আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশের ৪০ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে মানিকগঞ্জের গাজর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ এপ্রিল 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ এপ্রিল 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজর উৎপাদনে খ্যাতি রয়েছে মানিকগঞ্জের। প্রায় ৫০ বছর ধরে জেলার সিংগাইর উপজেলার কৃষকরা এই পুষ্টিকর খাদ্যশস্য উৎপাদন করে আসছেন। শুরুর দিকে চাষাবাদ কম হলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাজরের চাষাবাদ। মাত্র তিন মাসের মধ্যে এই অর্থকরী ফসলে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা ধরে রেখেছেন চাষাবাদ।

অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় চলতি মৌসুমের জেলার সিংগাইর উপজেলায় গাজরের ফলন ভালো হয়েছে। এদিকে ফলন ও পাইকারি বাজারে এ বছর গাজরের দাম ভালো থাকায় কৃষক ও ব্যাপারীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।  অন্যদিকে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে সারা দেশের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ গাজরের চাহিদা পূরণ করছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার উৎপাদিত গাজর। ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাইকারি মোকামে (বাজারে) এসব গাজর বিক্রি করা হয়।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সিংগাইর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার কৃষক গাজর চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমপুর, চরআজিমপুর, জয়মন্টপ, শায়েস্তা, জামির্ত্তা ইউনিয়নে গাজরের চাষাবাদ বেশি হয়। চলতি মৌসুমে সিংগাইর উপজেলায় কৃষকরা ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা গাজরের আবাদ করেছেন। এ বছর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ১০০ হেক্টর। গত বছর এক হাজারের কিছু বেশি জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছিল আর উৎপাদন হয়েছিল ৪১ মেট্রিক টন গাজর। যা প্রতি হেক্টর জমিতে গাজর উৎপাদন হয়েছিল ৪১ মেট্রিক টন।

চলতি মৌসুমেও গাজরের ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে গাজরের ফলন হয়েছে ৪২ মেট্রিক টন করে। যার গড় হিসাব অনুযায়ী চলতি মৌসুমে গাজরের উৎপাদন হয়েছে ৪২ হাজার মেট্রিক টন। কৃষকরা এক বিঘা জমির গাজর পাইকারি ব্যাপারীদের কাছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকেন বলে লাভবান কিছুটা কম হন। তবে কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারিভাবে গাজর কিনে ব্যাপারীরা পাইকারি বাজারে বেশি দামে বিক্রি করায় লাভটা বেশি পান বলে জানায় কৃষি অধিদপ্তর।

সরেজমিন সিংগাইর উপজেলার নয়াডাঙ্গী এলাকায় জমি থেকে গাজর তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পিয়ার আলী খান (৫৭)। সরেজমিনে আলাপ হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩২ বছর ধরে গাজরের আবাদ করছি। নিজের ১২ বিঘা জমিসহ অন্যের কাছ থেকে কটে রাখা আরও ২০ বিঘা জমিসহ মোট ৩২ বিঘা জমিতে এবার গাজরের আবাদ করেছি। এতে আমার প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ মণ গাজর উৎপাদন হবে। এবার স্থানীয় বাজারসহ পাইকারি বাজারে গাজরের দাম ভালো পাওয়ায় মূলধন তোলার পরও বেশ লাভবান হব বলে আশা করছি।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাসিন্দা সেন্টু প্রামাণিক বলেন, প্রতিবছরের তিন মাস মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গাজর তোলার কাজ করছি প্রায় ১৫ বছর। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজর তুলে বস্তায় ভরি। এরপর জমি থেকে এসব গাজরের বস্তা ট্রাকে করে খোলায় (গাজর ধোঁয়ার জায়গা) নিই। সেখান সনাতন পদ্ধতিতে এসব গাজর পানি দিয়ে ধোয়ার পর আবার ট্রাকে তোলা হয়। এই কাজ করে প্রতিদিন আমাগো মজুরি হিসাবে ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ হাজার টাকা পাই।

গাজরের সময় তিন মাস কাজ করে প্রায় লাখখানেক টাকা আয় করেন একই এলাকার শ্রমিক আবু বক্কর। তিনি বলেন, তিন মাস কাজ করে প্রায় লাখখানেক টাকা আসে। এ টাকা দিয়া সংসারের বিভিন্ন কাজ করি। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয় গাজর তোলা, ধোয়ার কাজে। দীর্ঘদিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। তয় গাজর চাষাবাদে কৃষক তেমন দাম না পেলেও পাইকারি ব্যাপারীরা ভালোই দাম পায়। কৃষকের ফলন ভলো না হলে চালানই (মূলধন) তোলা কষ্টসাধ্য হয়।

কৃষক আক্কাস আলী বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ করেছি। জমিতে হালচাষ, বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি নিয়ে খরচ হয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গাজর বিক্রি করেছি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। এবার মূলধন তুলনায় কিছুটা লাভ হয়েছে। তবে এক কেজি গাজরের বীজ কিনতে হয়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়। সরকার যদি বীজ, সারের দাম কমাইয়া দিত, তাহলে আমরা চাষাবাদ করে পরিবার নিয়া চলতে পারতাম।

ব্যাপারী নুরুল মিয়া বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে গাজরের ব্যবসা করছি। আমরা ব্যাপারীরা কৃষকদের কাছ থেকে মুক্তাদরে প্রতি বিঘা গাজর কিনি ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে। ফলন ভালো হলে কৃষকরা ভালো দাম পায় আর ফলন ভালো না হলে কৃষকরা কম দাম পায়। তবে একেবারে যে কৃষকরা গাজর চাষ করে লোকসানে থাকে, বিষয়টা এমন নয়।

পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সোবাহান গাজী বলেন, আমাগো সিংগাইরের গাজরে খেতে অনেক সুস্বাদু। যে কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এর চাহিদা রয়েছে। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে গাজর কিনি প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। আর পাইকারি বাজারে বিক্রি করি ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। এ বছর প্রায় ২০০ বিঘা জমির গাজর কিনেছি। ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাইকারি মোকামে (বাজারে) এই গাজর বিক্রি করা হয়।

মানিকগঞ্জ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা মো. ফয়জুল ইসলাম বলেন, এ জেলার উৎপাদিত গাজর খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। এ জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাহিদাও রয়েছে বেশ। যোগযোগব্যবস্থা ভালো থাকায় কৃষকরা ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে এসব গাজর বিক্রি করতে পারছে। এতে তাদের পরিবহন খরচও কম লাগছে।

তিনি আরও বলেন, গাজর বিক্রির ক্ষেত্রে আমরা ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারের পাইকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিই। যাতে কৃষকরা গাজর বিক্রি করে লাভ একটু বেশি করতে পারেন। তবে বেশির ভাগ কৃষক স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে গাজর মুক্তার দামে বিক্রি করে দেন। ফলে কৃষকরা ব্যাপারীদের তুলনায় কিছুটা লাভ কম পান।

নিউজ ট্যাগ: মানিকগঞ্জ

আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পৃথক শোক বার্তায় তারা প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নারায়ণ দাস। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা শেষ করেন শিব নারায়ণ দাস। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিব নারায়ণ দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শিব নারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




নাফ নদীতে বিজিপির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফের সাবারাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ফারুকের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বিজিপি নাফ নদী

আরও খবর



পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। এদিন মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: লাইলাতুল কদর

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিবলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার পথে প্রতিবন্ধক তাদের পরাজিত করব। আমাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি। এ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।

এর আগে, সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর