আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

দেশে-বিদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে : তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে-বিদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন সবাইকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। যখন সুযোগ ছিল তখন বিএনপি নারীদের নিরাপত্তায়, কৃষকের উন্নয়ন থেকে শুরু করে দেশের সর্বক্ষেত্রে অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর জনগণের চিন্তা ধারায় পরিবর্তন ঘটেছে। বিএনপিকেও মানুষের এই চিন্তা ধারার সাথে পরিবর্তিত হতে হবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি বিরোধী দলে ছিল। এখনো বিরোধী দলে আছে, যতক্ষণ না জনগণ আমাদের পক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তাই জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের কথাবার্তা ও কাজকর্মে সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। শহীদ জিয়ার এই স্লোগানটিকে শুধু স্লোগান হিসেবে বিবেচনা না করে প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর মনে তা ধারণ ও বিশ্বাস করতে হবে। তবেই আমাদের দল কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারবে। যারা নিজেকে চালাক মনে করছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। অনেকেই ভাবছেন স্বৈরাচার পতনের পর মাঠে তাদের আর কোনো অবস্থান নেই। এ রকম ভাবসাব অনেকের মধ্যে দেখা যায়। যার পতন হয়েছে সে ছিল আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আজ তারা হয়ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু এতে আমাদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। কারণ আগে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল দৃশ্যমান। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ অদৃশ্য। তারা আপনাকে এবং দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাদের বিষয়ে সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এই বিষয়েও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। স্বৈরাচার পতন আমাদের জন্য প্রিটেস্ট এবং জনগণের আস্থা অর্জন আমাদের জন্য টেস্ট পরীক্ষা। মনে রাখতে হবে আমাদের দলের বিরুদ্ধে ভিন্ন উপায়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের প্রতারিত করে দলে অনুপ্রবেশ করে ভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তারেক রহমান বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দল পিছপা হয়নি। আমরা সরকারে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম। দেশনেত্রীর স্লোগান- মানুষ বাচাঁও দেশ বাচাঁও। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির। তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন। যে জনগণ আপনাদের পক্ষে রায় দেয়। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া সহজ হবে না বরং আমাদের লক্ষ্য অর্জন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। তাই দলের নেতাকর্মীদের অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে কাজ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফজাল এইচ খান, সহ-সাংগঠনিক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু, আবুল বাশার আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ বুলু, একেএম মাহাবুবুল আলম, শামীম আজাদ, ফারজানা রহমান হুসনা, লিটন আকন্দ, এম.এ হান্নান খান, কায়কোবাদ মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফকরুদ্দিন আহম্দে বাচ্চু, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, আকতারুল আলম ফারুক, ফাত্তাহ খান, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: তারেক রহমান

আরও খবর



অসুস্থ হাজী সেলিম, রিমান্ড শেষ না করেই পাঠানো হলো কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর ডিবি কার্যালয়ে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার রাতে তাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। সেখান থেকে আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আবারও আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.আক্তারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালত লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া উল্লেখ করেন, আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতের আদেশ মোতাবেক পুলিশ রিমান্ডে প্রাপ্ত হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে সতর্কতার সঙ্গে মামলার ঘটনার বিষয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আসামি কথা বলতে পারে না এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং কথা বলতে না পারায় তাকে গভীর ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং সে কথা বলতে না পারায় তাকে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে তাকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ভবিষ্যতে আরও রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বিধায় মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

গত ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বংশাল থানাধীন এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে আটক করা হয়। এরপর ২ সেপ্টেম্বর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজশাহীতে বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর বিএনপি নামধারী কতিপয় নেতা যারা এতোদিন দলের কোন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি দিবসগুলো পর্যন্ত পালন করেনি। তারাই নিজেদের অপরাধ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম ধামাচাপা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। সেই সাথে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে  সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যারা এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে  সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলার তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মামা মরহুম ইমরান আলী মোল্লা তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বংশীয়ভাবেই শহীদ জিয়ার আদর্শের সাথেই আমরা সরাসরি জড়িত। আমি বার বার ঢাকা-রাজশাহীতে পুলিশ ও আওয়ামী বাকশালী কর্তৃক মামলায় প্রেপ্তার হয়েছি এবং কারাবরণ করেছি। তানোর পৌরনির্বাচনে বার বার আমাকে প্রতক্ষ্যভাবে ফলাফল কেড়ে নিয়ে পরাজিত করা হয়েছে। তবুও বিএনপির একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এমন কোন বিএনপির প্রোগ্রাম নাই যেখানে আমার উপস্থিতি ছিল না। প্রত্যেকটা জায়গায় আমার নেতৃত্বে তানোর উপজেলা ও তানোর পৌরসভা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। অথচ আমিসহ আমার কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলের কিছু নামধারী নেতা কেন্দ্রে অভিযোগ পাঠিয়েছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মানহানিকর।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে সংবাদগ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কখনোই কোন সময় আমাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিযোগ উপস্থাপন হয়নি। আমাদের সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কতিপয় কুচুক্রি মহল ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জয়প্রিয়তাকে নষ্ট করতেই সাজানো মিথ্যা-বানোয়াট  ও উদ্দেশ্যণোদিত অভিযোগ কেন্দ্রে উপস্থান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা দঢ় কণ্ঠে বলতে পারি শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত কখনোই হইনি এবং আগামীতেও হবো না।  বরং যারা অভিযোগ করেছে তারাই বিভিন্ন নৈরাজ্য, হাট-ঘাট দখল, বালু মহাল দখল, পুকুর দখল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও দখল দারিত্বের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্ম ঢাকতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম বাবু, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধামরাইয়ে ডোবা থেকে পুলিশ সদস্যের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর কামরুল হাসান (২৩) নামের এক পুলিশ সদস্যের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নারগিস আক্তারকে (১৯) আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলার কংসপট্টি এলাকার একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ধামরাই থানার পুলিশ।

নিহত কামরুল হাসান ধামরাই উপজেলার কংসপট্টি এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি পুলিশের উত্তরা এপিবিএন শাখায় কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে কামরুল গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তখন কামরুল তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে সারা দিন বাসায় না ফেরায় বাড়ির লোকজন কামরুলের সন্ধান করলেও খোঁজ পাননি। পরে আজ সকালে ডোবায় বস্তাবন্দি অবস্থায় কামরুলের মরদেহ ভেসে ওঠে। এ সময় প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে ধামরাই থানায় খবর দেন।

ধামরাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে ওই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



৫ হাজার বন্যার্ত পরিবারকে শুকনো খাবার দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারতের বাঁধের পানি নেমে আসায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখছে বাংলাদেশ। এতে দেশের ৯ জেলার কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে।

সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে আটকে পড়াদের আর্তনাদ; জীবন বাঁচাতে আকুতি জানাচ্ছেন তারা। এর মধ্যে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ফেনী। এই জেলার তিনটি উপজেলার সঙ্গে ইতোমধ্যেই সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সেখানে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। ভয়াবহ বন্যাদুর্গত এলাকার ৫ হাজার পরিবারে বিতরণের জন্য শুকনো খাবার দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজে অংশ নিতে বন্দরের একটি বোট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ৫ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবার দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে এসব ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হচ্ছে। তিনি বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (ভিএইএফ চ্যানেল Chennel-16/12, নম্বর 880-23-33326916, 01759-054277) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি আদালত রায় দিয়েছে তিনি সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। আদালতের এমন রায়ের কারণে আরও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল থাইল্যান্ড।

এই একই আদালত গত সপ্তাহে দেশটির জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে নিষিদ্ধ করে দেয়। অথচ দলটি গত বছরের সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পায়। এছাড়া দলটির নেতাদের রাজনীতি থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধও করা হয়।

ব্যাংককের সংবিধান আদালত তার রায়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন জেলখাটা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন।

আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তিনি জেনেশুনে একজন নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

এখন দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। ক্ষমতাসীন ফিউ থাইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট ফের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নতুন প্রার্থী দেবে। যিনি সংসদের ৫০০ সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা। এরমাধ্যমে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান হয়েছিল। কিন্তু তার ফিউ থাই পার্টিকে সেনাবাহিনীর মনোনিত প্রার্থীদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে হয়েছিল।

স্রেথার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আদালত আজকে এই রায় দিয়েছে; এই অভিযোগটি আদালতে করেছিলেন সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত ৪০ জন সিনেটর। পিচিট চুয়েনবান নামের যে আইনজীবীকে সরকারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কাছের লোক ছিলেন।

পিচিট চুয়েনবান ২০০৮ সালে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জমি সংক্রান্ত মামলাটিতে থাকসিন সিনাওয়াত্রাও জড়িত ছিলেন।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪