আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

দেশে ফিরলেন ১৪ হাজার ৮৬২ জন হাজি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে ছয়দিন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন ১৪ হাজার ৮৬২ জন হাজি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৯টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্ক হজের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনের তথ্যমতে, পবিত্র হজ শেষে গত ১৪ জুলাই ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪০টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন হাজিরা। আগামী ৪ আগস্ট ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে।

আইটি হেল্পডেস্ক জানিয়েছে, সৌদি আরবে মোট ২৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী ইন্তেকাল করেছেন। মারা যাওয়া হজযাত্রী/হাজিদের মধ্যে পুরুষ ১৬ ও নারী সাতজন। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৯, মদিনায় ৩ ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।

গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ)।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার (৩০ মার্চ) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর



ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি। তাই এখন তারা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে।

জিয়াউর রহমান যে প্রকৃতপক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ এনে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে প্রতিদিন চোর, ডাকাত, পকেটমার, হাইজাকারসহ তিন-চার হাজার আসামি ধরা পড়ে। ওসব আসামিকে বিএনপির মহাসচিব বিএনপিকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে চান কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তিনি এখন অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন অথচ তার পিতা মুমিন খান '৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন; তিনি (মুমিন খান) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খাদ্যভর্তি জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ লাগাতে সহায়তা করেছেন। পরবর্তীতে তাকে জিয়াউর রহমান উপদেষ্টা নিযুক্ত করে সেই পুরস্কার দিয়েছিল।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



চার মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়বে। যা আগামী চার মে থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করেনি রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। যা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এই সুবিধাটি এখন বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ কারণে, তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাত ইউপি সদস্য।

সোমবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিঘাই ইউনিয়নের সদস্য মাঈনুল আহসান জিয়া, মো. জামাল হোসেন মিন্টু মৃধা, মো. মিজানুর রহমান, মো. জামাল হোসেন হাওলাদার, মো. কাওসার আকন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম ও মোসা. মনিরা আক্তার মিলে অনাস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলেদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল দেয়া, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বেশ কিছু প্রকল্প সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত না করাসহ বেশকিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। অভিযোগের বিষয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি করেই চাল বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার।

তবে এ বিষয় কথা হলে উপস্থিত জেলেরা বলেন, আসলে ওই সকল ইউপি সদস্যরা তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল বিতরণ করতে বলেছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি না মানায় তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েই মূলত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে কতিপয় স্বার্থলোভী ইউপি সদস্য।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ড ধারিরা পেতো না কারন ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাঁধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর