দেশে করোনাভাইরাসের
দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এ অবস্থায় ঈদে যেভাবে মানুষ বাড়ি ফিরছে, তাতে দেশে করোনাভাইরাসের
আরেকটি (তৃতীয়) ঢেউয়ের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার (১১
মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় জরুরি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্যে প্রদানকালে স্বাস্থ্য
অধিদফতরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
ভার্চুয়াল প্রেস
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা
ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক
(প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি সতর্ক করে
বলেন, ঈদে আমরা যেভাবে গাদাগাদি করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। এতে আমরা নিজেদের সর্বনাশ
নিজেরা ডেকে আনছি। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে করোনা সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া মুশকিল
হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ খুরশীদ
আলম বলেন, আমরা এ বিষয়ে সঙ্কিত যে সংক্রমণ আবার বাড়ে কিনা। তবে বর্তমানে সারা দেশের
কোভিড হাসপাতালগুলোতে সাড়ে ১২ হাজার সিট খালি আছে। এছাড়া দেশে শনাক্ত ও মৃত্যুর হারও
কমেছে। দেশে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
তিনি বলেন, করোনা
পৃথিবী থেকে কবে যাবে, তা কেউ বলতে পারে না। ফলে যতদিন করোনা থাকবে ততদিন স্বাস্থ্যবিধি
মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ঈদের জামাত সীমিত আকারে করতে পারলে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে
রাখা যাবে। এ জন্য ঈদের জামাত খোলা স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন,
ঈদের নামাজ পড়ার পর কোলাকুলি করা যাবে না এবং হাত মেলানো যাবে না। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে
পড়ার আশঙ্কা আছে। নামাজ পড়ার সময়ে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আর পরবর্তী সময়ে সাবান দিয়ে
হাত ধুতে হবে।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ঈদের পর আমাদের বেশি বেশি করোনা পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা না করলে বিষয়টা কতটুকু ছড়াচ্ছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে না। আর আমাদের পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।