আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশের প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক (অব.) মারা গেছেন। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত নৌপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হক। তার মৃত্যুতে নিকটাত্মীয়সহ নৌবাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার জোহর নামাজের পরে নৌ সদর দফতর মসজিদে জানাজা শেষে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ক্যাপ্টেন নুরুল হক তার সুদীর্ঘ চাকরিজীবনে বিভিন্ন জাহাজ ও ঘাঁটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ডেসট্রয়ার জাহাজে ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ঘাঁটির ইঞ্জিনিয়ার অফিসার এবং ট্রেনিংস্কুলে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কেবিনেট মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রথম নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৯৭৩ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

ক্যাপ্টেন নুরুল হক ব্রিটেনের রয়েল নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিংকলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এবং ১৯৬১ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজেশন কোর্স সম্পন্ন করেন।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজে অভিযানের ঘোষণা, কি আছে নাবিকদের ভাগ্যে!

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে দস্যুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন সংবাদের পর অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে দস্যুরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে বেশ চাপের মুখে রেখেছে। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহর দেড় মাইলের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। ফলে জলদস্যুরা জাহাজের নোঙর তুলে আরও ভেতরে চলে গিয়ে তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙর করেছে।

জলদস্যুরা এটাও বলেছে যে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে। তবে দুই নৌবাহিনী এখনো বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বলে জানান আতিক ইউ এ খান।

তিনি আরও জানান, নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

এদিকে জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তা ছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। জাহাজে ২৩ নাবিক জিম্মি রয়েছেন।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর



সমালোচনার পর ফায়ার সার্ভিস বললো, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়নি’

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারের আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে কোনো টোল দিতে হয়নি বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। টোল দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও এটিকে গুজব বলেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ঘটনার দিন টোল সংক্রান্ত কোনো বিলম্ব হয়নি বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। এছাড়া টোল দেওয়া সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিলম্বও আমাদের হয়নি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওইদিন প্রাইভেটকারে লাগা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে যেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার যে খবরটি ছড়িয়েছে সেটি সম্পূর্ণ গুজব। এছাড়া টোল সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ধরনের বিলম্ব হয়নি ফায়ার সার্ভিসের। প্রাইভেটকারটি তেলে চালিত বলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুড়ে যায়।

টোল দেওয়ার সংবাদের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ওইদিনের ঘটনায় আগুন নির্বাপণে অংশ নেওয়া ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলে জেনেছি, তাদের কোন ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার সংবাদটি মিথ্যা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করলেও ততক্ষণে প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওইদিন আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়েছে। টোল দিতে গিয়ে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছে, এ কারণে যে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও খবর ছড়ায় যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে তখন কোনো টাকা ছিল না, তারা পরে বিকাশে টাকা এনে টোল দেয়। এতে করে অনেক সময়ক্ষেপণ হয় তাদের।

যদিও ফায়ার সার্ভিসের দাবি এসব তথ্য ভুয়া। তাদের কোনো টোল দিতে হয়নি এবং টোল সংক্রান্ত কোনো সময়ক্ষেপণ হয়নি তাদের।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সিলেটে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় কন্ট্রোল রুমে ঢুকে প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে সিসিক কাউন্সিলর কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। মো. মাসুদ রানা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে এ ঘটনা ঘটে। তবে কাউন্সিলর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কাউন্সিলরের ভাষ্য, ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর তিনি সেটা রাতেই সরাতে অনুরোধ করতে কন্ট্রোল রুমে ঢুকেছিলেন।

জানা যায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে ১১ কেভি ফিডার ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। এই বন্ধ লাইন চালু করতে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দুইজনকে নিয়ে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে ঢুকে মাসুদ রানাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রকৌশলী মাসুদ রানা।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান হোসেনকে। মামলায় ওই এলাকার আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, 'ফল্টের কারণে বন্ধ হওয়া ১১ কেভি বরইকান্দি ফিডার জোরপূর্বক চালু করতে চাইছিলেন কাউন্সিলর। কিন্তু এভাবে এই ফিডার চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তিন আমার কোনো কথা না শুনে আমার উপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন বলেন, মারামারি বা হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে রাস্তায় পড়েছিলো। সেই ছেড়া লাইন সরানোর জন্য আমরা তাদের বলি। কিন্তু তারা সেটা রাতে সরাতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলেই দপ্তরে এসে প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের মারধর করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা খুব বাজে কাজ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন। আমরা তো রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে এসব ব্যাপারে কঠোর হতে পারিনা। কিন্তু এবার আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করবো।


আরও খবর



ভোটের আগে পিটার হাসের ‘আত্মগোপন’ প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দফায় দফায় বেশ জোরালোভাবেই নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছিল।

এমনকি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে দেওয়া হয়েছিল ভিসা-বিধিনিষেধসহ অন্যান্য নানা পদক্ষেপের হুমকিও। বাইডেন প্রশাসনের পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ছিলেন এ বিষয়ে সক্রিয়।

তবে নির্বাচনের আগ দিয়ে হঠাৎ করেই দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান তিনি। আর এ নিয়ে সম্প্রতি একটি দাবি সামনে এসেছে, আর সেখানে বলা হচ্ছে- ভোটের আগে ভারতের চাপেই পিটার হাস আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন।

আর এই বিষয়টিই উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। তবে নির্বাচনের আগে ভারতের চাপে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আত্মগোপন করেছিলেন- এমন দাবি নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভোটের আগে পিটার হাসের আত্মগোপন নিয়ে ভারতের এক কূটনীতিকের দাবি সম্পর্কে জানতে চান।

তিনি বলেন, এটা কি সত্য যে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচনের ঠিক আগে ভারতের কথিত চাপের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন? নয়াদিল্লিতে একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের একজন সিনিয়র কূটনীতিক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি নয়াদিল্লিতে প্রতিটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের দিকে নজর রাখি না।

তিনি হাসতে হাসতে আরও বলেন, কিন্তু না, এটি (ভোটের আগে ভারতের চাপে পিটার হাসের আত্মগোপন) সঠিক নয়।


আরও খবর