কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে সব রকম সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে তা নিরসনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, বিগত বছরের (২০২০ সালের ডিসেম্বর) একই সময়ের তুলনায় সব রকমের সারের বর্তমান মজুত বেশি রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গুজব ছড়িয়ে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যেসব ডিলার, ব্যবসায়ী, দোকানদার বেশি দামে সার বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত ৩০ দিন অব্যাহতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজন হলে পুরো বোরো মৌসুমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
ড. রাজ্জাক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সারের মূল্য টনপ্রতি ৩০০ ডলার ছিল, তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৯৬৪ ডলার। আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে আমাদের মতো দেশগুলোকে শোষণ করছে। আর এদিকে দেশে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে কোথাও কোথাও সারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা কঠোরভাবে এটি মনিটর করছি, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন।’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘সারের উৎপাদন, আমদানি ও মজুতে কোন সমস্যা নেই, সারের কোনো ঘাটতি নেই। কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে গুজব ও অপপ্রচার ছড়িয়ে সারের দাম বৃদ্ধি করে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিকভাবেও বিরোধীরা সুযোগ নিতে পারে। সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।’