী রেজিস্ট্রার কনসালট‌্যান্টসহ আরও ২১ জন চি‌কিৎসক অনুপ‌স্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চি‌কিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা থেকে আসা আরেফিন বিল্লাহ বলেন, বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি সকাল ১০টার দিকে। দুপুর পার হলেও চিকিৎসক আসেননি। আমি শিক্ষকতা করি, আজ ছুটি থাকায় এসেছি। অথচ এসে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। শুধু আমি নই, অন্য রোগীরাও ফিরে যাচ্ছেন।

হাসপাতালে আসা রোগী সাদিয়া আফরিন বলেন, ডাক্তার দেখাতে এসেছি সেই সকালে, এখনও দেখাতে পারিনি। আজ তো দেখাতে পারিনি, আগামীকালও ডাক্তার আসবে কি না জানি না।

ডাক্তারদের রুমের সামনে রোগীদের সিরিয়াল দেখভালের দায়িত্বরতরা জানান, সকালে আমরা এসেছি। এসে দেখি চিকিৎসকরা আসেননি। ফোন করলে তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা, এ জন্য আসেননি। রোগীরা আসছেন, আবার ফিরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুমন রায় মুঠোফোনে বলেন, গতকাল ইনটার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় ডাক্তার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের ঘিরে ধরে। পরে তারা উপপরিচালককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। আর আমাদের প্রায় ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় আমরা আসিনি।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সংলগ্ন নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফারুক বলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা আমাকে পাঠিয়েছেন, হাসপাতালে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চিকিৎসকদের নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কিনা দেখতে। সকালে আমরা এখানে এসেছি, এসে দেখি ডা. মোস্তফা কামাল নেই। বহির্বিভাগে অনেক রোগী এসে ফিরে যাচ্ছে। এটা কাম্য নয়। আমরা চাই হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, গত ১৬ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তারা নিগৃহের শিকার হোক আমরা চাই না। আমরা জানতে পেরেছি, অনেকেই ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাচ্ছেন। একজনকে সরিয়ে দিয়ে আরেকজনকে বসানোর একটা ফাইদা লোটার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এখানে বার বার একজন ডাক্তারের নাম উঠে আসছে। তিনি হলেন, কার্ডিওলোজি বিভাগের ডা. মোস্তফা কামাল। তাকে আমরা পায়নি। তার ব্যাপারেও আমরা তদন্ত করে দেখছি। কাউকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া আমরা সমর্থন করি না। কাউকে সরাতে হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ধাপে ধাপে করতে হবে। এক দিনেই ৪০ জনকে সরিয়ে দেব, এতে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হবে। পুরো খুলনা বিভাগে এর প্রভাব পড়ছে। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও কথা বলবো। এখানে দুটি পার্ট রয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা। শিক্ষা পার্টের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই কাজটি করেছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগে শুধু শিক্ষার্থীদের অধিকার নেই, এখানে খুলনা বিভাগের নাগরিক ও রোগীদের অধিকারটাই বেশি। আমরা এখানে সুষ্ঠু সমাধানে একটি ভূমিকা রাখতে চাই।


আরও খবর



লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় দিশেহারা দোহারবাসী

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

টানা কয়েকদিন ধরে ব্যাপক পরিমানে লোডশেডিং হচ্ছে এ উপজেলায়। দিন ও রাতের প্রায় অর্ধেক সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। সাথে তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের রোগীরা।

উপজেলার কাটাখালীর বাসিন্দা গৃহিণী পিংকি জানান, বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এই গরমে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় আমার বাচ্চাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। আবার সকালে ঠিকমতো উঠতে না পারায় তাদের স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়।

উপজেলার পালামগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সনজিত সাহা বলেন, একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো সময় থাকে না। এক-দেড় ঘণ্টা পর এলেও কিছু সময় পর আবার চলে যায়। এভাবে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকার কারণে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

উপজেলার জয়পাড়া বাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী হারুন উর রশীদ বলেন, গরম বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।  এতো লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের কাজের গতিও কমে গিয়েছে। জেনারেটর থাকলেও তাতে ফ্যানের স্পিড থাকে খুবই কম। বিদ্যুৎ চলে গেলে আর অফিসে বসা যায় না।

কম্পিউটারের দোকানে কর্মরত সুমন জানান, মাঝে মাঝে এমনও হয় এক পৃষ্ঠা টাইপ করার মাঝে দুইবার বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচুর বিরক্তি আসে তখন।

রাইপাড়া স্কলারস স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু কায়সার জুয়েল জানান, প্রচন্ড গরমের মাঝে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি আসলেই খুব খারাপ। লোডশেডিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমরা এ থেকে দ্রুতই মুক্তি  চাচ্ছি।

বিদ্যুতের এমন তীব্র লোডশেডিংয়ের বিষয়ে দোহার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. সাদেক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আজকের দর্পণকে জানান, চাহিদার তুলনায় আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই এই লোডশেডিং। তবে ঠিক কবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসতে পারে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় বলতে পারেননি।

নিউজ ট্যাগ: লোডশেডিং দোহার

আরও খবর



সার্কের পুনরুজ্জীবনে আগ্রহী ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্কের পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সার্কের বিকল্প হিসেবে পরিচিত বিমসটেক কার্যকরী হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিবেচনায় হঠাৎ আলোচনায় এসেছে সার্ক। তাহলে কি বাংলাদেশ বিমসটেক থেকে সার্কের দিকে যাচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হলে জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বিমসটেককে আমরা ভেবেছিলাম সার্কের একটা বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে। সেটা কিন্তু দাঁড়ায় নাই। কারণ, মিয়ানমার যতক্ষণ শান্ত না হবে ততক্ষণ বিমসটেক সত্যিকার অর্থে খুব ইফেক্টিভ কিছু হতে পারবে না। একইভাবে আমরা কিন্তু সার্কের বিকল্প হিসেবে চাই নাই বিমসটেক।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সার্ক কার্যকরী হোক আমরা চাই। প্রধান উপদেষ্টা নিজে আগ্রহী সার্ক পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে। আমরা দেখি কতটুকু কী করা যায়। সার্কের বিষয়ে আমরা জানি, এটা ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাই না

জানা যায়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দর্শন নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে সার্ক। ওই বছরের ৭ থেকে ৮ ডিসেম্বর ঢাকা সম্মেলনের মাধ্যমে জোটটি সাংগঠনিক কাঠামো পায়। সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত। অন্যদিকে, সাত জাতির আঞ্চলিক জোটের তুলনায় বিমসটেক নবীন। ১৯৯৭ সালে এই জোটের জন্ম।


আরও খবর