দেশের প্রায় সব জায়গাতেই করোনার ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে করোনায় আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশই বর্তমানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট
দ্বারা আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) জিনোম সিকোয়েন্সিং
গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের চারটি
ধরন পাওয়ার গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দেশে
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এছাড়া আমাদের গবেষণায় প্রথম ১৫ দিনে একজন রোগী মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান
ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, গবেষণায় দেশের
সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৩০০ কোভিড-১৯ পজিটিভ
রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে
করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তদের
মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ। তবে বিএসএমএমইউ-এর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স
পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩০-৩৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের
মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস তাদের
মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সেক্ষেত্রে
মৃত্যু ঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
গবেষণার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য ভাইরাসটির জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরণ এবং বৈশ্বিক ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর সম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জেনোম ডাটাবেস তৈরি করা।