আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দেশের বাজারে কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে সোনার দা‌ম কমা‌নোর ঘোষণা দি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভালো মানের প্রতি ভরি সোনায় এক হাজার ৭৫০ টাকা ক‌মি‌য়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা। যা এতদিন ছিল ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা।

রোববার (২৮ মে) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা সোমবার (২৯ মে) থেকে কার্যকর করা হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা ক‌মি‌য়ে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৩৯৯ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম কমা‌নো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভ‌রি ১ হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ১৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়। ওই দামে এখন পর্যন্ত সোনা কেনাবেচা চলছে। সেই হিসাবে আজকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকায়। ২১ ক্যারেট ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৫৩৯ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৬৭ হাজার ১২৬ টাকায় বি‌ক্রি হ‌চ্ছে।


আরও খবর
মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নয়াদিল্লি ঘোষণা

যেসব ইস্যুতে ‘শতভাগ ঐকমত্যে’ পৌঁছালেন জি-২০ সদস্যরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলছে বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক জোট জি-২০ সম্মেলন। শনিবার সম্মেলনের প্রথমদিনই সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সবার সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতের উত্থাপিত নয়াদিল্লি ঘোষণা

বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির নানামুখী চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে বেশ কিছু পয়েন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নয়াদিল্লি ঘোষণায়। সেগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০টি পয়েন্ট সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো

পয়েন্ট ১ : জি-২০ জোটের সদস্যরাষ্ট্রগুলো দৃঢ়, টেকসই, ভারসাম্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। এই ঐক্যের মূল লক্ষ্য থাকবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।

পয়েন্ট ২ : ২০৩০ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের এই সমন্বিত প্রয়াসে অবশ্যই প্রকৃত ঐক্য নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো সদস্যরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া চলবে না। সবাইকে সাথে নিয়েই এগোতে হবে।

পয়েন্ট ৩ : জি-২০ জোটের সদস্যরাষ্ট্রগুলো নিজেদের মধ্যে একটি নিয়মতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, সুষম, মুক্ত, ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের লক্ষ্য হবে জোটভুক্ত সব রাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের। যে রাজনীতি এই বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সমর্থন করবে, সেই রাজনীতিকেই সমর্থন করবে জি-২০, এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে নয়াদিল্লি ঘোষণায়।

পয়েন্ট ৪ : সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতগুলোও যেন আরও উৎপাদনশীল, টেকসই এবং প্রাণবন্ত হয়, সেজন্য জোটের পক্ষ থেকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া হবে।

পয়েন্ট ৫ : জলবায়ু পরিবর্তন ও তার জেরে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জোটগত তৎপরতার আওতা বাড়াবে জি-২০।

পয়েন্ট ৬ : জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির অতিমাত্রায় ব্যবহার। তাই বিশ্ব এখন ক্রমশ কয়লা-জ্বালানি তেলের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। জি-২০ সদস্যরাষ্ট্রগুলোও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে জি-২০। এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হলো কম দামে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা।

পয়েন্ট ৭ : জি-২০ জোটের অন্যতম সদস্য রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে গত দেড় বছর ধরে। নয়াদিল্লি ঘোষণা অনুযায়ী, এই ইস্যুতে জি-২০ জোটের সদস্যরা জাতিসংঘের সনদ মেনে চলবেন। ওই সনদে দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যকার সমস্যা সমাধানে আলোচনা ও কূটনৈতিক পন্থা অনুসরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তবে নয়াদিল্লি ঘোষণার কোথাও বা সম্মেলনের প্রথম দিনের অতিথিদের কোনো বক্তব্যেই এই যুদ্ধের জন্য দায়ী হিসেবে রাশিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

পয়েন্ট ৮ : সদস্যরাষ্ট্রগুলোর খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে জি-২০ জোট। এক্ষেত্রে জোটভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক নানামুখী আদানপ্রদান ও সহায়তাকে উৎসাহিত করা হবে। সেই সঙ্গে ধান-গম-ভুট্টার মতো প্রচলিত শস্যের পাশাপাশি বাজরা-কুইনোয়া-জোয়ারের মতো কম প্রচলিত শস্যগুলো যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য কৃষিভিত্তিক গবেষণায় জোর দেওয়া হবে।

পয়েন্ট ৯ : করোনা মহামারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে স্পষ্ট করেছে। সদস্যরাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে আরও দৃঢ় ও সমৃদ্ধ করতে কাজ করবে জি-২০ জোট।

পয়েন্ট ১০ : সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতি ও অন্যান্য ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা যেন পুরুষের সমকক্ষ হয় এবং কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য কাজ করবে জি২০ জোট।

সূত্র : এনডিটিভি


আরও খবর



স্বাভাবিক জীবনে কর্মঠ করা হচ্ছে কারাগারে বন্দীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুর জেলায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক জেলকারাগারে কয়েদী ও হাজতি আসামীদের কারা কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় শিক্ষাসহ বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে কর্মঠ করে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

দিনাজপুর জেল কারাগারের জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া সাথে আলোচনা করা হলে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর জেলা শহরে সেই পুরাতন জেল খানাটিকে আধুনিক যুগ-উপযোগী নতুন ভবনসহ নিরাপত্তা বেষ্টুনি নির্মাণে কারাগারটিকে অপরাধীদের সংশোধনাগার হিসেবে রুপান্তরিত করেছেন। এই কারাগারে দন্ডিত আসামীদের ধর্মীয় শিক্ষাসহ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কারিগারি শিক্ষায় বিভিন্ন হাতের কাজ শিখানো হচ্ছে। তারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে সে বিষয়ে প্রতিদিন দন্ডিত শিশু, কিশোর ও যুবক দন্ডিত আসামীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এভাবে যে সব কিশোর মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে বা নিয়োমিত বিচার সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল কারাগারে আসছে তাদেরকে কারা কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত সময় দিয়ে মাদক সেবন ও ব্যবসা থেকে বিরত করতে বিভিন্ন উদ্বুদ্ধ করণ কর্মসূচী মাধ্যমে নিয়োমিত কাজ করা হচ্ছে। ফলে অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। এভাবে জেলখানার বাহিরে এই কাজগুলো পারাবারিকভাবে করা গেলে নতুন শিশু কিশোর ও যুবকেরা মাদক সেবন থেকে বিরত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ সোমবার পর্যন্ত এই কারাগারে ২ হাজার ৬৩৮ জন পুরুষ-মহিলা কয়েদী ও হাজতি বন্দী রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৪৩৯ জন ও মহিলা ২৯৯ জন। পুরুষ হাজতির মধ্যে ২ হাজার ১২১ জন হাজতি ও ৩১৮ জন কয়েদী রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে ১৭১ জন হাজতী ও ২৮ জন কয়েদী রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় উৎসবে কয়েদীদের সদাচারণের জন্য মুক্তি দেয়া হয়ে থাকে।

তিনি জানান, দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী লোক ভবনের বিপরীতে জেল রোডসংলগ্নে প্রায় ২৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ কারাগারটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম একটি বৃহৎ জেলা কারাগার হিসাবে ১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। তখন এটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫৯০ জন বন্দির। ঐ সময় গড়ে প্রায় ১০০০ এর বেশী বন্দি এ কারাগারে অবস্থান করত। সম্প্রতি  দিনাজপুর জেলা কারাগার পুন:নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য ৫ তলা বিশিষ্ট ১০টি আবাসিক ভবন, ৩ তলা বিশিষ্ট জেল সুপারের বাসভবন এবং কারাভ্যন্তরে বন্দিদের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট ৬টি হাজতি ভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট ৩টি কয়েদি ভবন, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি ওয়ার্ক সেড, ১তলা বিশিষ্ট ১টি কিশোর বন্দী ভবন, মহিলা বন্দিদের জন্য সেফ কাস্টডি ২ তলা বিশিষ্ট ১টি ভবন, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি ডিভিশন ভবন, ফাঁসির গ্যালোজ, ১ তলা বিশিষ্ট ২টি রান্নাঘর, ১ তলা বিশিষ্ট ১টি কেস টেবিল, প্রশাসনিক ভবনের উপরে জেলারের বাসভবনসহ ২তলা বিশিষ্ট রেষ্ট হাউজ, ১ তলা বিশিষ্ট রিজার্ভ গার্ড হাউজ, প্যারেড গ্রাউন্ড, গ্যারেজ, ২ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস হল ও আধুনিক কনফারেন্স রুম এবং বিদ্যামান মসজিদের আধুনিকীকরণ ও পার্শ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, নব-নির্মিত কারাগারটি গত ২০১৬ সালে ২০ শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। কারাগারটি পুন:নির্মাণের ফলে বর্তমানে এটি একটি আধুনিক কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৩ হাজার ১৫৩ জন। অন্তরীন বন্দির সংখ্যা গড়ে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ জন। এক জন জেল সুপার এবং তার কাজে সহযোগীতা করার জন্য নির্বাহী অফিসার হিসাবে ১ জন জেলার, ২ জন ডেপুটি জেলার, ২ জন কারা সহকারী, ২ জন সর্বপ্রধান কারারক্ষী, ১১ জন প্রধান কারারক্ষী, ১৭৫ জন কারারক্ষী, ১০ জন মহিলা কারারক্ষী ও ১ জন গাড়ী চালক কর্মরত রয়েছেন।

অন্যদিকে এ কারাগারে বন্দিদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একটি ৭৫ শয্যা বিশিষ্ট কারা হাসপাতাল। চিকিৎসার জন্য ১ জন মেডিকেল অফিসার ও ১ জন ফার্মাসিস্ট নিয়োজিত রয়েছে। বন্দি চিকিৎসার বিষয়টি সার্বিকভাবে তদারকির জন্য কারাবিধি মতে সিভিল সার্জন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের মিশন ও ভিশন-রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ।


আরও খবর



‘প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে উৎসাহিত করেছেন মোদী’

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যাপক সম্মানিত করেছে ভারত।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইর সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সম্মেলনের পুরোটা সময় প্রধানমন্ত্রীকে অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দেখা করতে উৎসাহিত করেছেন নরেন্দ্র মোদী।

তিনি বলেন, আমরা খুবই গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীও (শেখ হাসিনা) বলেছেন, অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমাদের সম্মানিত করা হয়েছে এবং আমরা ভারতের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। গ্লোবাল সাউথের সমস্যাগুলো উত্থাপন করার জন্য আমাদের সম্মান ও বিশেষ অধিকার দিয়েছে তারা।

এ কে মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশেষভাবে গ্লোবাল সাউথের সমস্যাগুলো উত্থাপন করে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা নেতা, আমরা নারীর ক্ষমতায়নে নেতা, আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়গুলো জি-২০ নেতৃত্বের সামনে উন্মোচন করেছেন।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওইদিনই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় তার।

সেদিন দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট সংক্রান্ত একটি সমঝোতাও রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জি-২০

আরও খবর



মহাসড়কের চার ডাকাত অস্ত্রসহ ফেনীতে আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৭ ফেনীর সদস্যরা। এ সময় তাদের নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

আজ শনিবার দুপুর ১টায় র‌্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মাদ সাদেকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং কালে সাংবাদিকদের উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাবের অধিনায়ক জানান, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ডাকাত দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে, এক পর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে- ডাকাত দল একটি পিকআপ যোগে শনিবার ভোরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির মালামালসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের দিক থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট এলাকায় একটি অস্থায়ী চেক পোস্ট স্থাপন করে। ভোর ৫টার দিকে একটি সন্দেহভাজন পিকআপকে থামার সংকেত দিলে সেটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

র‌্যাব সদ্যসরা পিকআপটিকে ধাওয়া করে জোরারগঞ্জ থানার খিলমুরারী গ্রামের বাসিন্দা হক সাব ওরফে মাদক সম্রাট (২৩), একই থানার হিংগুলী গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি (২৪) নারায়নগঞ্জের চরপাড়ার বাসিন্দা চাঁন মিয়া (২৮) এবং সুনামগঞ্জের আকতা পাড়ার বাসিন্দা সিজিল মিয়া ওরফে সোহাগকে (৩০) আটক এবং তাদের দেখানো ও তথ্য মতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্টুজ, ৩৪ টা অটোরিকশার ব্যাটারি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। শেষে পিকআপটি জব্দ ও উপরোক্ত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত দলটি মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা মহাসড়কে ডাকাতি করে মালামাল ঢাকায় বিক্রি করে থাকে। মহাসড়কে চলাচলকারী পথচারীকে আটক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ছিনতাই ও ডাকাতি করে বলে তারা স্বীকার করেন।

গ্রেফতার ৪ ডাকাতের মধ্যে হক সাব প্রকাশ মাদক সম্রাটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ ও সীতাকুন্ড থানায় ডাকাতি, মাদক, চুরি, হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনসহ ২০টি মামলা এবং সাইফুল ইসলাম ওরফে রনির বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় চুরি, হত্যার চেষ্টাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। তাদেরকে সংশিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজ ট্যাগ: ফেনী ডাকাত

আরও খবর



আগামীকাল যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার কিছু এলাকায় আগামীকাল শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

পাইপলাইন স্থানান্তরের কাজের জন্য আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং উত্তরা ৬ ও ৮ নম্বর সেক্টরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও উত্তরা ২ ও ৪ নম্বর সেক্টরে গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩