আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দেশেই রয়েছে জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা: শারফুদ্দিন আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে আজ মঙ্গলবার ৯ মে ২০২৩ইং তারিখে বিভিন্ন ধরণের চক্ষু রোগের চিকিৎসায় পেডিয়াট্রিক অফথালমোলজি ক্লিনিক, আরওপি ক্লিনিক, অকুলোপ্লাস্টি ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও বিশিষ্ট চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে সকল ধরণের চক্ষু রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা বিদ্যমান রয়েছে। প্রখ্যাত চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই বিভাগ দুটির চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।

এদিকে আজ মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব লুপাস দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটির উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে র‌্যালির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় মাননীয় উপাচার্য বলেন, বর্তমানে ক্যান্সার রোগেরও উন্নত চিকিৎসাসেবা রয়েছে। ক্যান্সার হলে আছে আনসার। সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটাস বা এসএমই এমন একটি জটিল রোগ যা শরীরের যেকোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর করে দিতে পারে। তবে এধরণের রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ থেকে প্রদান করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশেই রয়েছে জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা, তাই রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নাই।

রোগীদের সুবিধার্থে মহতী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও লুপাস দিবেসে কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ জাফর খালেদ, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু শাহীন, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মঈনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 


আরও খবর



ছয় মাসে দু'জন ভালো ওপেনার দিতে চাইলেন সাকিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দলে নেই। ফিটনেসের কারণ দেখিয়ে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ এই তামিম কিছুদিন আগেও অধিনায়ক ছিলেন। ওই সময় তিনি কোন বিকল্প ওপেনার তৈরি করেননি বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান।

ক্রীড়া বিষয়ক সম্প্রচার মাধ্যম টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে সাকিব দাবি করেছেন, দলে বর্তমান যে ওপেনার সংকট চলছে তার দায় তামিমের। চাপহীন সিরিজে বিকল্প ওপেনার তৈরি করা যেত। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ছয় মাস সময় পেলে দু'জন ভালো ওপেনার তৈরি করা সম্ভব।

সাকিব বলেছেন, 'আমি রেস্ট (বিশ্রাম) ও রোটেশন (ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো) পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি। এখন আমাদের ওপেনার বা নাম্বার সেভেনে (ব্যাটার) সংকট চলছে। আমরা কি এই জায়গায় কাউকে ট্রাই করেছি? ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা জিম্বাবুয়ে সিরিজে পয়েন্ট সিস্টেম ছিল না, তখন কাউকে ট্রাই করেছি। আমরা সিনিয়র কেউ না খেলে নতুন কাউকে না সুযোগ দিলাম, না ট্রাই করতে দেওয়া হলো।'

বিকল্প কোন ওপেনারকে কিছু ম্যাচ খেলিয়ে রাখলে এই সংকট তৈরি হতো না বলেও দাবি করেছেন সাকিব, ‌'একটা ওপেনার যদি ওই প্রেসারলেস (চাপহীন) সময়ে ১২টা ওয়ানডে খেলত, আমি নিশ্চিত ওখান থেকে দুইটা ওপেনার পাওয়া যেত। আপনি দেন ছয় মাস, দু'জন ভালো ওপেনার তৈরি হয়ে যাবে।'

বাংলাদেশ দলের এই বাজে পরিস্থিতির দায়ও তামিমকে দিয়েছেন সাকিব। তার দাবি, তামিম সিরিজের মধ্যে অবসর নিয়ে দলকে যে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছেন তা দল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি, ‍"আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার একজনের ভুলে। ক্যাপ্টেন। এক ম্যাচ পরে সরে গেছে এই বলে যে, 'আমি ভাই ক্রিকেট খেলবো না।' বিশ্বের কোথাও আমি এমনটা দেখিনি। আমার মনে হয়, ওইটাই আমাদের এখনও রিকভারি করতে সময় লাগছে।"

নিউজ ট্যাগ: সাকিব আল হাসান

আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গরুর মাংসের ব্যবস্থা নেই, যা খাচ্ছেন বাবর আজমরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারি-বেসরকারি কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলসহ সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। এবার সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের বিচারপতিদের সইয়ের পর ছয় পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান।

জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিটের রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই যে, একটি শিশুর জন্মের পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত তার মাতৃদুগ্ধ প্রয়োজন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়েরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। শপিং মল, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চ ঘাটসহ সকল পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং রুম থাকা প্রয়োজন যাতে সব মা তার শিশুদের মাতৃদুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ দ্রুততম যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম স্থাপনের সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও রায়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকোর্ট।

এর আগে রায় ঘোষণার পর আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, মা ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে রুল, নির্দেশনাগুলো ও চূড়ান্ত শুনানির পর হাইকোর্ট এই যুগান্তকারী রায় দিলেন। আমাদের সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে স্বীকৃত অন্যতম মৌলিক অধিকারবিষয়ক এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দেশের সব কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনে, শপিং মলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এছাড়াও পাবলিক প্লেস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চান আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এসব রুলে জবাব দিতে বলা হয়।

পরে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত ২ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মো. রাশিদুল হাসান, অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর নিরাপদ পরিবেশে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধ পান করতে ৯ মাসের শিশু উমাইর বিন সাদিকের পক্ষে তার মা ইশরাত হাসান এই রিট দায়ের করেন।


আরও খবর



ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইয়াঙ্গুন এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে কম্পন অনুভব করেন ইয়াঙ্গুন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ইয়াঙ্গুন থেকে ৩৯ কিলোমিটার উত্তরে ও ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করেন মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে। এর পার্শ্ববর্তী অন্যান্য শহরে বসবাস করেন আরও বেশ কয়েক লাখ মানুষ।

ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দেশ মিয়ানমারে ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দেশটির আয়তন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার।


আরও খবর



এডিসি হারুনকে গ্রেপ্তারের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় এনে মারধরের ঘটনায় ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদকে স্থায়ী বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতা এই দাবি জানান।

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, এডিসি হারুন পেটানোয় পটু। তিনি নিজের সহকর্মীকেও পিটিয়েছেন। তার কাজ পুরো পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এর দায় তো পুলিশ প্রশাসন নিতে পারে না। হারুনকে কেন প্রশ্রয় দেওয়া হবে? তিনি যেভাবে ছাত্রলীগের নেতাদের অমানুষিক নির্যাতন করেছেন তাতে শুধু প্রত্যাহার কিংবা বদলিতে যথেষ্ট নয়। তাকে গ্রেপ্তার করে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে। তাকে আইনের আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।

ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, এডিসি হারুন একজন শিক্ষার্থীবিদ্বেষী পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, কোর্টের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছিলেন। অতি দ্রুত তাকে ফৌজদারি অপরাধের কারণে আইনের আওতায় না আনলে সাধারণ ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমে আসবে।

আরেক শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, এডিসি হারুন পরকীয়া করা অবস্থায় ধরা খেয়ে তা ঢাকা দিতে আমাদের দুই ভাইকে এভাবে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন। মানবিক বিকারগ্রস্ত এই হারুন এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হামলা করেছিলেন। আমরা তাঁর যথাযথ শাস্তি চাই।

ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামাল খান বলেন, এডিসি হারুন তার ব্যক্তিগত অপকর্ম ঢাকতে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করেছেন। তিনি যে কাজ করেছেন তা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তাকে ছাড় দিলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

প্রসঙ্গত, এডিসি হারুনের মারধরের শিকার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীমের বাড়ি গাজীপুর। তার প্রতি সমবেদনা জানাতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি।

মানববন্ধনে বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, অনশন কর্মসূচিও করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া গাজীপুরের শিক্ষার্থীদের সংগঠন গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সদস্যরা। আবহাওয়া ভালো না থাকায় আপাতত অনশন কর্মসূচি করছেন না তারা।

এই সংগঠনের সভাপতি আশিক রাব্বানী জিহান বলেন, এডিসি হারুন যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তখন তার ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল ছাত্রশিবিরের। পরে যখন এসব ফাঁস হয়ে যায় নাঈম এসব ধরিয়ে দেবেন বলে তিনি নাঈমকে মেরে দাঁত ফেলে দেন। তিনি এপিবিএনে প্রত্যাহারকে এখন ক্রেডিট হিসেবে নিয়েছেন। ফল তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান, নজরুল ইসলাম, সরদার আয়নাল, সৈয়দ আরিফ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম শামীম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক সিদ্দিকী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, ছাত্রনেতা হাসান রশিদুজ্জামান বিপ্লব, ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: এডিসি হারুন

আরও খবর



রাজবাড়ীতে বালুচাপায় ভেকু চালকসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় বালুচাপায় ভেকু চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে মিজানপুর ইউনিয়নের জৌকুড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মিজানপুরের দয়ালনগরের বালু চাতালের মা‌লিক হান্নান শেখের ভাই র‌হিম শেখ (৫০), জৌকুড়ার আনসার শেখের ছেলে এক্সকাভেটর (ভেকু) চালক মারুফ শেখ (২২) ও অজ্ঞাত ট্রাকের হেলপার।

মিজানপুর ২নং ওয়ার্ড সদস্য ফয়সাল আহম্মেদ চান্দু ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত করে জানান, জৌকুড়া ঘাট এলাকার জনৈক সিদ্দিকের বাড়ির পাশে ব্যবসায়ী হান্নানের বালুর চাতালে ভেকু দিয়ে ট্রাকে বালু ভর্তির কাজ চল‌ছিল। এসময় হঠাৎ বালুর স্তূপের ওপর থেকে বালুসহ ভেকু মেশিন ট্রাকের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহিম, মারুফ ও ট্রাকের হেলপার নিহত হন।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত করেছেন।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩